English Version
আপডেট : ৯ জুলাই, ২০১৬ ০১:০৯

ট্রাভেল ওয়ার্নিংয়ের আড়ালে কী বোঝাচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র

অনলাইন ডেস্ক
ট্রাভেল ওয়ার্নিংয়ের আড়ালে কী বোঝাচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র

সাম্প্রতিক জঙ্গি হামলার প্রেক্ষাপটে মার্কিন নাগরিকদের বাংলাদেশ ভ্রমণের ক্ষেত্রে সতর্কতার মাত্রা ‘ট্রাভেল অ্যালার্ট’ থেকে বাড়িয়ে ‘ট্রাভেল ওয়ার্নিং’ পর্যায়ে নিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। ট্র্যাভেল অ্যালার্ট থেকে এই সতর্কতার মাত্রা ট্র্যাভেল ওয়ার্নিংয়ে উন্নীত করেছে মার্কিন পররাষ্ট্র দফতর। বৃহস্পতিবার ওয়াশিংটনে পররাষ্ট্র দপ্তরের নিয়মিত সংবাদ সম্মেলনে একজন মুখপাত্র এ কথা জানান। এদিকে বাংলাদেশে মার্কিন দূতাবাসের ওয়েবসাইটেও সেই ভ্রমণ সতর্কতার মাত্রা বাড়ানোর কথা বলা হয়েছে। ট্রাভেল অ্যালার্ট আর ট্রাভেল ওয়ার্নিং-এর মধ্যে পার্থক্য কী? মার্কিন পররাষ্ট্র দফতরের ওয়েবসাইটে গিয়ে জানা যায়, পার্থক্যটা মাত্রাগত। ট্রাভেল অ্যালার্ট  সংক্ষিপ্ত ও অস্থায়ী সতর্কতাকে নির্দেশ করে। আর ট্রাভেল ওয়ার্নিং হলো সতর্কতার ব্যাপকতা। পররাষ্ট্র দপ্তরের তথ্য অনুযায়ী, কোনো দেশের ক্ষেত্রে ‘ট্র্যাভেল অ্যালার্ট’ জারি করার অর্থ হল, সেখানে যুক্তরাষ্ট্রের নাগরিকদের চলাফেরার ক্ষেত্রে পরিস্থিতি সম্পর্কে অবহিত ও সতর্ক থাকা। সাধারণত নির্বাচনকালে অথবা বিক্ষোভ কিংবা ধর্মঘট চলাকালে, বিচ্ছিন্ন সন্ত্রাসী হামলা হলে এমন সতর্কতা জারি করা হয়, যা সবসময়ই স্বল্পমেয়াদী হয়ে থাকে। আর ট্রাভেল ওয়ার্নিং খুবই বড় রকমের সতর্কতা। এই ক্ষেত্রে মার্কিন নাগরিকরা সেই দেশে যাতায়াত করবে কিনা তা সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে বিবেচনা করতে বলা হয়। সাধারণত, অস্থিতিশীল সরকার, গৃহযুদ্ধ, সহিংসতার ক্রমবৃদ্ধি অথবা অব্যাহত সন্ত্রাসী আক্রমণের প্রেক্ষাপটে এই ধরনের সতর্কতা জারি করা হয়।     উল্লেখ্য, গুলশানের জঙ্গি হামলায় ১৭ বিদেশি নাগরিকসহ ২০ জন নিহত হওয়ার এক সপ্তাহের মাথায় বৃহস্পতিবার ঈদের সকালে কিশোরগঞ্জের শোলাকিয়ায় আবারও সন্ত্রাসী হামলার ঘটনা ঘটে। এই প্রেক্ষাপটে বাংলাদেশের ক্ষেত্রে যুক্তরাষ্ট্রের ভ্রমণসতর্কতা ‘অ্যালার্ট’ ছাপিয়ে ‘ওয়ার্নিং’ পর্যায়ে নেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি যুক্তরাষ্ট্রের সরকারি কর্মচারী বা তাদের পরিবারের সদস্যদের পায়ে হেঁটে, বাইসাইকেল, রিকশা বা কোনো উন্মুক্ত যানবাহনে চলাচল না করতে এবং বড় কোনো জনসমাগমস্থলে না যাওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে সেখানে।