English Version
আপডেট : ১ জানুয়ারি, ২০১৭ ১০:৩৩

এমপি লিটনের মরদেহের ময়নাতদন্ত সম্পন্ন

নিজস্ব প্রতিবেদক
এমপি লিটনের মরদেহের ময়নাতদন্ত সম্পন্ন

গাইবান্ধা :  দুর্বৃত্তদের গুলিতে নিহত গাইবান্ধা-১ (সুন্দরগঞ্জ) আসনের আওয়ামী লীগের সংসদ সদস্য মঞ্জুরুল ইসলাম লিটনের মরদেহের ময়নাতদন্ত সম্পন্ন হয়েছে।

রোববার সকালে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে তার ময়নাতদন্তন সম্পন্ন করা হয়।

এদিকে সকাল ১১ রংপুর পুলিশ লাইন্সে মাঠে এমপি লিটনের প্রথম জানাজা অনুষ্ঠিত হবে। পরে হেলিকপ্টার যোগে ঢাকা নিয়ে আসা হবে লিটনের মরদেহ। আগামীকাল সকালে জাতীয় সংসদ ভবনে তার দ্বিতীয় জানাজা অনুষ্ঠিত হবে। এরপর তার নির্বাচনী এলাকা সুন্দরগঞ্জে তাকে দাফন করা হবে বলে জানা গেছে।

এরআগে শনিবার সন্ধ্যায় নিজ বাড়িতে দুর্বৃত্তদের ছোড়া গুলিতে গুলিবিদ্ধ লিটন। আশংকাজনক অবস্থায় দ্রুত রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়। সেখানে রাত সাড়ে ৭টার দিকে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

এমপির ঘনিষ্ঠ সহযোগী অনিল সাহা ও এমপির শ্যালক আবু নাসের মিরান জানান, সন্ধ্যা পৌনে ৬টায় সংসদ সদস্য মঞ্জুরুল ইসলাম লিটন তার দ্বিতল বাসভবনের নিচ তলার বৈঠক খানায় বসে ৫-৬ জন নেতাকর্মীকে নিয়ে কথা বলছিলেন। এ সময় তিন যুবক হ্যালমেট পরা অবস্থায় একটি মোটর সাইকেলে তার বাসার সামনে আসে। তাদের একজন বাসার বাইরে আঙিনায় স্টার্ট দেওয়া মোটর সাইকেলে বসে অবস্থান করছিল। অপর দুইজন এমপি লিটনের সাথে জরুরি কথা বলার অজুহাতে ঘরের ভেতরে ঢুকে তাকে লক্ষ্য করে খুব কাছ থেকে আকস্মিকভাবে কয়েক রাউন্ড গুলি ছোঁড়ে। লিটন মাটিতে লুটিয়ে পড়েই অচেতন হয়ে যান। এসময় দুর্বৃত্তরা দ্রুত ঘর থেকে বেরিয়ে মোটর সাইকেলে চড়ে পালিয়ে যায়।

লিটনের স্ত্রী স্মৃতির বড় ভাই বদিউল কারিমিন বাদল জানান,  দুর্বৃত্তদের ঘরে প্রবেশ এবং গুলি করার সময় এমপি লিটনের স্ত্রী জেলা মহিলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম আহবায়ক খুরশিদ জাহান স্মৃতি রান্না ঘরে ব্যস্ত ছিলেন। গুলির আওয়াজ শুনে তিনি ছুটে এসে তার স্বামীকে মাটিতে লুটিয়ে পড়া অবস্থায় দেখতে পান। তার চিৎকারে আশেপাশের মানুষ ছুটে আসেন।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, হামলাকারীরা এমপিকে লক্ষ্য করে তিন রাউন্ড গুলি ছোঁড়ে। দুটি গুলি তার বুকের দু’পাশে এবং অপরটি উঁরুতে বিদ্ধ হয়। এ সময় তিনি মাটিতে লুটিয়ে পড়েন। গুলির শব্দ শুনে বাড়ির এবং আশেপাশের লোকজন ছুটে আসেন। তারা মোটর সাইকেল নিয়ে তিনজন যুবককে পালাতে দেখেন কিন্তু তাদের হাতে রিভলভার থাকায় কেউ সামনে যেতে সাহস করেনি। তারা দ্রুত রাস্তায় উঠে বামনডাঙ্গা-নলডাঙ্গা সড়ক ধরে পালিয়ে যায়।

স্থানীয়রা জানান, ওই সময় অন্ধকার থাকায় কাউকে চেনা যায়নি। এছাড়া এমপির বাড়িতে পৌঁছানোর পর থেকে হত্যাকাণ্ড চালিয়ে পালানোর সময় পর্যন্ত হামলাকারীরা মাথা থেকে হ্যালমেটও খোলেনি।