English Version
আপডেট : ১৬ জুন, ২০১৬ ০৩:৫৫

আমি রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীর মেয়ে: শেখ হাসিনা

অনলাইন ডেস্ক
আমি রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীর মেয়ে: শেখ হাসিনা

আওয়ামী লীগ সভানেত্রী ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ১/১১ এর কথা স্বরণ করে বলেছেন, ‘এক-এগারোর সময় একটা প্রস্তাব তাঁদের সব সময় ছিল, সেটা হলো নির্বাচন করবেন না, আপনাকে প্রধানমন্ত্রীর মর্যাদা দিয়ে রাখব। আমি জিজ্ঞাসা করতাম, প্রধানমন্ত্রীর মর্যাদা মানে কী? আর আমাকে কী দেবেন আপনারা। আমি তো নিজে প্রধানমন্ত্রী ছিলাম। আর বাবা ছিলেন বাংলাদেশের প্রথম রাষ্ট্রপতি। তিনি প্রধানমন্ত্রীও ছিলেন। আমি রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীর মেয়ে।’

শেখ হাসিনা বলেছেন, বিএনপির প্রকাশ্যে মানুষ হত্যা বন্ধ করতে পেরেছি। গুপ্তহত্যাও বন্ধ করতে পারব। এটা সময়ের ব্যাপার। গুপ্তহত্যাকারীদের খুঁজে খুঁজে বের করা হবে।

আজ শনিবার সকালে প্রধানমন্ত্রীর সরকারি বাসভবন গণভবনে আওয়ামী লীগের কার্যনির্বাহী সংসদের সভায় সূচনা বক্তব্যে শেখ হাসিনা এসব কথা বলেন।

গুপ্তহত্যা রোধে সকলকেই এগিয়ে আসার আহবান জানিয়ে তিনি বলেন, ‘কেউ কাউকে আঘাত করলে দয়া করে দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে দেখবেন না। এক জোট হয়ে প্রতিরোধ করবেন, আমরা আপনাদের পাশে থাকব।’

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘গুপ্তহত্যাকারীদের খুঁজে খুঁজে বের করব। সূত্রটা কী, কাদের মদদে, কারা অর্থ দিচ্ছে। কাদের পরিকল্পনায় এই কাজগুলো তারা করছে-এই সূত্রগুলো খুঁজে বের করা হবে। কিছু সূত্র পাওয়া যাচ্ছে, একসময় সবকিছু বের হবে।’

শেখ হাসিনা বলেন, ‘গুপ্তহত্যা ঘটিয়ে কেউ পালানোর চেষ্টা করলে তাঁকে ধরার চেষ্টা করবেন। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী পাশে থাকবে। প্রতিরোধ করবেন। ঠিক যেভাবে প্রতিরোধ করেছিলেন ২০১৫ সালের জানুয়ারি থেকে মার্চ পর্যন্ত।’

আওয়ামী লীগই হত্যাকাণ্ডগুলো ঘটাচ্ছে—বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার এমন বক্তব্যের সমালোচনা করে শেখ হাসিনা বলেন, ‘বিএনপি নেত্রী বলেছেন, আওয়ামী লীগ খুন করছে। খুন করার অভ্যাস আমাদের নয়, তাঁর আছে। কারণ, তাঁরা আমাকে খুন করার জন্য বারবার চেষ্টা করেছে।’

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, ‘আমার বাসায় কাউকে ঢুকতে দিত না, কাউকে বেরোতে দিত না। বলতে গেলে হাউস অ্যারেস্টের মতো বলা চলে। কোনো এক ফাঁকে বের হয়ে আমি ল্যাবএইডে সাবিনাকে দেখতে গেলাম। সেখানে আমি প্রেস পেলাম। আর কখন পাই না-পাই, আমার যা কিছু বলার বলে যাই। আমি একটু ভালোভাবেই বললাম। তার এক দিন পরেই গ্রেপ্তার করা হলো। আমার স্বামী অসুস্থ ছিলেন। তাঁকে ধাক্কা মেরে ফেলে দেয়। বাসার সবকিছু তছনছ করা হয়। বাসার কম্পিউটার নিয়ে গেল, সবকিছু তন্ন তন্ন করে খুঁজল। আমাকে নিয়ে গেল। এখন যেটা হুইপের বাসা, ওটা তখন মালপত্র রাখার স্থান ছিল।’

কার্যনির্বাহী সংসদের সভায় আওয়ামী লীগের কার্যনির্বাহী সংসদের সব সদস্য এবং ২০তম জাতীয় কাউন্সিল উপলক্ষে গঠিত বিভিন্ন উপকমিটির সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।

উল্লেখ্য, এ বৈঠকে আবারও পিছিয়ে দেওয়া হয়েচে আওয়ামী লীগের ২০তম জাতীয় সম্মেলনের তারিখ। নতুন সম্মেলনের তারিখ নির্ধারণ করা হয়েছে আগামী ২২ ও ২৩ অক্টোবর। এর আগে আগামী ১০ ও ১১ জুলাই সম্মেলন হওয়ার কথা ছিল।