English Version
আপডেট : ৬ আগস্ট, ২০১৬ ১৩:২০

ভূয়া খবরে এলাকাবসীদের মাঝে উত্তেজনা

অনলাইন ডেস্ক
ভূয়া খবরে  এলাকাবসীদের মাঝে উত্তেজনা

জমি অধিগ্রহনের ভূয়া খবরে বাল্লা স্থলবন্দরের টেকারঘাট ও কেদারাকোট গ্রামে উত্তেজনা চলছে। প্রতিদিন গ্রামের সৃষ্টি হচ্ছে ছোট ছোট ঝগড়া বিবাদ। যা কোন সময় বৃহৎ আকার ধারন করতে পারে এ বিবাদ। 

এ নিয়ে ঘরে ঘরে চাঁদাতোলা হচ্ছে। কেউ চাঁদা না দিলে তাকে হুমকি দমকি দিচ্ছে কর্তাব্যক্তিরা। স্থলবন্দর স্থাপনে বাধাঁ সৃষ্ঠি করতে কোন ষড়যন্ত্র হচ্ছে কিনা তাও ভাবছে আমদানী রপ্তানীকারকরা।

দীর্ঘদিনের প্রতিক্ষিত  চুনারুঘাটের বাল্লা স্থলবন্দর স্থাপনে বাধাগ্রস্ত কার স্বার্থে এটাই এখন জনমনে প্রশ্ন? এলাকাবাসী জানান গত ২৮ই মার্চ নৌপরিবহন মন্ত্রী শাহজাহান খাঁন বাল্লা স্থলবন্দর কেদারাকোটে ঘোষনা করেন। ইতিমধ্যে সরকার স্থলবন্দরের অবকাঠামো উন্নয়নের জন্য ৬০ কোটি টাকা বরাদ্দ দেয়। এবং ২০১৯ সালের মধ্যে কাজ শেষ হওয়ার কথা রয়েছে।

এখনো পর্যন্ত কোন প্রকার জমি অধিগ্রহন বা বন্দর উন্নয়ন কাজের চিঠি মন্ত্রনালয় বা জেলা ও উপজেলায় পৌছেনি। শুধু মাত্র বিশগাঁও ভূমি অফিসের একজন কর্মকর্তা সীমানা নির্ধারনের স্থানটি ঘুরে যান তাতেই কিছু লোক জমি নিয়ে যাবে বলে সাধারন মানুষের মাঝে বৃভ্রান্ত ছড়িয়ে দিচ্ছে। এবং ঘর-বাড়ি ও জমি রক্ষায় আন্দোলনের জন্য প্রতি ঘর থেকে চাঁদা নেয়া হচ্ছে।

এলাকাবাসী আরো জানান, এখানকার কয়েকজন দালাল বিরোধী দলীয় কিছু লোকের ইন্ধনে বর্তমান সরকারের উন্নয়নকে বাধাগ্রস্ত করতে বন্দরের কাজ শুরুর পূর্বেই গভীর ষড়যন্ত্র করছে। তারা বলেন স্থল বন্দরের আওতায় ২২ একর জমির প্রয়োজন যা অধিগ্রহনের সময় ৭-৮ টি বাড়ী পড়তে পারে বলে ধারনা করা হচ্ছে।

সরকার তাদের ন্যায্যমূল্য দিয়েই এখানে স্থল বন্দর করবে বলে জানান সংশ্লিষ্ঠ কর্মকর্তারা।

এ ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আহম্মেদ জামিল জানান বাল্লা স্থলবন্দর হবে এই মর্মে একটি প্রজ্ঞাপন জারী হয়েছে। জমি অধিগ্রহন ও উন্নয়নের কোন চিঠি তারা পাননি।

সহকারী কমিশনার (ভূমি) তন্ময় ইসলাম বলেন, গত ২৮ই মার্চ ২০১৬ইং বাল্লা স্থলবন্দর হিসাবে গেজেট পাশ হয়। প্রাথমিক ভাবে ১৭ একর জমি নিয়ে বন্দরের কার্য্যক্রম শুরু হবে। যেখানে কোন লোকের বাড়ি-ঘর পড়ার সম্ভবনা নেই। তবে কোন দিকের খতিয়ান ও দাগ নাম্বারের জমি অধিগ্রহন হবে তা এখনও সিদ্ধান্ত হয়নি।

স্থানীয় গাজীপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান হুমায়ুন কবির খাঁন বলেন, জমি অধিগ্রহনের সময় সাধারন লোকদের বাড়ি-ঘর ক্ষতিগ্রস্ত যাতে না হয় আমি সরকারের কাছে সে আবেদন জানাই।