English Version
আপডেট : ৬ ডিসেম্বর, ২০১৬ ১২:০৫

গণতন্ত্র মুক্তি দিবস আজ

অনলাইন ডেস্ক
গণতন্ত্র মুক্তি দিবস আজ

ঢাকা: আজ ৬ ডিসেম্বর, গণতন্ত্র মুক্তি দিবস। স্বৈরাচার পতনের ২৬ বছর পূর্তি আজ। ১৯৯০ সালের এই দিনে ছাত্র-জনতার উত্তাল গণঅভ্যুত্থানের মুখে পতন হয় সামরিক স্বৈরশাসক এইচএম এরশাদের। আর এ পতনের মধ্য দিয়ে গণতন্ত্রের লেবাসে দীর্ঘ সামরিক শাসনের অবসান হয়, মুক্তি পায় গণতন্ত্র।

এই দিনে স্বৈরাচারী এরশাদ সরকারের পতন হয়। ১৯৮৩ সালের মধ্য ফেব্রুয়ারি থেকে ছাত্রসমাজ শুরু করে এরশাদ বিরোধী আন্দোলন। দীর্ঘ ৮ বছর ধরে স্বৈরাচারবিরোধী আন্দোলন করেছে রাজপথে। 

আওয়ামী লীগের নেতৃত্বে আট দলীয়, বিএনপির নেতৃত্বে সাত দলীয় এবং সিপিবি, জাসদ (ইনু), ওয়ার্কার্স পার্টির নেতৃত্বে পাঁচ দলীয় জোট সম্মিলিতভাবে ১৯৯০ সালে স্বৈরাচারী এরশাদ সরকারের বিরুদ্ধে তীব্র আন্দোলন গড়ে তোলে। আন্দোলনে রাজপথে প্রাণ দিতে হয় নূর হোসেন, সেলিম, দেলোয়ার, ডা. মিলনসহ নাম অজানা অনেক অকুতোভয় মানুষকে। উত্তাল হয়ে ওঠে ঢাকার রাজপথ। তীব্র হয় গণআন্দোলন, রূপ নেয় গণঅভ্যুত্থানে। সামরিক শিকলে বন্দী গণতন্ত্র মুক্তির আন্দোলনের চূড়ান্ত রূপরেখা তৈরি হয় ১৯৯০ সালের ১৯ নভেম্বর। ওইদিনই তিনটি জোট ঐক্যবদ্ধভাবে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের রূপরেখা ঘোষণা করে। পতন হয় স্বৈরাচারী এরশাদ সরকারের।দিবসটি উপলক্ষে বাণী দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া।

প্রধানমন্ত্রী তার বাণীতে, গণতন্ত্রের অতন্দ্র প্রহরী সংগ্রামী দেশবাসীকে আন্তরিক অভিনন্দন ও শুভেচ্ছা জানিয়ে বলেন, আওয়ামী লীগ ’৯০ পরবর্তী দুই দশকে গণতন্ত্র ও ভোটাধিকার রক্ষায় দায়িত্বশীল ভূমিকা পালন করেছে। বাংলাদেশের সংবিধানের পঞ্চদশ সংশোধনীর মাধ্যমে অবৈধ ক্ষমতা দখলের পথ বন্ধ করা হয়েছে। 

মহান স্বাধীনতা সংগ্রাম ও মুক্তিযুদ্ধের গৌরবোজ্জ্বল ইতিহাসকে বিকৃত করে। দেশে নৈরাজ্য ও সন্ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করে।শহীদদের রক্তের বিনিময়ে অর্জিত হয় গণতন্ত্র।  প্রধানমন্ত্রী দেশবাসীর এই স্বতঃপ্রণোদিত ত্যাগ ও অধিকার রক্ষায় আপোষহীনতার জন্য কৃতজ্ঞতা জানান। 

প্রধানমন্ত্রী বলেন, আসুন, গণতন্ত্রের ভিত্তিকে আরো শক্তিশালী করতে দেশের উন্নয়ন ও জনগণের কল্যাণে সকলে ঐক্যবদ্ধ হয়ে কাজ করি। গণতন্ত্র মুক্তি দিবসে এই হোক আমাদের দৃঢ় অঙ্গীকার।