English Version
আপডেট : ২৯ জুন, ২০১৬ ০২:২৬

শিশু সনু ভারতীয় হাইকমিশনের জিম্মায়

অনলাইন ডেস্ক
শিশু সনু ভারতীয় হাইকমিশনের জিম্মায়

পাচার হয়ে বাংলাদেশে আসা ভারতের দিল্লির শিশু সনুকে ঢাকাস্থ ভারতীয় দূতাবাসের জিম্মায় দেওয়া হয়েছে। ডিএনএ টেস্ট করার পর সোমবার (২৭ জুন) বাংলাদেশের বরগুনার এক আদালতের আদেশের পরিপ্রেক্ষিতে শিশু সনুকে ভারতীয় দূতাবাসের একজন কর্মকর্তার কাছে হস্তান্তর করা হয়।

আদালতের নির্দেশে দিল্লিতে সনুর বাবা-মায়ের সাথে তার ডিএনএ পরীক্ষা করানো হয়। সে ডিএনএ পরীক্ষার ফলাফল মিলে যাওয়ায় শিশু সনুকে ভারতীয় হাইকমিশনের জিম্মায় দেওয়া হয়েছে।

সনুকে বাংলাদেশে নিয়ে আসার ঘটনায় বরগুনার আদালতে এখন মানবপাচারের একটি মামলা বিচারাধীন আছে। বরগুনা জেলা ও দায়রা জজ আদালতের অতিরিক্ত সরকারী কৌসুলি আক্তারুজ্জামানের বরাত দিয়ে জানায়, আদালত প্রথমে শর্ত দিয়েছিল যাতে মামলার সাক্ষীর প্রয়োজনে শিশু সনুকে আদালতে হাজির করাতে ভারতীয় হাইকমিশন ‘বাধ্য’ থাকে।

কিন্তু এ বিষয়টি পুনর্বিবেচনার আবেদন জানানো হয়। এরপর আদালত সংশোধিত আদেশে বলে প্রয়োজনে ভারতীয় হাইকমিশন শিশু সনুকে আদালতে হাজির ‘নিশ্চিত’ করতে পদক্ষেপ নেবে। শিশু সনু দিল্লি থেকে নিখোঁজ হয়েছিল নাকি তাকে পাচার করে বাংলাদেশে আনা হয়েছিল, সে বিষয়টি এ মামলার মাধ্যমে নিষ্পত্তি হবে।

শিশু সনু জানায়, পাঁচ বছর আগে এক মহিলা তাকে বাংলাদেশে নিয়ে আসে। অপরদিকে দিল্লিতে সনুর মা তার সন্তান ‘হারানোর’ ঘটনায় বাংলাদেশি ওই নারীকেই অভিযুক্ত করেছে।

সনুর এ ঘটনার সাথে হিন্দি সিনেমা ‘বজরঙ্গী ভাইজান’র ঘটনার সাথে অনেকে মিল পাচ্ছেন। সনুর এই ঘটনা লোকচক্ষুর অন্তরাল থেকে সামনে নিয়ে আসেন বরগুনার জামাল ইবনে মুসা। তিনি এই ঘটনায় মামলা করেন। তার মামলার পর যশোরের কিশোর সংশোধন কেন্দ্রে আদালতের নির্দেশে আশ্রয় মেলে সনুর। এরপর দিল্লিতে গিয়ে সনুর বাবা-মা ও ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী সুষমা স্বরাজের সঙ্গে দেখা করেন তিনি। তারপর এই ঘটনা নিয়ে ভারত-বাংলাদেশ জুড়ে তোলপাড় শুরু হয়। খবর- বিবিসি বাংলা