English Version
আপডেট : ৩১ ডিসেম্বর, ২০১৬ ১৪:৪৭

বিশ্ব ইজতেমার প্রথম পর্ব ১৩ জানুয়ারি

নিজস্ব প্রতিবেদক
বিশ্ব ইজতেমার প্রথম পর্ব ১৩ জানুয়ারি
ইজতিমার প্রস্তুতি কাজে শিশুরা

মোঃ ইলিয়াছ মোল্লাঃ ঢাকার অদূরে, গাজীপুর জেলার টঙ্গীর তুরাগ তীরে আগামী ১৩ জানুয়ারি থেকে শুরু হচ্ছে বিশ্ব মুসলিমের দ্বিতীয় বৃহত্তম সম্মেলন ৫২তম ইজতেমার প্রথম পর্ব। বিশ্ব তাবলিগ জামাত আয়োজিত এই ইজতেমাকে সামনে রেখে মাঠ প্রস্তুতির কাজ দ্রুত গতিতে এগিয়ে চলছে। প্রস্তুতির শেষ মুহূর্তে ময়দানের ভেতরে প্যান্ডেল তৈরি ও বাইরের কাজ দ্রুত এগিয়ে চলছে।

ইতোমধ্যে ইজতেমার প্রায় ৭০ ভাগ সার্বিক উন্নয়নমূলক কাজ সম্পন্ন করা হয়েছে বলে সাংবাদিকদের জানিয়েছেন ইজতেমা মাঠের মুরব্বি মাওলানা মো. গিয়াস উদ্দিন। 

তিনি বলেন, 'বাকি কাজও বেশ দ্রুত এগিয়ে যাচ্ছে। আশা করছি, আগামী সপ্তাহের মধ্যে বিদ্যুৎ, গ্যাস, পানি, মাইক, কাঁচা টয়লেট, অজু-গোসলখানা নির্মাণসহ শতভাগ কাজ শেষ হয়ে যাবে। 

দুই পর্বের বিশ্ব ইজতেমার প্রথম পর্ব ১৩ জানুয়ারি শুরু হয়ে চলবে ১৫ জানুয়ারি আখেরি মোনাজাতের মধ্য দিয়ে শেষ হবে। এরপর ৪ দিন বিরতি দিয়ে ২০ জানুয়ারি থেকে শুরু হবে দ্বিতীয় পর্ব। তা ২২ জানুয়ারি আখেরি মোনাজাতের মধ্য দিয়ে সমাপ্তি ঘটবে। 

প্রথম পর্বে অংশগ্রহণ করবেন যেসব জেলাগুলো- গাজীপুর, মানিকগঞ্জ, ময়মনসিংহ, টাঙ্গাইল, মুন্সিগঞ্জ, গোপালগঞ্জ, কিশোরগঞ্জ, রংপুর, সৈয়দপুর, রাজবাড়ি, শরীয়তপুর, দিনাজপুর, জয়পুরহাট, লালমনিরহাঁট, বান্দরবান, রাঙ্গামাটি, খাগড়াছড়ি, চাঁদপুর, বি-বাড়িয়া, নোয়াখালী, হবিগঞ্জ, মৌলভীবাজার, বরিশাল, নওগাঁ, পাবনা, কুষ্টিয়া, চাঁপাইনবাবগঞ্জ, মেহেরপুর, সাতক্ষীরা, যশোর ও বাগেরহাট।

টঙ্গীর ইজতেমা মাঠে গিয়ে দেখা গেছে, ভোর থেকে ট্রাক বাস, লেগুনা এবং খোলা জিপে করে দূর থেকে বিভিন্ন বয়সীরা দল বেঁধে জিকির করতে করতে  ময়দানে আসছেন। আল্লাহও তার রাসুল (সা)-এর সন্তুষ্টির জন্য তারা স্বেচ্ছাশ্রমের ভিত্তিতে পেন্ডেল নির্মাণের কাজে কাজে সহায়তা করছেন। 

তাদের কেউ খুঁটির ওপর চট টাঙাচ্ছেন, কেউ লোহার খুঁটি ও পাইপ দিয়ে মূল মঞ্চ তৈরি করছেন, কেউ টয়লেট নির্মাণের কাজ করছেন, কেউবা পরিষ্কার ও বালু দিয়ে মাঠ সমান করছেন। হাসিমুখে আনন্দের সঙ্গে সবাইকে ইজতেমা ময়দানে বিভিন্ন প্রস্তুতিমূলক কাজ করতে দেখা গেছে। দলবদ্ধ হয়ে ভাগ করে ইজতেমার প্রস্তুতিমূলক কাজ করা হচ্ছে। মুসল্লিদের তুরাগ নদ পারাপারের জন্য স্থাপন করা হবে কয়েকটি ভাসমান সেতু।