English Version
আপডেট : ২১ মে, ২০১৬ ০০:৩১

পশ্চিম-মধ্য বঙ্গোপসাগর সাত নম্বর বিপদ সংকেত

অনলাইন ডেস্ক
পশ্চিম-মধ্য বঙ্গোপসাগর সাত নম্বর বিপদ সংকেত

পশ্চিম-মধ্য বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন এলাকায় অবস্থানরত ঘূর্ণিঝড় রোয়ানু ক্রমে উপকূলের দিকে অগ্রসর হচ্ছে। ঘূর্ণিঝড়টি গত ২৪ ঘণ্টায় অন্তত ২৫০ কিলোমিটার এগিয়েছে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অফিস। ঘূর্ণিঝড়ের আশঙ্কায় চট্টগ্রাম বন্দরকে ৭ নম্বর, কক্সবাজার সমুদ্রবন্দরকে ৬ নম্বর এবং মংলা ও পায়রা বন্দরকে ৫ নম্বর বিপদ সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে।

এই ঝড় আরও উত্তর-পূর্ব দিকে অগ্রসর হয়ে আগামীকাল শনিবার বিকাল বা সন্ধ্যা নাগাদ চট্টগ্রাম-নোয়াখালী অঞ্চলের ওপর দিয়ে উপকূল অতিক্রম করতে পারে বলে ধারণা করছেন আবহাওয়াবিদরা। জ্যেষ্ঠ আবহাওয়াবিদ আবদুল মান্নান জানান, শুক্রবার বেলা ১২টায় ঘূর্ণিঝড় রোয়ানু চট্টগ্রাম বন্দর থেকে ৯৬৫ কিলোমিটার দক্ষিণ-পশ্চিম, কক্সবাজার সমুদ্রবন্দর থেকে ৯৪৫ কিলোমিটার দক্ষিণ-পশ্চিম, পায়রা সমুদ্রবন্দর থেকে ৭৭৫ কিলোমিটার দক্ষিণ-পশ্চিম এবং মংলা সমুদ্রবন্দর থেকে ৮১০ কিলোমিটার দক্ষিণ-পশ্চিমে অবস্থান করছিল। সে সময় ঘূর্ণিঝড় কেন্দ্রের ৫৪ কিলোমিটারের মধ্যে বাতাসের একটানা সর্বোচ্চ গতিবেগ ছিল ঘণ্টায় ৬২ কিলোমিটার, যা দমকা বা ঝড়োহাওয়ার আকারে ৮৮ কিলোমিটার পর্যন্ত বৃদ্ধি পাচ্ছিল। উত্তর বঙ্গোসাগর ও গভীর সাগরে অবস্থানরত সব মাছ ধরার নৌকা ও ট্রলারকে উপকূলের কাছাকাছি থাকতে বলা হয়েছে। যাতে তারা স্বল্প সময়ের নির্দেশে নিরাপদ আশ্রয়ে যেতে পারে। সেই সঙ্গে তাদেরকে গভীর সাগরে বিচরণ না করতেও বলা হয়েছে। এদিকে আবহাওয়া অফিস সূত্রে জানা গেছে, ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে উপকূলীয় জেলা চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, নোয়াখালী, লক্ষীপু

র, ফেনী, চাঁদপুর, বরগুনা, পটুয়াখালী, ভোলা, বরিশাল, পিরোজপুর, ঝালকাঠি, বাগেরহাট, খুলনা, সাতক্ষীরা এবং তাদের অদূরবর্তী দ্বীপ ও চরসমূহের নিম্নাঞ্চল  স্বাভাবিক জোয়ারের চেয়ে ৪-৫ ফুট অধিক উচ্চতার জলোচ্ছ্বাসে প্লাবিত হতে পারে। ঘূর্ণিঝড় অতিক্রমকালে এসব জেলা এবং তাদের অদূরবর্তী দ্বীপ ও চরসমূহে ভারী থেকে অতি ভারী বর্ষণসহ ঘণ্টায় ৬২-৮৮ কিলোমিটার বেগে দমকা অথবা ঝড়ো হাওয়া বয়ে যেতে পারে। ঘূর্ণিঝড় ‘রোয়ানু’র প্রভাবে ভারতের উপকূলীয় রাজ্য ও শ্রীলঙ্কাতেও ঝড়ো বৃষ্টি হয়েছে।