English Version
আপডেট : ২০ জুলাই, ২০১৬ ২১:৪৬

রেলওয়ের ৪৩ প্রকল্প চলমান, ব্যয় ৮৬ হাজার কোটি টাকা

অনলাইন ডেস্ক
রেলওয়ের ৪৩ প্রকল্প চলমান, ব্যয় ৮৬ হাজার কোটি টাকা

বাংলাদেশ রেলওয়ের যাত্রীর সেবার মান বৃদ্ধিসহ উন্নয়নে ৮৬ হাজার ৩০ কোটি ৭৩ লাখ টাকা ব্যয়ে মোট ৪৩টি প্রকল্প চলমান রয়েছে বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

৪৩টি প্রকল্পের অনুকূলে ২০১৬-১৭ অর্থবছরের বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচিতে ৯ হাজার ১১৪ কোটি ৯৬ লাখ টাকা বরাদ্দ প্রদান করা হয়েছে বলে জানান তিনি।

জাতীয় সংসদে বুধবার (২০ জুলাই) ফখরুল ইমামের (ময়মনসিংহ-৮) এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব তথ্য জানান।

২০০৯ সাল থেকে তার আওয়ামী লীগের নেতৃত্বাধীন সরকারের রেলওয়ে খাতের নানা উন্নয়নমূলক চিত্র তুলে ধরে প্রধানমন্ত্রী জানান, বাংলাদেশ রেলওয়ের বিভিন্ন সেকশনে নতুন নতুন ট্রেন চালু করার একটি বড় বাধা হলো ডাবল লাইন না থাকা। এ সমস্যা সমাধানের লক্ষ্যে আমরা পর্যায়ক্রমে সব গুরুত্বপূর্ণ রেলওয়ে সেকশনকে ডাবল লাইনে উন্নীত করার উদ্যোগ গ্রহণ করেছি।

ইতিমধ্যে দেশের সর্বাধিক গুরুত্বপূর্ণ ঢাকা-চট্টগ্রাম রেলওয়ে করিডরকে ডাবল লাইনে উন্নীতকরণের অংশ হিসেবে টঙ্গী-ভৈরববাজার পর্যন্ত ৬৪ কিলোমিটার এবং লাকসাম চিনকী আস্তানা পর্যন্ত ৬১ কিলোমিটার ডাবল লাইনে উন্নীত করা হয়েছে।

এছাড়া আখাউড়া-লাকসাম ৭২ কিলোমিটার রেললাইন ডাবল লাইনে উন্নীত করার কার্যক্রম চলমান রয়েছে।

অন্যদিকে রেলওয়ে অ্যাপ্রোচসহ দ্বিতীয় ভৈরব ও দ্বিতীয় তিতাস সেতুর নির্মাণকাজ এগিয়ে চলছে। যমুনা নদীর ওপর বিদ্যমান বঙ্গবন্ধু সেতুর সমান্তরালে ডুয়েলগেজ ডাবল ট্যাকসম্পন্ন একটি রেল সেতু নির্মাণের পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়েছে।

এ লক্ষ্যে ডিপিপি প্রণয়ন করা হয়েছে। এবং প্রকল্পটি বাস্তবায়নে ইতিমধ্যে জাইকার সাথে ঋণচুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছে। বর্তমান সরকারের সময় রেলপথ সম্প্রসারণ ও নতুন রেলপথ নির্মাণের চিত্র তুলে ধরে শেখ হাসিনা বলেন, ‘আওয়ামী লীগ সরকার ২০০৯ সাল থেকে এ পর্যন্ত প্রায় ২৩৫ কিলোমিটার নতুন রেললাইন নির্মাণ করেছে। প্রায় ২১৪ কিলোমিটার মিটারগেজ রেললাইনকে ডুয়েলগেজ লাইনে রূপান্তর করা হয়েছে। ঢাকা হতে পদ্মা সেতু হয়ে যশোর পর্যন্ত রেলপথ নির্মাণের লক্ষে ‘‘পদ্মা সেতু রেল সংযোগ প্রকল্প’’ একনেক কর্তৃক অনুমোদিত হয়েছে।

প্রকল্পটি চীনের সাথে জি টু জি (সরকার হতে সরকার) ভিত্তিতে বাস্তবায়নের লক্ষ্যে কার্যক্রম চলমান আছে এব প্রস্তাব অচিরেই সরকারি ক্রয়সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির অনুমোদনের জন্য উপস্থাপন করা হবে।’

তিনি জানান, পায়রা সমুদ্রবন্দরকে রেলওয়ে নেটওয়ার্কেও আওতায় আনয়নের লক্ষ্যে সম্ভাব্যতা সমীক্ষা পরিচালনার কার্যক্রম গ্রহণ করা হয়েছে। এ নিয়ে ব্রিটিশ সরকারের সাথে আলোচনা চলছে।

এছাড়া চট্টগ্রামের চন্দনাইশ উপজেলার দোহাজারী হতে রামু উপজেলা হয়ে কক্সবাজার এবং রামু হতে মিয়ানমারের বর্ডার গুমদুম পর্যন্ত সিঙ্গেল লাইন ডুয়েলগেজ ট্র্যাক নির্মাণ প্রকল্পটি সংশোধিতভাবে একনেকে অনুমোদিত হয়েছে। এ প্রকল্পের নির্মাণকাজ শুরুর লক্ষ্যে শীঘ্রই টেন্ডার আহ্বান করা হবে বলেও সংসসদকে জানান প্রধানমন্ত্রী।