English Version
আপডেট : ২ জুলাই, ২০১৬ ১২:১৫

গুলশানে কমান্ডোর অভিযানে নিহত ৬ বন্দুকধারী, আহত ১

অনলাইন ডেস্ক
গুলশানে কমান্ডোর অভিযানে নিহত ৬ বন্দুকধারী, আহত ১

গুলশানের হলি আর্টিজান রেস্তোরাঁয় কমান্ডো অভিযানে জিম্মি সঙ্কটের অবসান হয়েছে। এসময়ে নিহত হয়েছে ৬ বন্দুকধারী। এবং আহত ১ বন্দুকধারী বলে জানান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

শনিবার (২ জুলাই) সকাল ১১টায় রাজধানীর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে (বিআইসিসি) দু’টি চারলেন মহাসড়কের উদ্বোধন অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন প্রধানমন্ত্রী।
 
এর আগে সকালের এই অভিযানের পর ১৩ জনকে জীবিত উদ্ধার হয়েছে। ঘটনাস্থলে নিহত হয়েছে  ৬  জন হামলাকারী। আর আহত ১ হামলাকারী। র‍্যাবের গোয়েন্দা শাখার প্রধান লে. কর্নেল আবুল কালাম আজাদ এ তথ্য নিশ্চিত করে জানান, নিহত ও উদ্ধার করা ব্যক্তিদের পরিচয় জানা যায়নি।

ওই এলাকা থেকে প্রতিবেদক জানান, শুক্রবার রাত থেকেই পুলিশ, র‍্যাব, বিজিবি, সোয়াত ও সেনাবাহিনীর কমান্ডোদের সমন্বয়ে এ অভিযানের প্রস্তুতি শুরু হয়। শনিবার ভোর পাঁচটার দিকে তাদের প্রস্তুতি শেষ হয়।

সকাল সাড়ে ৭টার দিকে কমান্ডো বাহিনী উদ্ধার অভিযান শুরু করে। অভিযান শুরুর পরপরই নারী ও শিশুসহ কয়েকজনকে উদ্ধার করা হয়। সকাল ৯টার দিকে অভিযান শেষ হয়। সকাল সোয়া আটটার পর কয়েকজন আহতকে অ্যাম্বুলেন্সে করে হাসপাতালে নিতে দেখা গেছে। এর কিছুক্ষণ আগে গোলাগুলি বন্ধ হয়। অভিযানের সময় আশপাশে অবস্থানকারীদের পুলিশ আরো দূরত্বে সরিয়ে দেয়। আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারাও সেখানে অবস্থান করছিলেন। এদিকে এ হামলার ঘটনায় রাতে দুই পুলিশ কর্মকর্তা নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন আরও অন্তত ২০ জন। নিহত দুই পুলিশ কর্মকর্তা হলেন—ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) সহকারী কমিশনার রবিউল ইসলাম ও বনানী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সালাহউদ্দিন। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, শুক্রবার রাত ৯টার দিকে গুলশান-২ এর ৭৯ নম্বর সড়কের ওই রেস্তোরাঁয় হঠাৎ আট থেকে ১০ জন যুবক ঢুকে পড়েন এবং গুলি ও বোমার বিস্ফোরণ ঘটিয়ে সেখানে অবস্থানরত লোকজনকে জিম্মি করেন। খবর পেয়ে র‍্যাব, পুলিশসহ আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা সেখানে যান। অস্ত্রধারীদের সঙ্গে গোলাগুলির ঘটনায় আহত হন পুলিশের ওই দুই সদস্য। গুলশানের ইউনাইটেড হাসপাতালে ভর্তির পর সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তারা মারা যান। এসি রবিউলের মামা মোহাম্মদ জালালউদ্দিন জানান, রাত আনুমানিক ১টার দিকে ইউনাইটেড হাসপাতালে মারা যান রবিউল। ওসি সালাউদ্দিনের মৃত্যুর খবর নিশ্চিত করেছেন তার ভাগ্নে মিশু হাসান। তিনি জানান, সালাহউদ্দিনের গলায় গুলি ও বোমার স্প্লিন্টার বিদ্ধ হয়। র‌্যাবের অতিরিক্ত মহাপরিচালক আবদুল জলিল মণ্ডল শনিবার ভোরে বলেন, 'সংকটের শান্তিপূর্ণ সমাধানের চেষ্টা চলছে। জিম্মিদের অক্ষত অবস্থায় উদ্ধারকে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে।'