English Version
আপডেট : ২৪ ডিসেম্বর, ২০১৬ ২২:৩১

‘এখন শত্রু চিহ্নিত করা কষ্টকর’

নিজস্ব প্রতিবেদক
‘এখন শত্রু চিহ্নিত করা কষ্টকর’

মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী আ.ক.ম মোজাম্মেল হক বলেছেন, ৭১ সালে বাঙ্গালীর শত্রুদের সহজেই চিহ্নিত করা যেত। কিন্তু এখন ঘরের শত্রু বিভিষণদের চিহ্নিত করা কষ্টকর। দেশের শত্রুদের চিহ্নিত করা দুষ্কর।  

যুদ্ধাপরাধীদের বিচার বা সম্পদ বাজেয়াপ্ত করাই শুধু নয়, তাদের দ্বিতীয় শ্রেণির নাগরিক হিসেবে চিহ্নিত করতে হবে। পাশাপাশি তাদের সন্তানদের সরকারি চাকরির সুবিধা প্রদান করা যাবে না।   আজ শনিবার শেরেবাংলানগরের পার্লামেন্ট মেম্বারস ক্লাবে মুক্তিযোদ্ধা সংহতি পরিষদের (মুসক) আয়োজিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি এসব কথা বলেন।   মুক্তিযুদ্ধ মন্ত্রী আরো বলেন, কোনক্রমেই বাংলাদেশে যুদ্ধাপরাধীরা ক্ষমতা প্রয়োগ করতে পারবে না। যত দ্রুত সম্ভব তাদের নিষিদ্ধ করলেই বাঙালি জাতির মঙ্গল হবে।  

তিনি বলেন, ১৯৭১ সালে মহান মুক্তিযুদ্ধে বাঙ্গালী জাতি জয়লাভ করেছে। তারা দেশের শহীদ ও মুক্তিযুদ্ধে ত্যাগ স্বীকারকারীদের প্রতি সম্মান জানিয়ে এদেশে যুদ্ধাপরাধীদের শেকড় সমূলে উৎপাটনে সহায়তা করবে। যুদ্ধাপরাধীদের শেকড় উপড়ে ফেলতে রাজনৈতিক শিক্ষা জরুরি। বর্তমানে অনেকেই কি আদর্শে দেশের জন্য লড়াই করছে সে সম্পর্কে অবগত নয়। ৭১ সালে বাঙ্গালীর শত্রুদের সহজেই চিহ্নিত করা যেত। কিন্তু এখন ঘরের শত্রু বিভিষণদের চিহ্নিত করা কষ্টকর। দেশের শত্রুদের চিহ্নিত করা দুষ্কর।  

সংগঠনের চেয়ারম্যান কর্নেল (অব.) শওকত আলী এমপির সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে বক্তৃতা করেন সংগঠনের যুগ্ম মহাসচিব কাজী রুফিকুল ইসলাম, মুক্তিযোদ্ধার সন্তান ডা: নুজহাত চৌধুরী, সংগঠনের মোহাম্মদপুর থানার প্রেসিডেন্ট আবু সায়িদ, মহাসচিব আব্দুস সামাদ পিন্টু, ঢাবির অধ্যাপক নিম চন্দ্র ভৌমিক প্রমুখ।   বক্তারা বলেন, বাঙ্গালী জাতি সাম্প্রদায়িক ছিল না। তারা ধর্মভীরু, কিন্তু ধর্মান্ধ নয়। তাদেরকে নিয়ে জামায়েত যে ধর্মব্যবসা করছে তা অচিরেই বন্ধ করতে হবে। জামায়াতে ইসলামী সংগঠনকে নিষিদ্ধ ঘোষণা করলে দেশের মানুষের আদর্শিক পতন রোধ করা সম্ভব হবে।