English Version
আপডেট : ২০ ডিসেম্বর, ২০১৬ ০২:৩৮

রিজার্ভ চুরি: সিআইডি’র ওপর ক্ষুব্ধ আতিউর

অনলাইন ডেস্ক
রিজার্ভ চুরি: সিআইডি’র ওপর ক্ষুব্ধ আতিউর

বাংলাদেশ ব্যাংকের রিজার্ভ চুরির ঘটনায় সাবেক গভর্নর আতিউর রহমানের আচরণগত দুর্বলতা পাওয়া গেছে বলে জানিয়েছে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)। 

সোমবার দ্বিতীয় দফা জিজ্ঞাসাবাদের পর সিআইডির এক কর্মকর্তা একথা জানান। এদিন নিয়ম ভেঙে কয়েকজন সন্দেহভাজন ব্যক্তির সঙ্গে যোগাযোগের বিষয়ে ড. আতিউর রহমানকে জিজ্ঞাসাবাদ করে সিআইডি।

সিআইডির ওই কর্মকর্তা আরো জানান, সোমবার সিআইডির চার সদস্যের একটি দল আতিউরের ধানমন্ডির বাড়িতে যায়। সেখানে রিজার্ভ চুরি সংক্রান্ত সুনির্দিষ্ট তিনটি প্রশ্নের জবাব চান তদন্ত কর্মকর্তারা। 

তবে তাদের সন্তোষজনক কোনো দিতে পারেননি আতিউর।এছাড়া জিজ্ঞাসাবাদের সময় আতিউরের আচরণগত দুর্বলতারও প্রমাণ মিলেছে।

এর আগে চলতি বছরের ফেব্রুয়ারিতে সুইফট কোড হ্যাক করে বাংলাদেশ ব্যাংকের রিজার্ভ থেকে ১০ কোটি ১০ লাখ ডলার চুরির ঘটনা ঘটে। তবে ঘটনাটি প্রকাশ্যে আসে মার্চের শুরুতে। এ ঘটনায় ১৫ মার্চ রাজধানীর মতিঝিল থানায় মুদ্রা পাচার প্রতিরোধ ও তথ্য-প্রযুক্তি আইনে মামলা করে বাংলাদেশ ব্যাংক। আদালতের নির্দেশে ওই মামলার তদন্তভার পেয়ে দুটি অংশে বিভক্ত হয়ে কাজ শুরু করে সিআইডি।

তদন্তের অংশ হিসেবে এ পর্যন্ত প্রায় ১২০ জনকে জিজ্ঞাসাবাদ করেছে সিআইডি। অনানুষ্ঠানিকভাবে আতিউর রহমানকেও জিজ্ঞাসাবাদ করা হয় একবার। তবে সোমবার তাকে দ্বিতীয় দফায় জিজ্ঞাসাবাদ করেছেন সিআইডি। এদিন তদন্ত দলের প্রধান সিআইডির অতিরিক্ত ডিআইজি শাহ আলমসহ চার সদস্যের একটি প্রতিনিধি দল। সেখানে প্রায় দেড় ঘন্টা তারা তাকে জিজ্ঞাসাবাদ শেষে বের হন।

সিআইডির দায়িত্বশীল সূত্র জানায়, তদন্তে সিআইডি আতিউর রহমানের বিরুদ্ধে কিছু তথ্য পেয়েছে, এ বিষয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে। বিশেষ করে দায়িত্বে থাকা অবস্থায় তিনি বাংলাদেশ ব্যাংকের নিয়ম ভেঙে অযাচিত কয়েকজন ব্যক্তির সঙ্গে সাক্ষাৎ করে ছিলেন।

আতিউর রহমান সিআইডিকে জানান, তিনি ব্যক্তিগত প্রয়োজনে তাদের সঙ্গে যোগাযোগ করেছেন। রিজার্ভ চুরির বিষয়টি চেপে যাওয়ার কারণ জানতে চাইলে সিআইডিকে আতিউর রহমান জানান, চুরির বিষয়টি জানাজানির আগেই তিনি টাকা উদ্ধারের চেষ্টা করেছিলেন। তাই ব্যাংকের কর্মকর্তাদের বিষয়টি গোপন রাখতে বলেছিলেন আতিউর রহমান।

এ সময় সিআইডির কর্মকর্তাদের ওপর কিছুটা ক্ষুদ্ধ হয়ে ওঠেন আতিউর। সিআইডির তদন্ত দলের কর্মকর্তারা তাকে স্বাভাবিক আচরণ করার জন্য অনুরোধ জানান।

গত ২০ ও ২২ নভেম্বর রিজার্ভ চুরির ঘটনায় বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক দুই ডেপুটি গভর্নর আবুল কাশেম ও নাজনীন সুলতানাকে জিজ্ঞাসাবাদ করে সিআইডি। 

এর আগে বাংলাদেশ ব্যাংকের রিজার্ভের টাকা চুরির ঘটনায় ব্যাপক সমালোচনার মুখে চলতি বছরের ১৫ই মার্চ পদত্যাগ করেন গভর্নর ড. আতিউর রহমান।