English Version
আপডেট : ২৬ জুন, ২০১৬ ০৪:২৫

এ বছর ১ লাখ বাংলাদেশী শ্রমিক নেবে সৌদি

অনলাইন ডেস্ক
এ বছর ১ লাখ বাংলাদেশী শ্রমিক নেবে সৌদি

প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রী নুরুল ইসলাম বিএসসি বলেছেন, সৌদি আরব অদক্ষ শ্রমিকের পরিবর্তে বাংলাদেশ থেকে দক্ষ ও প্রশিক্ষিত জনবল নেয়ার ক্ষেত্রে বেশি আগ্রহী। ২০১৫ সালের জানুয়ারি থেকে ২০১৬ সালের মে পর্যন্ত সৌদি আরবে পাঠানো কর্মীর সংখ্যা ১ লাখ ৮ হাজার ৩৮৩ জন। আর এবছর আরো ১ রাখ দক্ষ বাংলাদেশী জনবল নিবে সৌদি আরব।

তিনি বলেন, প্রশিক্ষিত কর্মী পাঠানোর জন্য সরকারি উদ্যোগের পাশাপাশি বেসরকারি উদ্যোগে বিশেষায়িত প্রশিক্ষণ কার্যক্রমের ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে।

সোমবার জাতীয় সংসদে বিএনএফ’র সদস্য এস এম আবুল কালাম আজাদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন। মন্ত্রী বলেন, ২০১৫ সালের ফেব্রুয়ারিতে সৌদি আরবের সাথে সম্পাদিত সমঝোতা স্মারকের আওতায় প্রশিক্ষিত নারী কর্মী পাঠানো হচ্ছে। নারী কর্মীদের পাশাপাশি তার নিকট আত্মীয় পুরুষ সদস্যদের সম্পূর্ণ বিনা খরচে সৌদি আরবে পাঠানো শুরু হয়েছে।

নুরুল ইসলাম বিএসসি বলেন, ঢাকাস্থ মিরপুরে শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব মহিলা টিটিসিতে বেসরকারি উদ্যোগে বিদেশী প্রশিক্ষকদের সহায়তায় সৌদি আরবগামী কর্মীদের জন্য বিশেষ আবাসিক প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে। এ উদ্যোগ আরো সম্প্রসারণের পরিকল্পনা রয়েছে।

তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রীর সৌদি আরব সফরে নবদিগন্তের সূচনা হয়েছে। আশা করা যায়, শিগগিরই সৌদি আরবে অধিকহারে দক্ষ বাংলাদেশী কর্মী পাঠানো শুরু হবে।

সরকারি দলের সদস্য মনোয়ারা বেগমের এক প্রশ্নের জবাবে নুরুল ইসলাম বিএসসি বলেন, বর্তমান সরকারের কূটনৈতিক প্রচেষ্টার ফলে বাংলাদেশী কর্মী গমনকারী মোট দেশের সংখ্যা ১৬১টিতে উন্নীত করা সম্ভব হয়েছে। মন্ত্রী বলেন, বিদেশে শ্রম বাজার সম্প্রসারণের লক্ষ্যে বর্তমান সরকার নতুন শ্রম বাজার সৃষ্টি, গবেষণার মাধ্যমে নতুন শ্রমবাজার অনুসন্ধানের জন্য বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে।

তিনি বলেন, বিগত জোট সরকারের আমলে বিশ্বের মাত্র ৯৭টি দেশে কর্মী পাঠানো হত। বর্তমান সরকারের আমলে নতুন আরো ৬৪টি দেশে কর্মী পাঠানোয় বর্তমানে এ সংখ্যা ১৬১টিতে উন্নীত করা হয়েছে।

নুরুল ইসলাম বিএসসি বলেন, নতুন শ্রম বাজার সৃষ্টির লক্ষ্যে বিদেশস্থ বাংলাদেশ দূতাবাসে বিদ্যমান শ্রম উইংয়ের সংখ্যা ১৬ থেকে ২৮ এ উন্নীত করা হয়েছে।

মন্ত্রী বলেন, ক্ষেত্রসমূহে প্রশিক্ষিত বাংলাদেশী কর্মীদের বৈদেশিক কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করা হবে। সরকারের গৃহীত এসব পদক্ষেপের ফলে বিদেশে বাংলাদেশের শ্রম বাজার আরও সম্প্রসারিত হবে বলে আশা করা যায়।