English Version
আপডেট : ২৯ জুলাই, ২০১৬ ১৪:০৮

ট্রলার ডুবে নিখোঁজ ৬

উজ্জ্বল রায়
ট্রলার ডুবে নিখোঁজ ৬

নড়াইলের কালনা-শংকরপাশা ঘাটে ট্রলার ডুবে অন্তত ৬ জন যাত্রী নিখোঁজ হয়েছেন। বৃহস্পতিবার (২৯ জুলাই) সকাল ৯টার দিকে এ ঘটনা ঘটে।

একাধিক সূত্রে জানা গেছে, বৃহস্পতিবার সকালে কালনাঘাটের লোহাগড়ার পার থেকে ট্রলার চালক তোকির মোল্যা প্রায় ২০জন যাত্রী নিয়ে শংকরপাশা ঘাটের উদ্ধেশ্যে রওনা হবার পর  কাশিয়ানী পারের শংকরপাশা ঘাটে পূর্ব থেকে বিশ্রামে থাকা ফেরির সাথে মিশিয়ে নদীর তীরে ট্রলার ভেড়াতে গেলে প্রচন্ডবেগে ট্রলার ও ফেরির সাথে ঢাক্কা লাগে।

মধুমতি নদীর প্রচন্ড স্রোত ও  ট্রলার ও ফেরির ঢাক্কায়  তোকির মোল্যার যাত্রী বোঝাই ট্রলার কাথ হয়ে ডুবে যায়। এসময় সব যাত্রীরা ডুবে যান। এবং যে যার মতো করে তীরে ওঠার চেষ্টা করেন। ঠিক কতজন যাত্রী ট্রলারে ছিল তা সঠিক কেউ বলতে পাছেন না।

ওই ঘাটে প্রতিটি ট্রলারে ২০জন করে যাত্রী পার করা হয়। প্রাথমিক তথ্য পাওয়া মতে নিখোঁজ সংখ্যা ৬ জন। এর সংখ্যা আরো বাড়তে পারে। 

এদিকে যশোর জেলার ঝুমঝুমপুরের  লিটন মুন্সীর ছেলে বাঁধন (১১) নিঁখোজ  রয়েছেন। লিটন মুন্সীর স্ত্রী মিনা বেগম তার ছেলে বাঁধন (১১) ও মেয়ে অন্তরা (৭)কে সাথে নিয়ে কাশিয়ানীর রাতইল গ্রামে বাপের বাড়িতে যাবার পথে এ দুর্ঘটনা ঘটে।

মিনা বেগম ট্রলার ডুবে গেলে দুসন্তানকে বাঁচানোর চেষ্টা করলেও শেষমেষ  বাঁধনকে নিজ বন্ধনে রাখতে পারেননি। প্রিয় সন্তানের খোঁজ না পেয়ে পাগল প্রায় মিনা। তার কান্নায় ভারি হয়ে উঠে শংকরপাশা ঘাটের বাতাস। 

খবর শুনে ছুটে আসা প্রশাসনিক কর্মকর্তা, জনপ্রতিনিধি ও এলাকার মানুষ যেন হতাশ হয়ে পড়েন।

এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত বৃহস্পতিবার ( দুপুর ৩টা) ফায়ার সার্ভিসের একটি দল ও স্থানীয় ডুবুরিরা নিখোঁজদের উদ্ধারের চেষ্টা করছিল।

ট্রলার ডুবির খবর শোনার পর লোহাগড়া ইউপির চেয়ারম্যান শিকদার নজরুল ইসলাম ও কাশিয়ানী ইউপি চেয়ারম্যান মশিউর রহমান ঘটনাস্থলে গিয়ে উদ্ধার তৎপরতায় ভূমিকা রাখেন। স্থানীয় প্রশাসন ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে পরিস্থিতি মোকাবেলার চেষ্টা করছিলেন।

কাশিয়ানী থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ আলীনুর হোসেন জানান, বিকাল ৩ টা পর্যন্ত কোন লাশ উদ্ধার হয়নি। তবে উদ্ধার তৎপরতা চলছে।