English Version
আপডেট : ১৪ ডিসেম্বর, ২০১৬ ২০:৪৩

যুদ্ধাপরাধীদের হাতে যারা পতাকা দিয়েছেন তাদেরও বিচার হবে

নিজস্ব প্রতিবেদক
যুদ্ধাপরাধীদের হাতে যারা পতাকা দিয়েছেন তাদেরও বিচার হবে

যুদ্ধাপরাধীদের যারা পুনর্বাসন করেছে, এখন তাদের বিচারের সময় এসেছে।যতই ষড়যন্ত্র আসুক, তাদের কেউ রক্ষা করতে পারবে না। কারণ এটা ন্যায়ের পথ। ন্যায় ও সত্যের জয় সব সময় হয়, সব সময় হবে বলে মন্তব্য করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

বুধবার বিকেলে রাজধানীর কৃষিবিদ ইনস্টিটিউশন মিলনায়তনে শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস উপলক্ষে আওয়ামী লীগ আয়োজিত আলোচনা সভায় সভাপতির বক্তব্যে একথা বলেন তিনি। 

জার্মানিতে এখনো দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময়ের অপরাধীদের বিচার হওয়ার প্রসঙ্গ টেনে শেখ হাসিনা বলেন, “বাংলাদেশে যুদ্ধাপরাধীদের বিচার চলতে থাকবে, এই বিচার শেষ হবে না। যারা তাদের হাতে স্বাধীনতার পতাকা তুলে দিয়েছে, তারাও সমান অপরাধে অপরাধী। যুদ্ধাপরাধীদের যেমন বিচার হয়েছে, এদের বিচারও বাংলার মাটিতে ইনশাল্লাহ হবে।”

১৯৭১ সালে যে জামায়াতে ইসলামী বাংলাদেশের স্বাধীনতার বিরোধিতা করেছিল, যাদের নেতাকর্মীরা সক্রিয়ভাবে যুদ্ধাপরাধে অংশ নিয়েছিল বলে আদালতে প্রমাণিত হয়েছে, সেই দলটিই ১৯৭৫ সালে বঙ্গবন্ধু সপরিবারে নিহত হওয়ার পর আবার বাংলাদেশে রাজনীতি করার অধিকার পায়। 

এই পুনর্বাসন প্রক্রিয়া ঘটে সাবেক সামরিক শাসক জিয়াউর রহমানের সময়ে। আর তার স্ত্রী খালেদা জিয়ার সরকারের সময় ২০০১ থেকে ২০০৬ মেয়াদে বাংলাদেশ সরকারের মন্ত্রী করা হয় দুই যুদ্ধাপরাধী জামায়াত আমীর মতিউর রহমান নিজামী ও সেক্রেটারি জেনারেল আলী আহসান মোহাম্মদ মুজাহিদকে।  

আরেক যুদ্ধাপরাধী, বিএনপি নেতা সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরী সে সময় ছিলেন খালেদা জিয়ার সংসদ বিষয়ক উপদেষ্টা। ২০০৯ সালে আওয়ামী লীগ সরকারে ফিরলে যুদ্ধাপরাধের বহু প্রতীক্ষিত বিচার শুরু হয়। সর্বোচ্চ আদালতের রায়ে যুদ্ধাপরাধের দায়ে নিজামী, মুজাহিদ, সাকা চৌধুরীসহ মোট ছয়জনের ফাঁসি ইতোমধ‌্যে কার্যকর করা হয়েছে।

যুদ্ধাপরাধ ট্রাইব‌্যুনালে নিজামীর রায়ের পর্যবেক্ষণে বলা হয়, একাত্তরে ন্যক্কারজনক ভূমিকার পরও এই যুদ্ধাপরাধীদের গাড়িতে জাতীয় পতাকা তুলে দেওয়া ছিল ‘লাখো শহীদদের প্রতি চপেটাঘাতের’ শামিল।