চট্টগ্রামের পুলিশ সুপার বাবুল আক্তারকে গভীর রাতে শ্বশুরবাড়ি থেকে উঠে নিয়ে গেছে পুলিশ। তারপর থেকেই বাবুলের সাথে কোন যোগাযোগ করতে পারছে না স্বজনরা। এ প্রসঙ্গে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল জানান, বাবুলের স্ত্রী মাহমুদা আক্তার মিতু হত্যাকান্ডের আসামীদের মুখোমুখি করতে হয়তো বাবুলকে নিতে পারে পুলিশ।

শনিবার(২৫ জুন) সকালে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, কয়েকজন আসামির সামনে মুখোমুখি করে বাবুল আক্তারকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। এসপি বাবুলকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে কি এমন প্রশ্নে মন্ত্রীর উত্তর, বলার সময় হয়নি। শিগগিরই জানতে পারবেন।

তবে বাবুল আক্তারের সঙ্গে যোগাযোগ করতে না পেরে তার স্বজনদের মধ্যে সন্দেহ আর গভীর উদ্বেগ দেখ যাচ্ছে ।

তার বাবা ও শ্বশুর বলেন, বাবুলের স্ত্রী খুন হওয়ার পর থেকে পুলিশ নিরাপত্তা দিয়ে এসেছে। কিন্তু এখন তারা আর সহযোগিতা করছে না। বাবুল আক্তারকে গোয়েন্দা পুলিশ কার্যালয়ে রাখা হয়েছে এমন কথা শোনা যাচ্ছে। তবে এ বিষয়ে মুখ খুলছেন না পুলিশ কর্মকর্তারা।

বাবুলের শ্বশুর মোশাররফ হোসেন বলেন, শুক্রবার রাত ১টার দিকে তাদের বনশ্রীর বাসা থেকে বাবুল আক্তারকে নিয়ে যায় খিলগাঁও থানার ওসি মঈনুল হোসেন ও মতিঝিল বিভাগের উপ কমিশনার আনোয়ার হোসেন। আইজি সাহেব দেখা করতে বলেন বলে ওকে নিয়ে গেল। এরপর তার সাথে আর যোগাযোগ করতে পারছি না। যারা নিয়ে গেল তাদের সাথে যোগাযোগ করা যাচ্ছে না।

মিতু হত্যার ঘটনায় চট্টগ্রামে যে মামলা হয়েছে, বাবুল আক্তারই তার বাদী। সে কারণে প্রায়ই তাকে পুলিশের কার্যালয়ে যেতে হয়।

মোশাররফ হোসেন আরো বলেন, এরআগেও রাতে গেছে। যোগাযোগ বন্ধ হয়েছে এমন হয়নি। কিন্তু এবার বিষয়টি একেবারেই আলাদা। তার কোন প্রকার তথ্য বা যোগাযোগ করা সম্ভব হচ্ছে না। এ কারণে আমাদের সন্দেহ হচ্ছে।

আমাদের সঙ্গে যোগাযোগ করতে দিচ্ছে না কেন? ফোন বাজছে, ধরছে না কেন? বাসায় দুই বাচ্চা কাঁদছে, মা তো আর নেই।