English Version
আপডেট : ১৫ সেপ্টেম্বর, ২০১৬ ১৫:২১

ফাঁকা সচিবালয়ে ঈদের আমেজ

অনলাইন ডেস্ক
ফাঁকা সচিবালয়ে ঈদের আমেজ

ঈদুল আজহার ছয় দিনের ছুটির পর আজ বৃহস্পতিবার খুলেছে সরকারি অফিস। প্রশাসনের প্রাণকেন্দ্র সচিবালয় ঘুরে দেখা গেছে, কর্মকর্তা-কর্মচারীদের উপস্থিতির হার খুবই কম। বিভিন্ন মন্ত্রণালয় ও সচিবালয়ে দায়িত্ব পালনকারী গোয়েন্দা সংস্থাগুলোর তথ্যমতে, সচিবালয়ে উপস্থিতি হার ৫০ শতাংশের মতো। ঈদের ছুটির পর বৃহস্পতিবার প্রথম অফিস, এরপর আবার দুই দিনের সাপ্তাহিক ছুটি। একই সঙ্গে বৃহস্পতিবার ঐচ্ছিক ছুটি থাকায় বেশির ভাগ কর্মকর্তা-কর্মচারী অফিসমুখী হননি বলে বিভিন্ন মন্ত্রণালয় ও বিভাগ সূত্রে জানা গেছে। প্রথম কর্মদিবসে মন্ত্রী-প্রতিমন্ত্রীও এসেছেন হাতেগোনা কয়েকজন। সচিবালয়ে এসেই কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময় করেছেন। কোন কোন মন্ত্রণালয়ে কর্মকর্তা-কর্মচারীরা এক কক্ষে জড়ো হয়ে পরস্পর ঈদের শুভেচ্ছা বিনিময়ে মেতে উঠছেন। কর্মকর্তা-কর্মচারীরা বলছেন, ঈদের পর প্রথম অফিসই সচিবালয়ে ঈদের দিন। সকাল পৌনে ১১টার দিকে সচিবালয়ে নিজ দপ্তরে মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সঙ্গে ঈদের শুভেচ্ছা বিনিময় ও কোলাকুলি করেন শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ। মিষ্টিমুখ করান উপস্থিত সবাইকে। এরপর তিনি সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন। শিক্ষামন্ত্রী বলেন, এবার সার্বিকভাবে উৎসবের আমেজে সবাই ঈদ পালন করেছে। অর্থনৈতিক উন্নতির ফলে এটা হয়েছে। ঈদে সবাই শিকড়ের কাছে ফিরে যেতে চায়। এবার যাতায়াতের বিড়ম্বনাও ছিল কম। রাস্তাঘাটের উন্নতি হয়েছে। তাই ঈদ উপলক্ষে সবাই নিজের গন্তব্যে যেতে পেরেছেন। একজন ব্যবসায়ী আমাকে বলেছেন, এবার ঈদে ব্যবসা গত ৪ বছর আগের তুলনায় ৪ গুণ বেড়েছে। আজ অনেকে ঐচ্ছিক ছুটি নিতে পারেন, যারা ছুটি নিয়েছেন তারা তিন দিন বাড়তি ছুটি কাটাবেন বলেন নুরুল ইসলাম নাহিদ। বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটনমন্ত্রী রাশেদ খান মেনন সকাল ১০টার মধ্যেই অফিসে হাজির হন। এসে কর্মকর্তাদের সঙ্গে ঈদের শুভেচ্ছা বিনিময় করেন। পর্যটনমন্ত্রী বেলা সাড়ে ১১টার দিকে নিজ দফতরে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন। তিনি বলেন, এবারের ঈদে পর্যটন খুবই বাড়ন্ত। পর্যটন স্পটগুলোতে পর্যটকদের আমরা জায়গা দিতে পারিনি। আমাদের অবকাঠামো আরও বৃদ্ধি করতে হবে। এটাই হচ্ছে বাস্তবতা। ঈদের ছুটিতে কিছু লোক বাংলাদেশ থেকে বিদেশেও গেছে। বৃহস্পতিবার ঐচ্ছিক ছুটি জানিয়ে মেনন বলেন, বৃহস্পতিবার অনেকেই ছুটি নেওয়াতে উপস্থিতি খুবই কম। আশা করা যায় আগামী রবিবার থেকে পুরোদমে অফিস শুরু হবে। সচিবালয়ে শিক্ষা মন্ত্রণালয়, গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়, খাদ্য মন্ত্রণালয়, বিমান ও পর্যটন মন্ত্রণালয়, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়, বিদ্যুৎ জ্বালানি ও খনিজসম্পদ মন্ত্রণালয়সহ বিভিন্ন মন্ত্রণালয় ঘুরে দেখা গেছে উপস্থিতি খুবই কম। কোন কোন মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তার কক্ষ তালাবদ্ধ অবস্থায়ই রয়েছে। অনেক কক্ষে চেয়ার টেবিল ফাঁকা পড়ে থাকতে দেখা গেছে। যারাও এসেছেন কাজে-কর্মে ছিলো অনেকটাই ঢিলেঢালা ভাব। উপস্থিত কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা মূলত পারস্পরিক খোঁজ-খবর ও শুভেচ্ছা বিনিময়েই ব্যস্ত ছিলেন। বৃহস্পতিবার সচিবালয়ে দর্শনার্থীও খুব কম। সচিবালয়ে ভবনগুলোর করিডর ও লিফটগুলোর সামনে ভিড় নেই। পৌঁনে ১২টার দিকে গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের ১০৪ নম্বর কক্ষ ও খাদ্য মন্ত্রণালয়ের ১২৪ নম্বর কক্ষটি প্রায় ফাঁকা দেখা গেছে। সচিবালয়ে গাড়ি রাখার স্থানগুলোতে বৃহস্পতিবার অন্যান্য সময়ের মতো গাড়িও চোখে পড়েনি। সচিবালয়ে মুদি-মনিহারির দোকনটিও বন্ধ রয়েছে। বন্ধ রয়েছে সচিবালয়ের ক্যান্টিনগুলোও।