English Version
আপডেট : ৪ আগস্ট, ২০১৬ ১৭:১৮

হাতি দেখতে হাজারো মানুষের ভীড়

অনলাইন ডেস্ক
হাতি দেখতে হাজারো মানুষের ভীড়

জামালপুরের সোনারকান্দা এলাকার বন্যার পানিতে ডুবে থাকা পাটক্ষেতের মধ্যে একটি হাতি দাঁড়িয়ে আছে। আর সেখানে ভীড় করেছে হাজারো মানুষ । ইতিমধ্যে হাতি উদ্ধারে ভারত থেকে আস তিন সদস্যের প্রতিনিধি দল জামালপুর পৌঁছেছেন।

পশু বিভাগ সংশ্লিষ্টরা জানান, ভারতীয় দলের সাথে কাজ করতে বাংলাদেশের বন্যপ্রাণী ও অপরাধ দমন ইউনিটের ১৭ সদস্যের একটি দল ট্রাঙ্কুলাইজিং গান, ওষুধ, ট্রলারসহ বিভিন্ন সরঞ্জাম নিয়ে সেখানে রয়েছে।

বিশাল দেহের প্রাণীটি গত কয়েক সপ্তাহ ধরে দেশের উত্তরাঞ্চলের বিভিন্ন চর এলাকায় ঘুরে বেড়াচ্ছে।

বন্যপ্রাণী ও অপরাধ দমন ইউনিটের সাইদ হোসেন বাংলাকে বলেন, হাতিটি দীর্ঘ এক মাসে কখনো খাবার পেয়েছে, কখনো পায়নি। পরিমাণ মত খাবার না পওয়ায় কিছুটা দুর্বল হয়ে পড়েছে হাতিটি।

শুরুতে হাতিটিকে চেতনা-নাশক প্রয়োগ করে সরিয়ে নেয়ার কথা ভাবা হচ্ছিল। কিন্তু পাঁচ টনেরও বেশি ওজনের হাতিটিকে অজ্ঞান করলে সেখান থেকে কিভাবে সরিয়ে নেয়া হবে সেটিও এখন চিন্তা করা হচ্ছে।

হোসেন জানান, ভারতীয় দলের সাথে আলাপ করে হাতি সরানোর চূড়ান্ত পরিকল্পনা ঠিক করা হবে। পানি থেকে শুকনো এলাকায় নিয়ে গিয়ে হাতিটিকে খাবার খাইয়ে অজ্ঞান করার পর ট্রাক কিংবা ক্রেন দিয়ে হাতিটিকে তুলে নিয়ে যেতে চাইছেন তারা। এরপর হাতিটি ভারতে নেয়া হবে নাকি দেশে রাখা হবে তার ওপর ভিত্তি করে পরবর্তী ব্যবস্তা নেয়া হবে।

বন বিভাগের কর্মকর্তারা জানান, ব্রহ্মপুত্র ও যমুনা নদী সাঁতরে হাতিটি এসে গাইবান্ধার একটি চরে ওঠে। এরপর যমুনার তীরবর্তী এক চর থেকে আরেক চরে ঘুরে বেড়াতে শুরু করে হাতিটি। এরপর জামালপুরের চাঞ্চল্য ঘুরে সে পৌঁছে যায় বগুড়ায় চরে। পরে আবারও জামালপুরের গিয়ে সর্বশেষ হাতিটি সরিষাবাড়ি এলাকায় রয়েছে বলে জানা যায়।

এদিকে হাতিটি যেখানেই যাচ্ছে সেদিকেই ভিড় করছেন উৎসুক লোকজন। গণমাধ্যমের কর্মীরাও নিয়মিত হাতির গতিবিধির দিকে নজর রাখছেন। যখনই হাতিটি যেখানে গেছে সেখানে ছুটে গেছেন সাংবাদিক ও আলোকচিত্রীরা।

ভারত থেকে বাংলাদেশে হাতি আসার ঘটনা এটিই প্রথম নয়। এর আগেও আরও দু’বার এরকম হাতি আসার ঘটনা ঘটেছে। কিন্তু এভাবে দীর্ঘদিন ধরে একটি বুনো হাতি আটকে থাকার ঘটনা আগে দেখা যায়নি, বলছেন বন কর্মকর্তারা। খবর- বিবিসি