English Version
আপডেট : ৭ জুন, ২০১৬ ১৭:৪৯

প্রধানমন্ত্রী দেশের উদ্দেশে মদিনা ত্যাগ

অনলাইন ডেস্ক
প্রধানমন্ত্রী দেশের উদ্দেশে মদিনা ত্যাগ

সৌদি আরবে পাঁচদিনের সরকারি সফর শেষে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা মঙ্গলবার (৭ জুন) দেশের উদ্দেশে পবিত্র নগরী মদিনা ত্যাগ করেছেন।

মঙ্গলবার (৭ জুন) সকালে দেশের উদ্দেশে যাত্রাকালে প্রধানমন্ত্রীকে সৌদিরা আন্তরিক বিদায় জানান।

মদিনার ডেপুটি গভর্নর আবদুল মুহসিন আল মুনিফ, সৌদি আরবে বাংলাদেশী রাষ্ট্রদূত এবং ওআইসি’র স্থায়ী প্রতিনিধি গোলাম মসিহ এবং মদিনার কনস্যুলার জেনারেল এ কে এম শহিদুল করিম বিমানবন্দরে তাঁকে বিদায় জানান।

বিমানবন্দরে সৌদি সেনাবাহিনীর একটি চৌকস দল প্রধানমন্ত্রীকে গার্ড অব অনার জানায়। বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের একটি ভিভিআইপি ফ্লাইট প্রধানমন্ত্রী ও তাঁর সফরসঙ্গীদের নিয়ে স্থানীয় সময় সকাল ১০.৪০ টায় প্রিন্স মোহাম্মদ বিন আবদুল আজিজ বিমানবন্দর ত্যাগ করেছে।

বাদশা সালমান বিন আবদুল আজিজ আল সৌদের আমন্ত্রণে তিনি সৌদি আরব সফর করেন। ২০১৫ সালের জানুয়ারিতে বাদশার শপথ গ্রহণের পর প্রধানমন্ত্রীর এই সফর অনুষ্ঠিত হল।

পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ এইচ মাহমুদ আলী, বঙ্গবন্ধুর ছোট মেয়ে শেখ রেহানা এবং একটি ব্যবসায়ী প্রতিনিধি দল প্রধানমন্ত্রীর সফর সঙ্গী হিসেবে রয়েছেন।

প্রধানমন্ত্রীকে বহনকারী বাংলাদেশ বিমানের ফ্লাইট সন্ধ্যা ৭.৩০ মিনিটে হযরত শাহজালাল বিমান বন্দরে পৌঁছাবে বলে আশা করা হচ্ছে। শেখ হাসিনা গত ৩ জুন জেদ্দার উদ্দেশে ঢাকা ত্যাগ করেন।

সৌদি আরবে অবস্থানকালে তিনি মক্কায় পবিত্র ওমরাহ পালন করেন এবং মসজিদে নববীতে হযরত মোহাম্মদ (সা.) এর রওজা মোবারক জেয়ারত করেন। জেদ্দায় সৌদি বাদশার সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় স্বার্থ-সংশ্লিস্ট, আঞ্চলিক ও আন্তর্জাতিক ইস্যুতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছে।

উভয় নেতা বৈশ্বিক শান্তি, উন্নয়ন ও মুসলিম উম্মাহর কল্যাণে একত্রে কাজ করার পাশাপাশি উন্নয়ন ও ব্যবসা, বাণিজ্যের দ্বিপক্ষীয় সম্ভাবনা কাজে লাগানো এবং দুই দেশের জনগণের মধ্যে যোগাযোগ সম্পর্ক উন্নয়নের বিষয় সম্মত হন।

দুই নেতা ইসলামিক জোটের মাধ্যমে সন্ত্রাসবাদ ও সহিংস চরমপন্থার বিরুদ্ধে কঠোর অবস্থান ব্যক্ত করেন। তিনি জেদ্দায় এক অনুষ্ঠানের মাধ্যমে রিয়াদে বাংলাদেশ চ্যান্সেরি কমপ্লেক্স ও বাংলাদেশ হাউসের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন।

সৌদি অর্থমন্ত্রী, শ্রমমন্ত্রী, প্রতিরক্ষামন্ত্রী, এ্যাডভাইজার অব দ্যা রয়াল কোর্ট অব দি সৌদি কিং, সৌদি মন্ত্রীবৃন্দ ও সিনিয়র কর্মকর্তারা বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন। শেখ হাসিনার সফরকালে সৌদি আরব বাংলাদেশ থেকে ৫ লাখের বেশি জনশক্তি নিয়োগের আগ্রহ প্রকাশ করেছে এবং শ্রমিক ছাড়াও বাংলাদেশ থেকে চিকিৎসক, শিক্ষক ও ইঞ্জিনিয়ার নিতে আগ্রহী।

প্রধানমন্ত্রী দুই দেশের পারস্পরিক স্বার্থের জন্য বাংলাদেশ-সৌদি আরব যৌথ অর্থনৈতিক কমিশন আরও কার্যকর করার ওপর গুরুত্বারোপ করেন। প্রধানমন্ত্রী বাংলাদেশে আরও সৌদি বিনিয়োগ চেয়েছেন বিশেষ করে কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎ উৎপাদন প্রকল্পের পাশাপাশি ঢাকা নগরীকে ঘিরে সার্কুলার রোড, রেল ও ওয়াটার ওয়েজ উন্নয়নে এই বিনিয়োগ চান।

সৌদি আরবের নির্মাণখাতে স্থপতি, প্রকৌশলীসহ দক্ষ জনশক্তি সরবরাহের জন্য বাংলাদেশের সেনা কল্যাণ ভবন এবং সৌদি বাওয়ানী গ্রুপের মধ্যে একটি সমঝোতা স্মারক (এমওইউ) স্বাক্ষর হয়েছে। খবর- বাসস।