English Version
আপডেট : ১০ সেপ্টেম্বর, ২০১৬ ১২:১৯

সন্ত্রাসীদের ভয়ে পালিয়ে বেড়াচ্ছে রূপকুমার, পুলিশের হস্তক্ষেপ কামনা উষার

উজ্জ্বল রায়
সন্ত্রাসীদের ভয়ে পালিয়ে বেড়াচ্ছে রূপকুমার, পুলিশের হস্তক্ষেপ কামনা উষার

সন্ত্রাসীদের হুমকিতে প্রাণের ভয়ে পালিয়ে বেড়াচ্ছে একটি সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের পরিবারের লোকজন। ভুক্তভোগীরা হচ্ছে নড়াইলের মিঠাপুর গ্রামের বাসিন্দা ঋষি সম্প্রদায়ভুক্ত এক পরিবার। প্রাণের ভয়ে পালিয়ে বেড়ানো ব্যক্তির নাম রূপকুমার বিশ্বাস (৪০)। বর্তমানে সে নিরুদ্দেশ এবং পরিবারের সাথে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন রেখেছে। তার স্ত্রী ঊষা বিশ্বাস স্বামীকে ফিরে পেতে বিভিন্ন লোকের দ্বারে দ্বারে ঘুরেও কোন সুফল পাচ্ছেন না।

পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে, গত কয়েক মাস পূর্বে এলাকার চিহ্নিত সন্ত্রাসী ও নেশাখোর পরিতোষ বিশ্বাস (৪০), বিশ্ব কুমার বিশ্বাস (৩৮) ও বিষ্ণু বিশ্বাস (৩৫) একটি গোলযোগকে কেন্দ্র করে ভুক্তভোগী রূপকুমার বিশ্বাস ও তার স্ত্রীকে বেধড়ক পেটায়। সেই সাথে রূপকুমার বিশ্বাসকে বাড়ি না ছাড়লে হত্যার হুমকি দেয়। তারই ধারাবাহিকতায় পরদিনই রূপকুমার বিশ্বাস প্রাণের ভয়ে রাতের অন্ধকারে পালিয়ে যায়। সেই থেকে আর তার কোন খোঁজ পাওয়া যায়নি।

একান্ত সাক্ষাৎকারে রূপকুমারের স্ত্রী ঊষা বিশ্বাস জানান, বিগত ২/৩ মাস পূর্বে উপরোল্লিখিত সন্ত্রাসীরা প্রতিদিনই তাদের বাড়ির পাশে মাদকসেবন করতে আসতো। এ বিষয়ে রূপকুমার ও ঊষা বিরোধিতা করলে সন্ত্রাসীরা তাদের বেধড়ক পিটিয়ে আহত করে। ফলে বাধ্য হয়ে তারা স্বামী-স্ত্রী মিলে এবং ঊষা বিশ্বাস নিজেই বাদী হয়ে ওই সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে কোর্টে মামলা দায়ের করে। মামলা দায়েরের ব্যাপারটি জানাজানি হলে সন্ত্রাসীরা রূপকুমার ও তার স্ত্রীর বিরুদ্ধে ক্ষেপে যায় এবং তাদের পেটায়। প্রাণের ভয়ে রূপকুমার বর্তমানে আত্মগোপনে রয়েছে।

এদিকে সাংবাদিকরা খোঁজ-খবর নিতে ভুক্তভোগীর বাড়িতে এলে তার দুই শিশু পুত্র হৃদয় ও জয় কান্নায় ভেঙ্গে পড়ে এবং তার পিতাকে খুঁজে দেওয়ার জন্য আকুতি মিনতি করে। এ ব্যাপারে অভিযুক্তদের সাথে যোগাযোগ করা হলে তাদেরকে খুঁজে না পাওয়ার কারণে আসামি পরিতোষ বিশ্বাসের ভাতিজা উজ্জ্বল জানান, আমার চাচা সম্পূর্ণ নির্দোষ। তাছাড়া আমার চাচা কোন প্রকার নেশাদ্রব্য সেবন করেনা। এবং তার বিরুদ্ধে আনীত সকল অভিযোগ মিথ্যা ও ভিত্তিহীন।

এছাড়াও এটি একটি পারিবারিক কোন্দল বলে তিনি গণমাধ্যমকর্মীদের জানান। বর্তমানে ভুক্তভোগীর পরিবার সংবাদপত্রের মাধ্যমে প্রশাসনের আশু হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন যাতে তারা রূপকুমারকে আমার ফিরিয়ে আনতে পারেন। এবং দোষীদের গ্রেফতার করে বিচারের ব্যবস্থা করতে পারেন। সেই সাথে তারা একটি সংখ্যালঘু পরিবারের জীবনের নিরাপত্তারও দাবি জানিয়েছেন।