English Version
আপডেট : ১৪ জুন, ২০১৬ ১১:১৮

বিএনসিসি আইন ২০১৬ অনুমোদন

অনলাইন ডেস্ক
বিএনসিসি আইন ২০১৬ অনুমোদন

স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন বাংলাদেশ ন্যাশনাল ক্যাডেট কোর (বিএনসিসি) পরিচালনায় একটি অধিদপ্তর প্রতিষ্ঠায় 'বাংলাদেশ ন্যাশনাল ক্যাডেট কোর আইন' ২০১৬-এর খসড়া চূড়ান্ত অনুমোদন দিয়েছে মন্ত্রিসভা।

সোমবার (১৩ জুন) জাতীয় সংসদ ভবনে মন্ত্রিসভার নিয়মিত বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এ অনুমোদন দেন। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে মন্ত্রিসভার নিয়মিত বৈঠক শেষে সচিবালয়ে মন্ত্রিপরিষদ সচিব মোহাম্মদ শফিউল আলম প্রেস ব্রিফিংয়ে এ কথা জানান।

সচিব বলেন, নতুন এই আইনের অধীনে প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের আওতায় ঢাকায় বিএনসিসি অধিদপ্তর প্রতিষ্ঠা করা হবে। এই অধিদপ্তরের দায়িত্বে একজন মহাপরিচালক থাকবেন। প্রতিরক্ষা সচিবের নেতৃত্বে ১৭ সদস্যের  উপদেষ্টা কমিটিও থাকবে। প্রতিরক্ষা, শিক্ষা, অর্থ ও স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, সশস্ত্র বাহিনী বিভাগ, সেনা, নৌ ও বিমান সদর, মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তর, বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন, জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয় এবং কারিগরি শিক্ষা বোর্ড থেকে একজন করে প্রতিনিধি এই উপদেষ্টা কমিটিতে রাখা হবে। উপদেষ্টা কমিটির সদস্য সচিব হবেন বিএনসিসির মহাপরিচালক।

সচিব বলেন, বিএনসিসির কোনো আইনি কাঠামো নেই। ১৯৫০ সালের একটি সার্কুলারের মাধ্যমে দীর্ঘদিন ধরে বিএনসিসি পরিচালিত হয়ে আসছিল। এর পূর্ণাঙ্গ আইন ছিল না। একে আইনি কাঠামো দিতেই নতুন আইনটি করা হচ্ছে। গত বছর ২৮ ডিসেম্বর বিএনসিসি আইনের খসড়ায় মন্ত্রিসভা নীতিগত অনুমোদন দেয়। ন্যাশনাল ক্যাডেট কোরের পরিধি বিস্তৃত হওয়ায় একে আইনি কাঠামোতে এনে সুসংগঠিত ও গতিশীল করতে আইন করা হচ্ছে।

তিনি জানান, নির্ধারিত যোগ্যতা সম্পন্ন স্কুল, কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা জুনিয়র ও সিনিয়র ডিভিশনের ক্যাডেট হিসেবে তালিকাভুক্ত হতে পারবেন। বিএনসিসিতে যুক্ত শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষকরা শৃঙ্খলাবিরোধী কোনো কাজ করলে অধিদপ্তর বা কোরের সংশ্লিষ্ট বিধি অনুযায়ী তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। ন্যাশনাল ক্যাডেট কোরের কোনো সদস্য শৃঙ্খলাবিরোধী কাজ করলে কোরের বিধি অনুযায়ী তাদের শাস্তির আওতায় আনা হবে। বিএনসিসি তরুণ শিক্ষার্থীদের নৈতিক উন্নয়ন ও নেতৃত্বের গুণাবলি বিকাশের লক্ষ্যে প্রতিষ্ঠিত একটি স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন। বাংলাদেশের অনেক বিশ্ববিদ্যালয় ও কলেজে এ সংগঠন রয়েছে। ১৯২৭ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সংগঠনটির যাত্রা শুরু হয়।