English Version
আপডেট : ২৬ ডিসেম্বর, ২০১৬ ০১:৩১

মাইলস্টোন স্কুলের অষ্টম শ্রেণির ছাত্র আফিফের পাকিস্তান কানেকশন

নিজস্ব প্রতিবেদক
মাইলস্টোন স্কুলের অষ্টম শ্রেণির ছাত্র আফিফের পাকিস্তান কানেকশন

ঢাকার দক্ষিণখানের পূর্ব আশকোনা এলাকায় জঙ্গি আস্তানায় অভিযানে নিহত আফিফ কাদেরী ওরফে শহীদ কাদেরী ওরফে আদরের বাড়ি গাইবান্ধা সদর উপজেলার বোয়ালি ইউনিয়নের পশ্চিম বাটকামারি গ্রামে। 

তার বাবা তানভীর কাদেরী গত ১০ সেপ্টেম্বর ঢাকার আজিমপুরে জঙ্গিবিরোধী অভিযানে নিহত হয়। আদরের পূর্ব পুরুষ ছিলেন পাকিস্তানের নাগরিক।    গাইবান্ধা সদর থানার ওসি মেহেদী হাসান বলেন, আফিফের বাবা তানভীর কাদেরী নিহত হবার পর জঙ্গি তৎপরতার সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে তার মা আবেদাতুন ফাতেমা ওরফে আশা এবং তার জমজ ভাই তাহরীন কাদেরী আবির পুলিশের হাতে গ্রেফতার হয়। কিন্তু আফিফ পলাতক অবস্থায় জঙ্গি তৎপরতায় লিপ্ত থাকে। ঢাকার দক্ষিণখান আশকোনা এলাকায় জঙ্গি আস্তানায় অভিযানে আফিফ কাদেরী ওরফে আদর নিহত হয়েছে বলে শুনেছি।    এলাকাবাসী জানায়, আফিফ ওরফে আদরের দাদা আবদুল বাতেন কাদেরী জর্দ্দা ব্যবসায়ী। দাদি সুরাইয়া নার্গিস কাদেরী গৃহিনী। আফিফ  ও তাহরীন কাদেরী দুই জমজ ভাই। তারা ঢাকার উত্তরার মাইলস্টোন স্কুলে অষ্টম শ্রেণিতে লেখাপড়া করতো।    সূত্রটি আরো জানায়, নিহত আফিফের পূর্ব পুরুষ ছিলেন পাকিস্তানের নাগরিক। তার বাবা তানভীর কাদেরীর দাদা মরহুম আব্দুল ওয়াহেদ ছিলেন পাকিস্তানের পেশোয়ার অঞ্চলের লোক। আনুমানিক ১৯১০ সালে বাংলাদেশে তাবলীগ করতে এসে গাইবান্ধার ফুলছড়িতে বিয়ে করে স্থায়ীভাবে বসবাস শুরু করেন তিনি। পরবর্তীতে তার বাবা আলহাজ্ব এস এম বাতেন কাদেরী গাইবান্ধা সদর উপজেলার বোয়ালি ইউনিয়নের পশ্চিম বাটিকামারি গ্রামের স্থায়ী হন।   গাইবান্ধা সদর উপজেলার পশ্চিম বাটকামারি গ্রামে গিয়ে দেখা গেছে, সড়কের পাশেই ইটের প্রাচীর ঘেরা আফিফ কাদেরীর ওরফে আদরের দাদার বাড়ি। মজবুত করে তৈরি প্রধানফটক। ভিতরে আঁধাপাঁকা টিনসেড ঘর। এ বাড়িতে আদরের দাদা-দাদি থাকেন।   আদরের দাদা এস এম বাতেন কাদেরী বলেন, আদর কোথায় থাকতো আমরা জানতাম না। তবে আমার নাতি আদরের মারা যাওয়ার কথা শুনেছি।