English Version
আপডেট : ১৩ ডিসেম্বর, ২০১৬ ১১:৩৭

দিয়াজের সার্টিফিকেট পাওয়া গেলো চবি’র হলে

নিজস্ব প্রতিবেদক
দিয়াজের সার্টিফিকেট পাওয়া গেলো চবি’র হলে

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের শাহ আমানত হলে পরিত্যক্ত অবস্থায় পাওয়া গেছে দিয়াজ ইরফান চৌধুরীর বাবার মুক্তিযোদ্ধা সার্টিফিকেট ও দিয়াজের স্নাতক সার্টিফিকেট। পরিবারের দাবি, দিয়াজকে হত্যা করে এই সার্টিফিকেটগুলো নিয়ে গিয়েছিল হত্যাকারীরা।

সোমবার সকাল ১০টায় পরিচ্ছনকর্মী হলের ডাইনিং পরিষ্কার করতে গেলে পরিত্যক্ত অবস্থায় দিয়াজের সার্টিফিকেট দেখতে পেয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্তৃপক্ষকে জানান। পরে পুলিশ ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে সার্টিফিকেটগুলো উদ্ধার করে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টরের কাছে জমা দেয়।   এ ব্যাপারে দিয়াজের বড় বোন অ্যাডভোকেট জুবাঈদা ছরওয়ার চৌধুরী নিপা, গত ২৯ অক্টোবর রাতে আমাদের বাসায় হামলা চালিয়ে টাকা-পয়সা, স্বর্ণালংকার, আমার বাবার মুক্তিযোদ্ধা সার্টিফিকেট ও দিয়াজের বেশকিছু সার্টিফিকেট নিয়ে যায়।  ওই হামলাকারী ছাত্রলীগের সভাপতি আলমগীর টিপুর অনুসারীরা। এদিকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির সুযোগ পাওয়া আমার ছোটভাই মিরাজ ইরফানের সাক্ষাত্কারের জন্য বাবার মুক্তিযোদ্ধা সার্টিফিকেটটি দরকার ছিল। দিয়াজ আমাকে জানিয়েছিল, টাকার বিনিময়ে চবি ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ইমতিয়াজ অভি দিয়াজকে সার্টিফিকেটগুলো ৮ নভেম্বরের দিকে ফেরত দিয়েছিল।  এজন্য দিয়াজ আমার কাছ থেকে পাঁচ হাজার টাকাও নিয়েছিল। মিরাজের সাক্ষাত্কার সম্পন্ন হওয়ার পর থেকে সার্টিফিকেটগুলো বাসায় ছিল। কিন্তু দিয়াজের মৃত্যুর দিন ২০ নভেম্বর থেকে বাবার মুক্তিযোদ্ধা সার্টিফিকেট ও দিয়াজের স্নাতকের সার্টিফিকেট আর পাওয়া যাচ্ছিল না। এ সময় দিয়াজকে হত্যা করে এই দুটি সার্টিফিকেট হত্যাকারীরা নিয়ে গেছে বলে দাবি করেন তিনি।   বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর মোহাম্মদ আলী আজগর চৌধুরী বলেন, খবর পেয়ে আমরা সার্টিফিকেট দু’টি অফিসে নিয়ে আসি। বিষয়টি তদন্ত করা হচ্ছে।   উল্লেখ্য, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে একটি নির্মাণ কাজের জন্য ৯৫ কোটি টাকার টেন্ডার নিয়ে দিয়াজের সঙ্গে বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সভাপতি আলমগীর টিপুর বিরোধ চলছিল। সেই বিরোধ, চাঁদা দাবিসহ নানা কারণে ষড়যন্ত্র করে দিয়াজকে ২০ নভেম্বর রাতে হত্যার পর লাশ ঘরে ঝুলিয়ে রাখা হয় বলে দাবি তার পরিবারের।