English Version
আপডেট : ১৮ ডিসেম্বর, ২০১৬ ০০:৫৬

সার্চ কমিটির মনোনীতদের নাম আগে প্রকাশের দাবি এটিএম হুদা

নিজস্ব প্রতিবেদক
সার্চ কমিটির মনোনীতদের নাম আগে প্রকাশের দাবি এটিএম হুদা
সাবেক প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) ড. এ টি এম শামসুল হুদা

নতুন নির্বাচন কমিশনার হিসেবে যাদের নাম সার্চ কমিটির প্রস্তাবে আসবে, তাদের নাম আগে ভাগে প্রকাশ করার দাবি জানিয়েছেন সাবেক প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) ড. এ টি এম শামসুল হুদা। 

তিনি বলেন, নামগুলো প্রকাশ হলে তাদের নিয়ে আলোচনা হবে, গণমাধ্যম তাদের অতীত খতিয়ে দেখবে, জনগণ তাদের সম্পর্কে জানতে পারবে; এবং তা হলে রাষ্ট্রপতি সিদ্ধান্ত নেয়ার আগে তা বিবেচনার সুযোগ পাবেন।   শনিবার রাজধানীর সিরডাপ মিলনায়তনে এক আলোচনা সভায় সভাপতির বক্তব্যে এই মত দেন হুদা। ঢাকা ফোরামের উদ্যোগে ‘ইলেকশন, ইলেকশন কমিশন অ্যান্ড ডেমোক্রেসি ইন বাংলাদেশ’ শীর্ষক গোলটেবিল বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।    নিরপেক্ষ লোক নিয়োগ পেলে নির্বাচন কমিশনের বিদ্যমান ক্ষমতা কাঠামোতেই নিরপেক্ষ নির্বাচন সম্ভব বলে মনে করেন শামসুল হুদা। তিনি বলেন, নির্বাচন কমিশন শক্তিশালী করার এখন কোনো দরকার নেই। যথেষ্ট ক্ষমতা নির্বাচন কমিশনের রয়েছে। প্রয়োগ করতে চাইলে সেটা নির্বাচন কমিশনের রয়েছে।   শামসুল হুদা বলেন, সার্চ কমিটি করার প্রস্তাব যখন আমরা দিলাম, তখন একটা উদ্দেশ্য ছিল যে, অনেক আগে নামগুলো প্রকাশিত হবে। অনুসন্ধানী সাংবাদিক খুঁচিয়ে খুঁচিয়ে তার বাপ-দাদা চৌদ্দগোষ্ঠীর সব খবর বের করবে। তখন বেরিয়ে আসবে যে, এই লোক এই পদে হওয়ার যোগ্য নয়, কারণ তার এই এই সমস্যা আছে। তার একাডেমিক কোয়ালিটি ঠিক নেই, তার একটা পলিটিকাল এফিলিয়েশন আছে, তিনি নিরপেক্ষ হতে পারেন না। এই স্ক্রুটিনিটা গতবার দুর্ভাগ্যজনকভাবে হয়নি।   তিনি উদাহরণ হিসেবে ভারতের একটি ঘটনা তুলে ধরেন সাবেক এই সিইসি বলেন, ভারতে একজনকে এন্টি করাপশনের সচিব করার উদ্যোগ নেয়া হয়, তার বিরুদ্ধে কোল মাইনিংয়ের লাইসেন্স দেয়ার কেস ছিল। মনমোহন বলেছেন, আমার অধীনে কাজ করেছে, আমি উনাকে চিনি। কিন্তু ভারতের গণমাধ্যম ও বিরোধী দল এমন হইচই করল, বাধ্য হল তাকে সরিয়ে আরেকজনকে দিতে। সেই সুযোগটা আমাদের এখনও আছে। কারণ ফেব্রুয়ারিতে হবে। অনেক আগে থেকেই নমিনেশনগুলো জানতে পারলে আর গণমাধ্যম তৎপর হলে কিছু ভালো লোক আমরা পেতে পারি। 

বাংলাদেশে একটা ভালো নির্বাচন করতে হলে যে প্রতিষ্ঠানগুলোর সহযোগিতা লাগে, সেখানে সমস্যা রয়েছে বলে মন্তব্য করেন শামসুল হুদা। 

রাষ্ট্রদূত মাসুদ আজিজের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন আরেক রাষ্ট্রদূত এম সেরাজুল ইসলাম। অন্যান্যর মধ্যে বক্তব্য রাখেন, বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গভর্নর সালেহউদ্দিন আহমেদ, সাবেক পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী আবুল হাসান চৌধুরী, তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সাবেক উপদেষ্টা হোসেন জিল্লুর রহমান, সাবেক নির্বাচন কমিশনার এম সাখাওয়াত হোসেন, অধ্যাপক দিলারা চৌধুরী, সাবিহ উদ্দিন আহমেদ প্রমুখ।