English Version
আপডেট : ৮ জুলাই, ২০১৬ ১৪:০৮

শোলাকিয়া থমথমে, সন্ত্রাসী হামলার মামলা হয়নি

অনলাইন ডেস্ক
শোলাকিয়া থমথমে, সন্ত্রাসী হামলার মামলা হয়নি

দেশের সবচেয়ে বড় ঈদ জামাত হয় কিশোরগঞ্জের শোলাকিয়া ময়দান। প্রায় দুইশ বছর ধরে এই ময়দানে ঈদের নামাজ আদায় করে আসছেন মুসল্লিরা। তবে এবারের ঈদের নামাজ কিশোরগঞ্জবাসীর জন্য ছিল আতঙ্ক। শোলাকিয়ায় মাঠের পাশেই সন্ত্রাসীদের হামলায় পুলিশসহ চারজন নিহত হওয়ার পর এখন থমথমে।

রাতভর চলেছে অভিযান। পুরো শহর ফাঁকা হয়ে গেছে। খুব জরুরি কাজ ছাড়া কেউ ঘর ছেড়ে বের হচ্ছেন না। অন্যান্য ঈদে পুরো শহর শোকে ঢাকা।

শোলাকিয়া মাঠের কাছে আজিমউদ্দীন স্কুলের আশপাশসহ হামলাস্থল ঘিরে রেখেছে পুলিশ। সেখানে বসানো হয়েছে পুলিশের একটি অস্থায়ী ক্যাম্প।  এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটজনকে আটক করা হয়েছে। তবে এ ঘটনায় মামলা দায়ের হয়নি। বৃহস্পতিবার নিহত ব্যক্তিদের মধ্যে একজন হামলাকারী বলে নিশ্চিত করেছে পুলিশ।

তবে তার পরিচয় জানা যায়নি। ঢাকা রেঞ্জের উপমহাপরিদর্শক (ডিআইজি) মাহফুজুল হক নুরুজ্জামান শুক্রবার হামলাস্থল পরিদর্শনে গিয়ে বলেন, কড়া নিরাপত্তার কারণেই হামলাকারীরা শোলাকিয়ার ঈদের জামাতের মাঠে হামলা চালাতে পারেনি। বাইরেই হামলা চালিয়েছে। কিশোরগঞ্জ অতিরিক্ত পুরিশ সুপার এস এম মোস্তাইন হোসেন জানান, এ ঘটনায় এখনও মামলা দায়ের করা হয়নি। তবে মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে। হামলার ঘটনায় আটজনকে আটক করা হয়েছে বলে নিশ্চিত করেছেন কিশোরগঞ্জ সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মীর মোশাররফ হোসেন। এ দিকে শুক্রবার সকালে শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রী মজিবুল হক চুন্নু, তিন সংসদ সদস্যসহ চার সদস্যের একটি দল ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। মন্ত্রীর সাথে কিশোরগঞ্জ- ৫ আসনের সংসদ সদস্য মো. আফাজাল হোসেন, কিশোরগঞ্জ-২ এর এ্যাডভোকেট সোহরাব উদ্দিন, কিশোরগঞ্জ-৪ সংসদ সদস্য মো. রেজওয়ান আহম্মদ তৌফিক উপস্থিত ছিলেন। মন্ত্রী সন্ত্রাসী হামলার ঘটনায় নিহত ঝরণা রানী ভৌমিকের বাসায় যান। পরে পরিবারের সদস্যদের সমবেদনা জানান। নিহতের শেষকৃত্য অনুষ্ঠানের জন্য এক লাখ টাকা অনুদানের ঘোষণা দেন তিনি।