English Version
আপডেট : ২৮ আগস্ট, ২০১৬ ০১:৩৭

খানসামায় পানির অভাবে বিপাকে আমন চাষীরা

অনলাইন ডেস্ক
খানসামায় পানির অভাবে  বিপাকে আমন চাষীরা

দিনাজপুরের খানসামায় খরা ও প্রচন্ড তাপদাহে এলাকার আমন ধান শুকিয়ে যাচ্ছে। র্দীঘ দিন ধরে বৃষ্টি না হওয়ার ফলে কৃষকরা আমন আবাদ নিয়ে বিপাকে পড়েছেন। বাধ্য হয়ে তারা সেচ যন্ত্রের সাহায্যে জমিতে সেচ দিচ্ছেন। এতে খরচ বেড়ে যাচ্ছে।

খানসামা অঞ্চলসহ আশপাশ এলাকায় সর্বশেষ ২০ আগষ্ট  মাত্র কয়েক মিনিট বৃষ্টি হয়েছিল। দীর্ঘ  দিন অতিবাহিত হলেও কাঙ্গক্ষিত বৃষ্টির দেখা পাওয়া যায়নি। যা আমন আবাদে কোনো কাজে আসছে না। দিনাজপুরঞ্চলে শুক্রবার ৩৫.২ ডিগ্রি সেলসিয়াস সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল। শনিবারও একই তাপমাত্রা ছিল। তিন সপ্তাহ ধরে দিনের তাপমাত্রাও একই রকম বিরাজ করছে।

টানা খরা ও প্রচন্ড তাপদাহে এসব ক্ষেতের পানি শুকিয়ে গেছে। আমন চারা রোপণের পর থেকে পর্যাপ্ত বৃষ্টি না হওয়ায় ধান গাছ লালচে ও হলুদ হয়ে গেছে। এতে কৃষক ও কৃষি বিভাগ এবার আমনের ল্যমাত্রা অর্জন না হওয়ার আশঙ্কা করছেন।

শুক্রবার উপজেলার ৬টি ইউনিয়নের বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা গেছে, বর্ষার ভরা মৌসুমে পানির অভাবে আমনতে ফেটে চৌঁচির হচ্ছে। সবুজ আমন চারা শুকিয়ে লালচে ও হলুদ হচ্ছে। পানির জন্য কৃষকরা হাহাকার করছে।

উপজেলার আলোকডিহি গ্রাামের কৃষক হাফিজুল ইসলাম জানান, বৃষ্টির পানিতে আমন আবাদ হয়। এবার সেই বৃষ্টির দেখা নেই। প্রচন্ড- রোদে জমি পুড়ে যাচ্ছে।

আমন ধান বাচাঁতে আমরা সেলো মেশিন দিয়ে জমিতে পানি দিচ্ছি। একই গ্রামের কৃষক ইয়াকুব আলী জানান, তিনি বর্গা নিয়ে ৩৫ শতক জমিতে আমন আবাদ করেছেন। খরাতে টাকা খরচ করে  সেচ দিয়েছেন।

ডাঙ্গাপাড়া গ্রামের কৃষক কৈলাস ও খগেন্দ্র নাথসহ অনেকে জানান, এ সময় ক্ষেত্রে পর্যাপ্ত পানির দরকার। কিন্তু দীর্ঘদিন ধরে বৃষ্টি নেই। জমিতে সেচ দিয়েও ফসল করা সম্ভব হচ্ছে না। জমিতে সেচ দেয়ার পর পানি নিমেষেই হারিয়ে যাচ্ছে। এ অঞ্চলের কৃষকরা বিদ্যুৎ চালিত ও শ্যালো মেশিন দিয়ে চাষ করার চেষ্টা করছেন। এতে এবার আমান আবাদে খরচ বেড়ে যাবে।

পাকেরহাট গ্রামের কৃষক রহমত আলী জানান, পানির অভাবে জমিতে ইউরিয়াসহ অন্য কোনো সার প্রয়োগ করতে পারছেন না। প্রচন্ড- খরায় জমি ফেটে চৌঁচির হয়ে যাচ্ছে। জমিতে মাজরা পোকাও দেখা দিয়েছে। ওষুধ দিয়েও কোনো কাজ হচ্ছে না। অতিরিক্ত মাজরা পোকা আক্রমণের কারণে ফসল নষ্ট হয়ে যাওয়ার আশঙ্কা রয়েছে।