English Version
আপডেট : ৫ জুলাই, ২০১৬ ০৩:১৯

আজ চাঁদ দেখা না গেলে ঈদ পরশু

অনলাইন ডেস্ক
আজ চাঁদ দেখা না গেলে ঈদ পরশু

আজ মঙ্গলবার সন্ধ্যায় আরবি শাওয়াল মাসের চাঁদ দেখা গেলে কাল পবিত্র ঈদুল ফিতর। সারা দেশের ধর্মপ্রাণ মুসলমানরা মেতে উঠবে সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব ঈদের আনন্দে। আর আজ চাঁদ দেখা না গেলে আগামীকাল বুধবার রমজান মাসের ৩০ দিন পূর্ণ হবে। আর ঈদ উদ্যাপিত হবে পরদিন বৃহস্পতিবার। এক মাস সিয়াম সাধনার পর সবার জন্য আনন্দের বার্তা নিয়ে আসছে ঈদুল ফিতর। ঈদ উৎসবকে কেন্দ্র করে আজ মঙ্গলবার বিকেল থেকেই শাওয়াল মাসের চাঁদ দেখার জন্য অগণিত মুসলিম পশ্চিম আকাশের দিকে তাকিয়ে থাকবে। আজ সন্ধ্যায় জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমের ইসলামিক ফাউন্ডেশন কক্ষে জাতীয় চাঁদ দেখা কমিটির সভা বসছে। ধর্মমন্ত্রী অধ্যক্ষ মতিউর রহমানের সভাপতিত্বে সারা দেশ থেকে চাঁদ দেখাসংক্রান্ত তথ্য পাওয়ার পর সভা থেকে জানিয়ে দেওয়া হবে পবিত্র ঈদুল ফিতর উদ্যাপনের তারিখ। তবে ঈদ যেদিনই হোক মুসলমানদের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসবটি উদ্যাপনে সার্বিক প্রস্তুতি নিয়ে ফেলেছে সারা দেশের মানুষ। সাধ্যমতো সবার নতুন জামাকাপড় কেনার পর্বও প্রায় শেষ। যেটুকু বাকি আছে তা-ও শেষ হয়ে যাবে আজকের মধ্যে। অতিথি আপ্যায়নের জন্য সেমাই, চিনিসহ নানা খাদ্যপণ্য কেনার কাজও সবাই সেরে নিচ্ছে সুযোগমতো। ঈদুল ফিতর উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও জাতীয় সংসদে বিরোধীদলীয় নেতা রওশন এরশাদ পৃথক বাণীতে দেশবাসী ও বিশ্ব মুসলিম উম্মাহকে ঈদের শুভেচ্ছা জানিয়েছেন। বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াও পৃথক বাণীতে সবাইকে ঈদের শুভেচ্ছা জানিয়েছেন। ঈদের জামাতের জন্য রাজধানীতে জাতীয় ঈদগাহ ময়দানসহ দেশের সব ঈদগাহ ও বড় বড় মসজিদগুলোতেও প্রস্তুতি প্রায় সম্পন্ন। রঙিন পতাকা ও ব্যানার-ফেস্টুনে সাজানো হয়েছে সংশ্লিষ্ট এলাকা। সাজসজ্জার কমতি নেই সরকারি-বেসরকারি বিভিন্ন ভবন এবং বাসাবাড়িতেও। ঈদের দিন সরকারি, আধাসরকারি ও স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠানগুলোর ভবনে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করা হবে। রাজধানীর ভিআইপি সড়কগুলো জাতীয় পতাকা এবং বাংলা ও আরবিতে ঈদ মোবারক লেখা ব্যানার ও ফেস্টুন দিয়ে সাজানো হবে। গুরুত্বপূর্ণ সরকারি ভবনগুলোতে থাকবে আলোকসজ্জা। ঈদ উপলক্ষে সরকারি-বেসরকারি টিভি চ্যানেল ও বেতারগুলো বিশেষ অনুষ্ঠানমালা প্রচার করবে। জাতীয় দৈনিক পত্রিকাগুলো ইতিমধ্যে বিশেষ ঈদ সংখ্যা প্রকাশ করেছে। ঈদের দিন দেশের বিভিন্ন হাসপাতাল, কারাগার, সরকারি শিশু সদন, ছোটমণি নিবাস, সামাজিক প্রতিবন্ধীকেন্দ্র, আশ্রয়কেন্দ্র, ভবঘুরে কল্যাণকেন্দ্র ও দুস্থ কল্যাণকেন্দ্রগুলোতে উন্নতমানের খাবার পরিবেশন করা হবে।