English Version
আপডেট : ৩ আগস্ট, ২০১৬ ১৫:৫১

বোয়ালিয়া ব্রীজের অধিকাংশ কাজ হলেও এ্যাপ্রোস সড়ক অন্ধকারে

অনলাইন ডেস্ক
বোয়ালিয়া ব্রীজের অধিকাংশ কাজ হলেও এ্যাপ্রোস সড়ক অন্ধকারে

খুলনা পাইকগাছায় বিজ্ঞানী স্যার পিসি রায়ের স্মৃতিবিজড়িত কপোতক্ষ নদের উপর নির্মাণাধীন বোয়ালিয়া ব্রীজের অধিকাংশ নির্মাণ কাজ সম্পন্ন হলেও এ্যাপ্রোস সড়কের কাজ রয়েছে অন্ধকারে।

জেলা পরিষদের গাছ অপসারণসহ বাংলাদেশ কৃষি উন্নয়ন কর্পোরেশন (বিএডিসি) এর জমি হস্তান্তর জটিলতায় সড়কের কাজ আটকে আছে বলে স্থানীয় সরকার প্রোকৌশল বিভাগ কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে।

এদিকে দীর্ঘদিনেও ব্রীজটির নির্মাণ কাজ সম্পন্ন না হওয়ায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন এলাকাবাসী। একই সাথে বিজ্ঞানী পিসি রায়ের নামে ব্রীজটির নাম করণের দাবী জানিয়েছেন সচেতন মহল।

সূত্রমতে, ২০১২ সালের ১২ অক্টোবর উপজেলার রাড়ূলী ও গদাইপুর ইউনিয়ন সীমান্তবর্তী কপোতাক্ষ নদের উপর বোয়ালিয়া নামক স্থানে নির্মানাধীন ব্রীজের ভিত্তি প্রস্তর উদ্ভোধন করেন তৎকালীন সংসদ সদস্য এ্যাড. সোহরাব আলী সানা।

২০১৪ সালের দিকে ২১ কোটি ৬১ লাখ টাকা ব্যয় সম্বলিত ৩১৫ মিটার দৈর্ঘ্য, মিটার প্রস্থ ও ৯টি ইস্পান সম্বলিত ব্রীজটির নির্মাণ কাজ যৌথ ভাবে শুরু করেন। এএমবি এন্ড আইটি জয়েন্ট ভ্যান্সার নামে নির্মাণাধীন প্রতিষ্ঠান।

স্থানীয় সরকার মন্ত্রানালয়ের প্রোকৌশল বিভাগের আওতায় ইতোমধ্যে মূল ব্রীজের নির্মাণ কাজ সম্পন্ন হলেও ব্রীজের দু’পাশের এ্যাপ্রোস সড়কের কাজ এখনো সম্পন্ন হয়নি। যদিও ব্রীজের সকল কাজ এ বছরের ৩০ মে’র মধ্যে সপূন্ন করার কথা ছিল। কিন্তু এ্যাপ্রোস সড়কের কাজ শেষ না হওয়ায় নির্মাণ কাজে বর্ধিত সময় বৃদ্ধি করা হয়েছে।

উপজেলা চেয়ারম্যান এ্যাডঃ স ম বাবর আলী জানান, ব্রীজটি চলাচলের উপযোগী হলে বিশ্ব বরেণ্য বিজ্ঞানী স্যার পি.সি. রায়ের জন্ম স্থান রাড়ূলীসহ পাশ্ববর্তী জেলা সাতক্ষীরা এবং প্রতিবেশী দেশ ভারতের সঙ্গে সরাসরি সড়ক যোগাযোগ স্থাপন হবে।

এতে বিজ্ঞানীর জন্মস্থানে পর্যটন কেন্দ্র গড়ে তোলা সম্ভব হবে এছাড়াও এ এলাকার ব্যবসা বাণিজ্য সহ সর্বক্ষেত্রে উন্নয়ন সাধিত হবে।

এ ব্যাপারে উপজেলা প্রোকৌশলী মো. আবু সাঈদ জানান, ব্রীজের দুপাশে ২০০ মিটার করে এ্যাপ্রোস সড়ক নির্মাণ করা লাগবে। যার মধ্যে পশ্চিম পাশের অংশের এ্যাপ্রোস সড়কের মাটি ভরাটের কাজ ইতোমধ্যে সম্পন্ন করা হয়েছে। কিন্তু পূর্ব পাশে বিএডিসি’র ২৬ শতক জায়গা ও জেলা পরিষদের কিছু গাছ অপসারণ না করায় সড়কের কাজ আটকে রয়েছে।

ইতোমধ্যে জমি হস্তান্তর সংক্রান্ত একটি প্রস্তাবনা স্থানীয় সরকার ও কৃষি আন্তমন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়েছে। আন্তমন্ত্রণালয়ে বৈঠক শেষে জমি হস্তান্তর প্রক্রিয়া সম্পন্ন হলে এ্যাপ্রোস সড়কের কাজ দ্রুত সময়ের মধ্যে শেষ করা সহ ব্রীজটি জন সাধারণের জন্যে উন্মুক্ত করা সম্ভব হবে।