English Version
আপডেট : ৪ জুন, ২০১৬ ১৮:২০

বাজেট উচ্চাভিলাষী হলেও রাজস্ব আদায় সম্ভব

অনলাইন ডেস্ক
বাজেট উচ্চাভিলাষী হলেও রাজস্ব আদায় সম্ভব
এবারের বাজেট ‘উচ্চাভিলাষী’ হলেও রাজস্ব আদায়ের লক্ষ্যমাত্রা অর্জিত হবে বলে দাবি করেন অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত।

শুক্রবার (৩ জুন) রাজধানীর ওসমানী স্মৃতিমিলনায়তনে ২০১৬-১৭ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেট-উত্তর আয়োজিত এক জনাকীর্ণ সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন।

প্রতিবছর বাজেট পুরোপুরি বাস্তবায়িত না হলে বাজেট নিয়ে জনগণের মধ্যে এক ধরনের আস্থাহীনতা সৃষ্টি হতে পারে বেসরকারি গবেষণা সংস্থা সিপিডি’র এমন মন্তব্যের জবাবে অর্থমন্ত্রী বলেন, ‘বাজেট অবশ্যই বাস্তবায়ন সম্ভব। বাজেট উচ্চাভিলাষী হওয়ায় সরকারের দায়িত্ব বাড়ছে, বাড়ছে দক্ষতা। বাজেট বাস্তবায়নের হার অতীতের যে কোন সময়ের চেয়ে বেশি। এক হতে পারে, সব কিছু কমিয়ে ধরা হলো এবং পরে অর্জন হলো তার চেয়েও বেশি। আমি অতীতে এ ধরনের বাজেট দিয়েছি। এটা নতুন করে প্রমাণ করার কিছু নেই।’

রাজস্ব আদায়ের লক্ষ্যমাত্রা প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘রাজস্ব আদায়ের লক্ষ্যমাত্রা অবশ্যই উচ্চাভিলাষী। গতবারের চেয়ে এবার রাজস্ব আদায়ের লক্ষ্যমাত্রা ৩৫ শতাংশ বাড়ানো হয়েছে। বছর রাজস্ব আদায়ের পরিমাণ বেশ নিম্নমানের। এজন্য বিশেষ নজর দেওয়া হচ্ছে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) দিকে। অর্থপ্রাপ্তি নিশ্চিত করতে নেওয়া হয়েছে একগুচ্ছ পরিকল্পনা। চলতি মাস থেকেই এ কার্যক্রম শুরু হবে।’

প্রসঙ্গক্রমে তিনি আরও বলেন, ‘সাত বছর ধরে এ মন্ত্রণালয়ে আছি। সাত বছরে রাজস্ব আদায়ের ক্ষমতা বহুগুণে বাড়ানো হয়েছে। কয়েক হাজার লোক নিয়োগ হয়েছে। নতুন নতুন অফিস করা হচ্ছে। কর্মকর্তাদের প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েছে। রাজস্ব আদায়ে এনবিআরে সক্ষমতা বেড়েছে।’

বাজেটে কালো টাকা সাদা করার সুযোগ অব্যাহত থাকা নিয়ে প্রশ্ন তোলায় ক্ষুব্ধ হয়েছেন অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত।

তিনি বলেন, প্রতিবার বাজেটের পর এটা নিয়ে প্রশ্ন তোলার কোন কারণ নেই। জরিমানা দিয়ে অপ্রদর্শিত আয় বৈধ করার স্থায়ী ব্যবস্থা দু’বছর আগেই করে দেওয়া হয়েছে। আওয়ামী লীগ সরকার যতদিন ক্ষমতায় থাকবে জরিমানা দিয়ে কালো টাকা সাদা করার সুযোগ অব্যাহত থাকবে। এটা পরিবর্তন করা হবে না। তবে শর্তহীনভাবে কালো টাকা সাদা করার সুযোগ দেওয়া হবে না।

সংবাদ সম্মেলনে অন্যান্যের মধ্যে সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের জবাব দেন বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ, কৃষি মন্ত্রী মতিয়া চৌধুরী, পরিকল্পনামন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল, তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনু। ইআরডি সচিব, অর্থসচিব, এনবিআর চেয়ারম্যান ও বাংলাদেশ ব্যাংক গভর্নরও সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন।