English Version
আপডেট : ১০ সেপ্টেম্বর, ২০১৬ ১২:৪৩

৩৫ কাঠুরিয়া হত্যার বিচার হয়নি ২০ বছরেও

অনলাইন ডেস্ক
৩৫ কাঠুরিয়া হত্যার বিচার হয়নি ২০ বছরেও

নিমর্ম ভাবে নির্যাতন করে পার্বত্য চট্টগ্রামের রাঙামাটি জেলাধীন লংগদুর পাকুয়াখালীর ৩৫ কাঠুরিয়া হত্যাকান্ডের বিচার হয়নি দীর্ঘ ২০ বছরেও। পার্বত্য চট্টগ্রামের ইতিহাসের শোকাবহ এক কালোদিন ছিল ৯ সেপ্টেম্বর। বর্বর এ হত্যাকান্ডের কোন বিচার না পাওয়ায় নিহতদের পরিবার।

১৯৯৬ সালের রাঙামাটি জেলার লংগদু-বাঘাইছড়ি উপজেলার সীমান্তবর্তী এলাকায় পাকুয়াখালীর গহীন অরণ্যে ৩৫ কাঠুরিয়াকে হাত-পা ও চোখ বেঁধে নির্যাতন পর নির্মমভাবে হত্যা করে তৎকালীন শান্তি বাহিনী  নামে সশস্ত্র উপজাতীয় সন্ত্রাসী গ্রুপ।

সেদিন তাদের মধ্যে ইউনুছ নামের এক কাঠুরিয়া পালিয়ে আসতে সক্ষম হয়। পরে ১১ সেপ্টেম্বর পুলিশ ও সেনাবাহিনী পাকুয়াখালী হতে ২৮ জন কাঠুরিয়ার লাশ উদ্ধার করে। বাকি ৭ জন কাঠুরিয়ার লাশ পাওয়া যায়নি। সেদিন থেকে পার্বত্যাঞ্চলের বাঙ্গালীরা এই দিনটিকে পাকুয়াখালী ট্রাজেডি দিবস হিসেবে পালন করে আসছে।

এটি পার্বত্য চট্টগ্রামের বহু গণহত্যার মধ্যে অন্যতম ঘটনা।

ক্ষতিগ্রস্থ পরিবারগুলোর অভিযোগ, ৩৫ কাঠুরিয়া হত্যাকান্ডের ঘটনার পর পর তৎকালীন আওয়ামীলীগ সরকারের একটি সংসদীয় টিম লংগদু সফর করে এ ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত ও দোষীদের বিচার, ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের পুনর্বাসনের আশ্বাস দিয়ে আসে। কিন্তু পরবর্তীতে সরকারগুলোও একই আশ্বাস দিয়ে আসলেও এখনো এই ঘটনার কোন কুল কিনারা হয়নি। পুনর্বাসিত হয়নি ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলোও।

এ ব্যাপারে পার্বত্য চট্টগ্রাম সম-অধিকার আন্দোলনের নেতা ওয়াদুদ ভূইয়া বলেন, উপজাতি সশস্ত্র সন্ত্রাসীরা বিনা অপরাধে ৩৫ বাঙালীকে হত্যা করেছে। কিন্তু তার বিচার হয়নি। শুধুমাত্র পাকুয়াখালীর ৩৫ কাঠুরিয়া নয়, পার্বত্যাঞ্চলে অনেক বাঙালী হত্যাকান্ডের ঘটনা ঘটেছে। কিন্তু তার একটিরও বিচার হয়নি আজো।

পাহাড়ের মানুষগুলো দীর্ঘ বছর ধরে দাবি জানিয়ে আসলেও সরকারের পক্ষ থেকে এসব হত্যাকান্ডের বিচারের ব্যাপারে কোন উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়নি। এ হত্যাকান্ডের সঙ্গে জড়িতদের দ্রুত আইনের আওতায় এনে  বিচার শুরু করতে সরকারের প্রতি দাবী জানান তিনি।

এদিকে, পাকুয়াখালীর ৩৫ কাঠুরিয়া হত্যা দিবস উপলক্ষে শুক্রবার লংগদুতে গণকবর জিয়ারত, দোয়া মাহফিল ও স্বরণ সভা ও বিক্ষোভ কর্মসূচী পালনের করেছে নিহতের পরিবার-পরিজনরা।