English Version
আপডেট : ২৪ আগস্ট, ২০১৬ ১২:১৩

সদরঘাট ছেড়েছে ৬ লঞ্চ, ভিড়েছে ২১টি

অনলাইন ডেস্ক
সদরঘাট ছেড়েছে ৬ লঞ্চ, ভিড়েছে ২১টি

মজুরি বৃদ্ধিসহ ১৫ দফা দাবিতে নৌ শ্রমিকদের ধর্মঘটের দ্বিতীয় দিনেও নৌযান চলাচল ব্যাহত হচ্ছে। এতে যাত্রী ও পণ্য পারাপারে ব্যাঘাত ঘটনায় দুর্ভোগে চরমে উঠেছে। তবে ধর্মঘটের প্রথম দিনের তুলনায় দ্বিতীয় দিন নৌযান চলাচল কিছুটা বেড়েছে।

বুধবার সকাল ১০টা পর্যন্ত সদরঘাট টার্মিনাল থেকে নয়টি লঞ্চ ছাড়ার কথা ছিল। তবে ছেড়েছে ছয়টি। আর সকালে ৪০টি লঞ্চ আসার কথা থাকলেও এসেছে ২১টি।

বিআইডব্লিউটিএর সদরঘাট টার্মিনালের পরিদর্শক পক্ষের তথ্য অনুযায়ী ধর্মঘটের প্রথম দিন মঙ্গলবার সদরঘাট থেকে ৪২টি রুটে ৬৫টি লঞ্চ ছাড়ার কথা থাকলেও ছেড়েছে ২৪টি। আর সেদিন সকালে দেশের বিভিন্ন এলাকা থেকে লঞ্চ আসে ৩৭টি।

নৌযান শ্রমিক ফেডারেশনের সভাপতি মো. শাহ্ আলম ভূঁইয়া বলেছেন, ন্যূনতম মজুরি ১০ হাজার টাকা নির্ধারণসহ বেতন স্কেল ঘোষণা, দুর্ঘটনায় নিহত শ্রমিকদের ক্ষতিপূরণ পুনর্নির্ধারণ, নৌপথে সন্ত্রাস, ডাকাতি ও চাঁদাবাজি বন্ধসহ নদীপথ প্রতিরক্ষার দাবিতে এই ধর্মঘট শুরু হয়েছে। তার দাবি, কর্মসূচিতে ১৭টি নৌযান শ্রমিক সংগঠন একাত্মতা প্রকাশ করেছে।

শ্রমিকরা গত ২০ এপ্রিল থেকেও একই দাবিতে অনির্দিষ্টকালের কর্মবিরতি পালন করেছিল। ছয় দিন পর শ্রমিকদের ন্যূনতম মজুরি ১০ হাজার টাকা করার ঘোষণা দেন নৌমন্ত্রী শাজাহান খান। তবে তা এখনও বাস্তবায়িত হয়নি।

আমাদের বরিশাল প্রতিনিধি জানিয়েছেন, শ্রমিক ধর্মঘটের কারণে জেলায় অভ্যন্তরীণ রুটে কোন লঞ্চ চলছে না। তবে বরিশাল থেকে ঢাকা, মাছুয়া ও মজু চৌধুরীর ঘাট রুটে সরকারি জাহাজ চলছে। ঢাকা-বরিশাল রুটে লঞ্চ চলাচলও করছে। সকালে তিনটি লঞ্চ ঢাকা থেকে বরিশালে যাত্রী নিয়ে এসেছে। গতরাতে ঢাকার উদ্দেশে ছেড়ে যায় ৬টি লঞ্চ।  জেলায় আটকে পড়া যাত্রীদের কিছু অংশ আজও ঘাটে এসে ফিরে গেছেন। গন্তব্যে না যেতে পেরে প্রকাশ করেছেন ক্ষোভ।

আমাদের শরীয়তপুর প্রতিনিধি জানান, ধর্মঘটের কারণে শরীয়তপুরের সঙ্গে রাজধানীর নৌ যোগাযোগ কার্যত ভেঙে পড়েছে। প্রতিদিন এই জেলার অন্তত ২০টি ঘাট থেকে ঢাকা, নারায়ণগঞ্জ, বাঁদপুর, বরিশালসহ বিভিন্ন রুটে অন্তত ২০টি লঞ্চ চলে। তবে দুদিন ধরে টার্মিনাল ছেড়ে নিরাপদ দূরত্বে লঞ্চ নোঙ্গর করে রেখেছেন শ্রমিকরা। হঠাৎ এই কর্মসূচিতে বিপাকে পড়েছেন যাত্রীরা। দ্রুত সমস্যা সমাধানের দাবি জানিয়েছেন তারা।

আমাদের চাঁদপুর প্রতিনিধি জানান, ধর্মঘটের মধ্যে জেলা থেকে কিছু লঞ্চ চলছে। গত রাত থেকেই ঢাকা ও বরিশালের উদ্দেশে ছেড়ে গেছে কয়েকটি লঞ্চ। আজ সকাল সাড়ে সাতটায় দুটি ছেড়েছে ঢাকার উদ্দেশে। সকালে ধর্মঘটের সমর্থনে কোনো শ্রমিক নেতাকে ঘাটে দেখা যায়নি। অপ্রীতিকর পরিস্থিতি এড়াতে ঘাটে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা আছে।