English Version
আপডেট : ১৫ জুন, ২০১৬ ১৪:২৫

১০টি মেগা প্রকল্প প্রধানমন্ত্রী নিজেই মনিটরিং করছে

অনলাইন ডেস্ক
১০টি মেগা প্রকল্প  প্রধানমন্ত্রী নিজেই মনিটরিং করছে

ফার্স্ট ট্র্যাক প্রকল্প হিসেবে চিহ্নিত করে ১০টি মেগা প্রকল্প অগ্রাধিকার ভিত্তিতে বাস্তবায়ন করছে সরকার। অবশ্য এই প্রকল্পগুলো প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নিজেই মনিটরিং করছে। 

বুধবার (১৫ জুন) জাতীয় সংসদে নির্ধারিত প্রশ্নোত্তর পর্বে সংসদ সদস্য বেগম ফজিলাতুন নেসা বাপ্পির এক প্রশ্নের জবাবে প্রধানমন্ত্রী একথা বলেন।

বাস্তবায়নাধীন প্রকল্পগুলো হলো- পদ্মা বহুমুখী সেতু প্রকল্প; রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র স্থাপন; রামপাল মৈত্রী সুপার থার্মাল পাওয়ার প্রজেক্ট; মাতারবাড়ী আল্ট্রা সুপার ক্রিটিক্যাল কোল ফায়ার্ড পাওয়ার প্রজেক্ট; ঢাকা মাস র‌্যাপিড ট্রানজিট ডেভেলপমেন্ট প্রকল্প (মেট্রোরেল); এলএনজি টার্মিনাল নির্মাণ, মহেশখালী, কক্সবাজার; সোনাদিয়া গভীর সমুদ্র বন্দর; পায়রা গভীর সমুদ্র বন্দর; পদ্মা রেল সেতু সংযোগ প্রকল্প ও দোহাজারী থেকে ঘুমধুম পর্যন্ত রেললাইন নির্মাণ।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, পদ্মা বহুমুখী সেতু প্রকল্প ২৮ হাজার ৭৯৩ কোটি ৩৮ লাখ ৭৬ হাজার টাকা ব্যয়ে নির্ধারিত সময়ের মধ্যে প্রকল্প বাস্তবায়নের জন্য বিভিন্ন কার্যক্রম চলমান রয়েছে। মূল সেতু এবং নদীশাসন কাজের মোবিলাইজেশন কাজ চলমান রয়েছে। জাজিরা প্রান্তে এপ্রোচ রোডের কাজ ৭৩ শতাংশ, মাওয়া প্রান্তে এপ্রোচ রোডের কাজ ৯০ শতাংশ, সার্ভিস এরিয়া (২) ৯১ শতাংশ, মূল সেতু নির্মাণ কাজের ২৩ শতাংশ অগ্রগতি সম্পন্ন হয়েছে। পাশাপাশি নদীশাসন নির্মাণ কাজের অগ্রগতি ২০ শতাংশ সম্পন্ন হয়েছে। প্রকল্পটির ৩৩ শতাংশ সার্বিক অগ্রগতি সম্পন্ন হয়েছে। রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র স্থাপন প্রকল্পটি রাশিয়ান সরকারের অর্থায়নে ৫ হাজার ৮৭ কোটি ৯ লাখ টাকা ব্যয়ে বাস্তবায়িতব্য ৪টি চুক্তির মধ্যে এ প্রকল্পের ১ম ও ২য় চুক্তির কাজ শতভাগ সম্পন্ন হয়েছে।

শেখ হাসিনা জানান, রামপাল মৈত্রী সুপার থার্মাল পাওয়ার প্রজেক্ট বাংলাদেশ ও ভারত সরকারের যৌথ অর্থায়নে ১৭ হাজার ৭৭৮ কোটি ৫৬ লাখ টাকা ব্যয়ে এ প্রকল্প বাংলাদেশ বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড এবং ন্যাশনাল থার্মাল পাওয়ার কোম্পানি (এনটিপিসি) ইন্ডিয়া লিঃ এর যৌথ উদ্যোগে বাস্তবায়িত হচ্ছে। মাতারবাড়ী আল্ট্রা সুপার ক্রিটিক্যাল কোল ফায়ার্ড পাওয়ার প্রজেক্ট জাপান সরকারের অর্থায়নে ৩৫ হাজার ৯৮৪ কোটি ৪৬ লাখ টাকা ব্যয়ে এ প্রকল্পের ওনার্স ইঞ্জিনিয়ার এ্যাপন্টমেন্ট ল্যান্ড হান্ডেড ওভার টু সিপিজিসিবিএল, ইআইএ ক্লিয়ারেন্স এর কাজ ১০০ ভাগ এবং বাউন্ডারি ফেন্সিং এর কাজ ৯০ শতাংশ সম্পন্ন হয়েছে।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ঢাকা মাস র‌্যাপিড ট্রানজিট ডেভেলপমেন্ট প্রকল্প (মেট্রোরেল) প্রকল্পটি জাপান সরকারের অর্থায়নে মোট ২১ হাজার ৯৮৫ কোটি ৭ লাখ টাকা ব্যয়ে বাস্তবায়নের জন্য অনুমোদিত হয়েছে। এলএনজি টার্মিনাল নির্মাণ প্রকল্প বাস্তবায়নে চূড়ান্ত করা টার্মিনাল ইউজ এগ্রিমেন্ট এবং ইমপ্লিমেন্টেশন এগ্রিমেন্টের ওপর ভেটিং পাওয়ামাত্র সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটিতে পাঠানো হবে। কক্সবাজার জেলার সোনাদিয়ায় একটি গভীর সমুদ্র বন্দর নির্মাণের লক্ষ্যে জাপানের পেসিফিক কনসালটেন্ট ইন্টারন্যাশনাল (পিসিআই) কর্তৃক একটি টেকনো-ইকোনমিক স্টাডি করা হয়েছে। অর্থায়নের বিষয়টি চূড়ান্ত হলে শিগগিরই গভীর সমুদ্র বন্দর নির্মাণের কাজ শুরু হবে।

পায়রা গভীর সমুদ্র বন্দর প্রকল্পটি ফার্স্ট ট্র্যাক প্রকল্প হিসেবে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। এছাড়া পদ্মা রেল সেতু সংযোগ প্রকল্পটি চীন সরকারের অর্থায়নে জি টু জি পদ্ধতিতে ৩৪ হাজার ৯৮৮ কোটি ৮৬ লাখ টাকা ব্যয়ে একনেকে অনুমোদিত হয়েছে।

দোহাজারী থেকে ঘুমধুম পর্যন্ত রেললাইন নির্মাণ প্রকল্পটি এডিবি অর্থায়নে ১৮ হাজার ৩৪ কোটি ৪৬ লাখ টাকা ব্যয়ে বাস্তবায়নের জন্য একনেকে অনুমোদিত হয়েছে বলে জানান শেখ হাসিনা। খবর-বাসস।