English Version
আপডেট : ২৯ জুলাই, ২০১৬ ১২:৪৫

হনুমানের খোঁজ নিতে সরেজমিন কর্মকর্তারা

ইমদাদুল
হনুমানের খোঁজ নিতে সরেজমিন কর্মকর্তারা

পাইকগাছায় আহত হনুমানের খোঁজ-খবর নিতে বুধবার (২৭ জলিাই) সরেজমিন পরিদর্শন করেছেন বন্যপ্রাণি ব্যবস্থাপনা ও প্রকৃতি সংরণ বিভাগের উর্দ্ধতন কর্মকর্তারা।  

খাদ্যাভাবে কেশবপুরের দলছুট কালোমুখ কিছু হনুমান পাইকগাছার বিভিন্ন স্থানে বিচরণ করে আসছে। ঘটনার দিন গত ৬ জুলাই কে বা কারা একটি হনুমানকে কুপিয়ে রক্তাক্ত জখম করে। পরে স্থানীয় লোকজন আহত হনুমানকে পশু হাসপাতালে নিয়ে গেলে হাসপাতালের ডিএফএ এস,এম, কামরুল আবেদীন ও ডাঃ ফসিয়ার রহমান প্রায় ১৫ টি সেলাইয়ের মাধ্যমে হনুমানটির সুচিকিৎসা করেন।

বিষয়টি জানতে পেরে স্থানীয় সাংবাদিক মো. আব্দুল আজিজ ৮ ও ১৪ জুলাই হনুমানের ছবি সম্বলিত এ ধরণের কর্মকান্ড পরিহার করে বণ্যপ্রাণি সংরণে এগিয়ে আসার আহবান জানিয়ে ফেসবুকে পর পর ২টি স্টাটাস দেন।

এরপর ২১ ও ২২ জুলাই আহত হনুমানটি বিচারের দাবীতে আদালতের সামনে অবস্থান নিলে বিষয়টি বিচারক ও আইনজীবীসহ সকলের দৃষ্টিতে আসে।

এরপরের দিন সাংবাদিক আব্দুল আজিজ ও মো. ইমদাদুল হকের সার্বিক সহযোগিতায় ২৩ জুলাই বিভিন্ন গণমাধ্যমে বিষয়টি প্রকাশিত হয়। পরবর্তীতে আইনজীবী সমিতির সভাপতি মামলা করার উদ্যোগ নিলে আইনী জটিলতা দেখা দেয়ার পরও বিচারকের আন্তরিকতায় গত ২৪ জুলাই আইনজীবী সমিতির সভাপতি এ্যাডঃ জি,এম, আব্দুস সাত্তার বাদী হয়ে অজ্ঞাতনামাদের আসামী করে পাইকগাছা সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট গাজী জামশেদুল হকের আদালতে বন আইন ১৯২৭, বন্যপ্রাণি সংরণ ও নিরাপত্তা আইন ২০১২ ও জীব-জন্তুর প্রতি নিষ্ঠুরতা ১৯২০ আইনে মামলা করেন।

মামলাটি আমলে নিয়ে বিজ্ঞ বিচারক প্রাথমিক তথ্য ও প্রমাণের ভিত্তিতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণে থানার ওসিকে নির্দেশ দেন।

পরের দিন ২৫ জুলাই ঘটনাটি একাধিক জাতীয় পত্রিকাসহ বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রকাশিত হলে সংশ্লিষ্ট পরিবেশ ও বন মন্ত্রণালয় সহ বিষয়টি সাড়া ফেলে সর্বস্তরে। একই সাথে সর্বমহলে প্রশংসিত হয় চিকিৎসক, সাংবাদিক, আইনজীবী ও বিচারকের ইতিবাচক ভূমিকা।

সবশেষে আহত হনুমানটির খোঁজ খবর নিতে সরেজমিন এলাকা পরিদর্শন করেন বন্যপ্রাণি পরিদর্শক রাজু আহমেদের নেতৃত্বে বন্যপ্রাণি ব্যবস্থাপনা ও প্রকৃতি সংরণ বিভাগ, খুলনার একটি প্রতিনিধি দল।

প্রতিনিধি দলটি বুধবার সরেজমিন পরিদর্শন করে আহত হনুমানের বর্তমান অবস্থা দেখে চিকিৎসার সুব্যবস্থা করেন এবং একই সাথে উপজেলা প্রাণিসম্পদ অফিসের চিকিৎসক সাংবাদিক ও আইনজীবীদের সাথে মতবিনিময় করে হনুমানের সুচিকিৎসা ও বিচারের জন্য ইতিবাচক ভূমিকা রাখায় সংশ্লিষ্ট সকলকে ভূয়সী প্রশংসা করেন।