English Version
আপডেট : ১৫ ডিসেম্বর, ২০১৬ ০৩:২৬

বিশ্ব ইজতেমা শুরু ১৩ জানুয়ারি, থাকবে ৫ স্তরের নিরাপত্তা

নিজস্ব প্রতিবেদক
বিশ্ব ইজতেমা শুরু ১৩ জানুয়ারি, থাকবে ৫ স্তরের নিরাপত্তা

আগামী ১৩-১৫ ও ২০-২২ জানুয়ারি টঙ্গীর তুরাগ তীরে অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে দুই পর্বের বিশ্ব ইজতেমার। এ উপলক্ষে বুধবার গাজীপুর জেলা প্রশাসকের ভাওয়াল সম্মেলনকক্ষে এক প্রস্তুতিমুলক সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। জেলা প্রশাসক এস এম আলমের সভাপতিত্বে সভায় মুসল্লিদের সুবিধার্থে বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।

সভায় জানানো হয়, এবারো র‌্যাব-পুলিশের ৫ স্তরের বিশেষ নিরাপত্তার চাদরে ঢাকা থাকবে পুরো ইজতেমা ময়দান ও আশপাশের এলাকা। ইজতেমায় আগত মুসল্লিদের চিকিৎসা সেবায় ১৪টি অ্যাম্বুলেন্স সার্বক্ষণিক প্রস্তুত থাকবে। মুসল্লিদের চিকিৎসার জন্য পর্যাপ্ত চিকিৎসক ও ওষুধের ব্যবস্থা রাখা হয়েছে। ইজতেমা ময়দানের পশ্চিমে তুরাগ নদীর উপর ৭টি পল্টুন ব্রীজ তৈরী করবে সেনাবাহিনী, ইজতেমায় আগতদের তিন স্তরে নিরাপত্তা দিবে র‌্যাব। 

এ ছাড়া মোটরসাইকেল টহল, নৌ টহল ও হেলিকপ্টারে টহলে থাকবে র‌্যাব সদস্যরা। বিপুল সংখ্যক র‌্যাব ও আইনশৃংখলা বাহিনীর সদস্যগণ সাদা পোশাকে পুরো ইজতেমা ময়দানে অবস্থান নেবেন। র‌্যাবের ৯টি পর্যবেক্ষণ টাওয়ার থেকে ইজতেমা ময়দানকে পর্যবেক্ষণে রাখা হবে।

সভায় রেল কর্তৃপক্ষ জানায় ইজতেমার আখেরী মোনাজাতের দিন ১১৫টি ট্রেন যাত্রা বিরতি করবে টঙ্গী স্টেশনে। মুসল্লিদের জন্য ওজু, বিশুদ্ধ পানি সরবরাহ, অতিরিক্ত টিকিট কাউন্টার ও ভ্রাম্যমাণ টিকেট বিক্রি করা হবে। বিআরটিসির ৩৫০টি বাস মুসল্লিদের যাতায়তের জন্য প্রস্তুত থাকবে। 

বিদেশী মেহমানদের কাকরাইল মসজিদ এবং বিমানবন্দর থেকে ইজতেমা ময়দানে আনার জন্য পর্যাপ্ত এসি বাস বরাদ্ধ থাকবে। ইজতেমা ময়দানের বিদেশী নিবাসে প্রশাসনের পক্ষ থেকে এবার নতুন একটি কন্ট্রোল রুম স্থাপন করা হবে।

এব্যাপারে গাজীপুরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার গোলাম সবুর জানান, ইজতেমার আগের দিন থেকে ইজতেমা শেষ হওয়ার পর দিন পর্যন্ত মুসল্লিদের নিরাপত্তায় পুলিশ নিয়োজিত থাকবে। ৫ স্তরের নিরাপত্তা পার হয়ে ইজতেমা ময়দানে প্রবেশ করতে হবে সবাইকে। 

এছাড়া ইজতেমা শুরুর আগে ২০টি মোবাইল কোর্টের মাধ্যমে ইজতেমা ময়দানের আশপাশে অবৈধ দোকানপাট উচ্ছেদ, বিলবোর্ড ও ময়লা-আবর্জনা অপসারণ করা হবে। যানজট নিয়ন্ত্রণে ট্রাফিক পুলিশ ও কমিউনিটি পুলিশ সার্বক্ষণিক কাজ করবে।