English Version
আপডেট : ১১ ডিসেম্বর, ২০১৬ ১৬:২১

দিয়াজের সারা দেহে মিলেছে আঘাতের চিহ্ন

নিজস্ব প্রতিবেদক
দিয়াজের সারা দেহে মিলেছে আঘাতের চিহ্ন

ছাত্রলীগ নেতা দিয়াজের পুনঃময়নাতদন্তে তার দেহে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে বলে দ্বিতীয় ময়নাতদন্ত প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে। এরআগে গতকাল শনিবার সকালে ময়নাতদন্তের জন্য দিয়াজের মরদেহ চট্টগ্রামে কবর থেকে উত্তোলন করা হয়। পরে লাশে এম্ব্যুলেন্স করে ঢামেক মর্গে আনা হয়। এসময় চট্টগ্রাম সিআইডি বিভাগের উপ-পরিদর্শক (এসআই) মহিউদ্দিন মরদেহ বহনকারীর গাড়ির সঙ্গে ছিলেন।

এদিকে আজ রোববার (১১ ডিসেম্বর) দুপুর ২টার দিকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে দিয়াজের ময়নাতদন্ত শুরু করে  তা শেষ হয় বেলা ৩টার দিকে।

ঢামেক ফরেনসিক বিভাগের প্রধান সোহেল মাহমুদসহ তিন সদস্য বিশিষ্ট মেডিকেল টিম ময়নতদন্ত সম্পন্ন করে। অন্য দুই সদস্য হলেন- একই বিভাগের প্রভাষক প্রদীপ বিশ্বাস ও কবির সোহেল।

ময়নাতদন্ত শেষে বেরিয়ে সোহেল মাহমুদ সাংবাদিকদের বলেন, দিয়াজের শরীর থেকে ভিসেরা, গলা থেকে টিস্যু ও দাঁত সংগ্রহ করা হয়েছে। নমুনাগুলো হিস্টোপ্যাথলজিতে পাঠানো হবে। এর আগে আমরা সিন অব ক্রাইম ভিজিট করবো। সবকিছু পর্যালোচনার পর আমরা একটি ফাইনাল রিপোর্ট দেবো।

তিনি আরও বলেন, দিয়াজের শরীরে আমরা আঘাতের চিহ্ন পেয়েছি। 

এ কথা শোনার পর দিয়াজের স্বজনদের মধ্যে স্বস্তি নেমে আসে এবং তারা কান্নায় ফেটে পড়েন। 

রাজধানীর একটি হোটেলে অবস্থা করা নিহত দিয়াজের মা জাহেদা আমিন চৌধুরী ও বোন যোবাইদা সারোয়ার চৌধুরীসহ স্বজনরা সকালে ঢামেকে আসেন।

মা জাহেদা আমিন দিয়াজের ছবি নিয়ে কাঁদতে কাঁদতে বলেন, আমার ছেলের সারা শরীরে আঘাত। আমার ছেলের বিচারের জন্য আমি শেষ নিঃশ্বাস পর্যন্ত লড়ে যাবো। 

মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে তার আকূল আবেদন, এটা আত্মহত্যা নয়, হত্যাকাণ্ড। এসময় সঙ্গে থাকা স্বজনরা চট্টগ্রামে দেওয়া ময়নাতদন্তের তীব্র প্রতিবাদ জানান এবং রিপোর্ট দানকারী ডাক্তারসহ সংশ্লিষ্টদের শাস্তিরও দাবি করেন। তাদের প্রশ্ন ২২ ঘন্টা তারা কিভাবে ময়নাতদন্তের প্রতিবেদন দিলেন।