English Version
আপডেট : ১১ আগস্ট, ২০১৬ ১২:১৭

পানি কমে রাক্ষুসী রুপে পদ্মা

অজয় কুন্ডু
পানি কমে রাক্ষুসী রুপে পদ্মা

পানি কমে মাদারীপুরের শিবচরে পদ্মা ও আড়িয়াল খাঁ ভয়ংকর আগ্রাসী রুপ ধারন করেছে। গত ২৪ ঘন্টায় শিবচরে পদ্মা নদীর পানি ২০ সে:মি: কমে এখনো বিপদসীমার ৪ সে:মি: উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। এতে নদী ভাঙ্গন রাক্ষুসী রুপ নিয়েছে।

এরই মধ্যে পদ্মা নদীর চরাঞ্চল চরজানাজাত ইউনিয়নের ৩০নং পূর্ব খাসচর বন্দরখোলা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের দ্বিতল ভবন ও কাঠালবাড়ির কাউলিপাড়া মাদ্রাসা নদীতে বিলীন হয়ে গেছে। চরজানাজাত ইউনিয়নের ৩০নং পূর্ব খাসচর বন্দরখোলা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে আড়াই শতাধিক শিক্ষার্থীর শিক্ষা কার্যক্রম চরমভাবে ব্যহত হচ্ছে।

বন্ধ রাখা হয়েছে এই বিদ্যালয়সহ ৮টি স্কুলের শিক্ষা কার্যক্রমসহ পরীক্ষা। পানি কমার সাথে সাথে পদ্মা ও আড়িয়ালখার ভাঙ্গনের তীব্রতা বেড়ে এ পর্যন্ত ৫টি ইউনিয়নের প্রায় ৬শতাধিক ঘর বাড়ি ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে।

বুধবার (১০ আগস্ট) ৩০নং পূর্ব খাসচর বন্দরখোলা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক রফিকুর ইসলাম বাবুল বলেন, পদ্মার তীব্র ভাঙ্গনে স্কুলটির অর্ধেক অংশ নদীতে বিলীন হয়ে গেছে। ফলে ৩ শতাধিক শিক্ষার্থীর শিক্ষা জীবন ব্যহত হচ্ছে। গত বছরেও এ চরের ৩টি স্কুল নদীতে বিলীন হয়।

একই প্রসঙ্গে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ইমরান আহমেদ বলেন, দুই নদীর ভাঙ্গনে শিবচরে ৫টি ইউনিয়নের ৬শতাধিক ঘর বাড়ি, ২টি স্কুল ও মাদ্রাসা আক্রান্ত হয়েছে। ১টি ইউনিয়নসহ সম্পূর্ন বন্যা কবলিত হয়েছে মোট ৯টি ইউনিয়ন। এ পর্যন্ত স্থানীয় সংসদ সদস্য নুর-ই আলম চৌধুরীর নির্দেশে বন্যা দূর্গতদের মাঝে প্রায় ৪১ মে.টন চাল, ৩ লাখ টাকার শুকনো খাবার, নগদ ১ লাখ টাকা বিতরণ করা হয়েছে।

এছাড়া সংসদ সদস্যের নির্দেশ অনুসারে ত্রান ও নগদ অর্থ বিতরণ করছে।

অন্যদিকে পদ্মা নদীতে তীব্র স্রোতের কারণে মাদারীপুরের কাওড়াকান্দি-শিমুলিয়া নৌরুটে ফেরি চলাচল ব্যাহত হচ্ছে। বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌ-পরিবহন কর্পোরেশন (বিআইডব্লিউটিএ) বুধবার সকালে স্রোতের তীব্রতা বেড়ে গেলে ৮টি ডাম্ব ফেরি চলাচল বন্ধ করে দেয়। ফলে ১৭টি ফেরি মধ্যে চলাচল করছে ৯টি। এতে ঘাটের উভয় পাশে পারাপারের অপোয় আটকে আছে কয়েক শ’ যানবাহন। আর গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টিতে যাত্রীদের দুর্ভোগ বেড়েছে।

মাদারীপুরের কাওড়াকান্দি ফেরিঘাটের ব্যবস্থাপক মো. সালাম হোসেন জানান, দুর্ঘটনা এড়াতে তীব্র স্রোতের কারণে ৪টি রো রো, কে-টাইপ ৪টি ও একটি ভিআইপি ফেরি দিয়ে যাত্রী ও যানবাহন পারাপার করা হচ্ছে। একই সঙ্গে বন্ধ রয়েছে লঞ্চ ও স্পীডবোট চলাচল।