English Version
আপডেট : ৩১ জুলাই, ২০১৬ ১৩:২১

৩ ছাত্রের মৃত্যুর ময়নাতদন্ত পেলেই ব্যবস্থা: সিদ্দিকুর

উজ্জ্বল রায়
৩ ছাত্রের মৃত্যুর ময়নাতদন্ত পেলেই ব্যবস্থা: সিদ্দিকুর

নড়াইলে কওমি মাদ্ররাসায় খাবারের বিষক্রিয়ায় তিন ছাত্রের মৃত্যুর কারণ জানতে ময়নাতদন্ত ও ভিসেরা রিপোর্টের অপেক্ষায় আছে প্রশাসন। রিপোর্ট পাওয়ার পর মৃত্যুর ‘প্রকৃত কারণ’ জানা যাবে। এবং সেই মোতাবেক ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে জানিয়েছেন ভারপ্রাপ্ত জেলা প্রশাসক সিদ্দিকুর রহমান।

তিনি বলেন, আমাদের এখানে টেকনিক্যাল কোনো সুবিধা নেই। তাই ঢাকা থেকে ময়নাতদন্ত ও ভিসেরা রিপোর্ট পাওয়ার পর কী কারণে তাদের মৃত্যু হয়েছে, তা নিশ্চিত হওয়া যাবে। সেই লক্ষ্য খাবারের নমুনাও সংগ্রহ করা হয়েছে। এছাড়া মৃত ৩ ছাত্রের পরিবারকে রোববার (৩১ জুলাই) ২০ হাজার টাকা করে টাকা দেয়া হবে।

এদিকে, নড়াইল সদর হাসপাতালের ডোম ছুটিতে থাকায় প্রায় ৩৪ ঘণ্টা পর শুক্রবার সকাল ১০টার দিকে লাশের ময়নাতদন্ত সম্পন্ন হয়েছে। পরে জুম্মার নামাজ শেষে নিজ নিজ গ্রামে তাদের দাফন করা হয়।

সিভিল সার্জন ডাঃ তারেক মোহাম্মদ শফি জানান, হাসপাতালের ডোম আজগর আলী ছুটিতে নড়াইলের বাইরে থাকায় যথাসময়ে ময়নাতদন্ত সম্ভব হয়নি। সদর উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাঃ সঞ্জিত সাহা বলেন, আমরা আলামত সংগ্রহ করেছি। তবে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, খাবারের বিষক্রিয়ায় ৩ ছাত্রের মৃত্যু হয়েছে।

মাদ্ররাসার তত্ত্বাবধায়ক আব্দুল কাদের জানান, অসুস্থ ১৮জন এখন শংকামুক্ত। সবাই সুস্থ হয়ে উঠছেন।

জানা যায়, খাবার খেয়ে গত বুধবার (২৭ জুলাই) গভীর রাতে সদর উপজেলার শিমুলিয়া এলাকায় অবস্থিত জামিয়াতুস সুন্নাহ মোহাম্মাদীয়া কওমিয়া মাদরাসা ও এতিমখানার ছাত্রাবাসে ৩ ছাত্রের মৃত্যু হয়। মাদ্ররাসার বাবুর্চি ওমেদ আলি বুধবার সন্ধ্যায় শাপলা এবং পটলের তরকারি রান্না করে রেখে যাওয়ার পর রাত ৯টার দিকে সেই খাবার খেয়ে এক শিক্ষকসহ ২০ শিক্ষার্থী অসুস্থ হয়ে পড়েন। খাবারের সময় লজিং বাড়ি থেকে টিফিন বাটিতে করে আনা অন্য ছাত্রদের খাবার এবং ছাত্রাবাসের রান্না করা খাবার ভাগাভাগি করে খেয়ে নেন তারা।

পরে গভীর রাতে নড়াইল সদরের বড়গাতি গ্রামের জব্বার শেখের ছেলে এনামুল হক (১৬) ও একই গ্রামের আফসার শেখের ছেলে আশরাফুল এবং ভদ্রবিলার পাঁচুড়িয়া গ্রামের মুকিদের ছেলে আলিফের (৮) মৃত্যু হয়।

এ ঘটনায় এক শিক্ষকসহ আরো ১৭ ছাত্র অসুস্থ হয়ে পড়েন।

পরিবারের সদস্যরা জানান, কী কারণে তাদের মৃত হয়েছে, বিষয়টি আমাদের কাছে পরিষ্কার নয়। আমরা এ ঘটনার সঠিক তদন্ত দাবি করছি।

সহকারী পুলিশ সুপার কামরুজ্জামান বলেন, ছাত্রদের মৃত্যুর বিষয়টি উদ্ঘাটনের চেষ্টা চলছে।

এদিকে, মৃত্যু তিন ছাত্রের পরিবারে এখনো চলছে শোকের মাতম।