English Version
আপডেট : ১৯ মে, ২০১৬ ১৮:২১

একনেত্রীর দ্বারা উন্নয়ন অপরনেত্রীতে ধ্বংস

অনলাইন ডেস্ক
একনেত্রীর দ্বারা উন্নয়ন অপরনেত্রীতে ধ্বংস

এক নেত্রী দেশের উন্নয়ন করছে আর আরেক নেত্রী গোলযোগ সৃষ্টি করে দেশকে ধ্বংস করার ষড়যন্ত্র করছে বলে অভিযোগ করেছেন আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদ সদস্য ও বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ।

রাজধানীর সেগুনবাগিচা শিল্পকলা একাডেমীর ৬নং গ্যালারিতে যুবলীগ আয়োজিত এক আলোচনা সভায় বৃহস্পতিবার (১৯ মে) বিকেলে তিনি এ অভিযোগ করেন। ‘রাষ্ট্রনায়ক শেখ হাসিনার গণতন্ত্রের জন্য সংগ্রাম ও বিশ্বে আজ ধ্রুবতারা রাষ্ট্রনায়ক শেখ হাসিনা’ গ্রন্থের সপ্তাহব্যাপী সংবাদচিত্র প্রদর্শণীর অংশ হিসেবে আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়।

বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশের আজ বিস্ময়কর উত্থান হয়েছে। আর এই উন্নয়নকে বাধাগ্রস্ত করার জন্য বেগম খালেদা জিয়া ষড়যন্ত্র শুরু করেছে। তার এক লোক মোসাদের সঙ্গে বৈঠক করে সরকার উৎখাত করার ষড়যন্ত্র করছে।

বাণিজ্যমন্ত্রী আরও বলেন, তিনি (খালেদা) বলেছিলেন, শেখ হাসিনার পতন না হলে আমি ঘরে ফিরে যাবো না। কিন্তু তিনি নিজেই কোর্টে গিয়ে আত্মসর্ম্পণ করে ঘরে ফিরে গেছে। ৫ জানুয়ারি নির্বাচন না হলে এই বাংলাদেশে গণতন্ত্র থাকতো না। শেখ হাসিনা নিজের নেতৃত্বের দৃঢ়তায় ৫ জানুয়ারি নির্বাচন করে দেশে গণতন্ত্র রেখেছেন।

তিনি বলেন, ‘শেখ হাসিনা প্রধানমন্ত্রী না হতেন এই বাংলাদেশে কোন দিন বঙ্গবন্ধু হত্যার বিচার হতো না। শেখ হাসিনা প্রধানমন্ত্রী না হলে কোন দিন যুদ্ধাপরাধী, মানবতাবিরোধীদের বিচার হতো না। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার মঙ্গল কামনা করি।’

তোফায়েল বলেন, ‘এবার বাজেট হতে যাচ্ছে ৩ লাখ ৪০ হাজার কোটি টাকা। খাদ্য উদ্বৃত্তের দেশ বাংলাদেশ। চাল রফতানির জন্য আন্তর্জাতিক বাজারে ক্রেতা খুঁজবো। ইতোমধ্যেই আমাদের সঙ্গে কিছু আন্তর্জাতিক ক্রেতা সাক্ষাৎ করেছে। আগামী ২/৩ বছরের মধ্যে মেট্রোরেল চালু হবে।’

তিনি বলেন, ‘১/১১ সময় আওয়ামী লীগকে ধ্বংস করতে চেয়েছিলো। ঐক্যবদ্ধ আওয়ামী লীগের মাধ্যমে নির্বাচনী ব্যবস্থা সংস্কারের মাধ্যমে আওয়ামী লীগ দুই-তৃতীয়াংশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা অর্জন করল। ২০০৮ সালের নির্বাচনের মধ্য দিয়ে নেত্রী আওয়ামী লীগকে আমার ক্ষমতায় নিলেন।’

আওয়ামী লীগের এই নেতা বলেন, ‘বেগম খালেদা জিয়া স্বাধীনতাবিরোধী, যুদ্ধাপরাধী, মানবতাবিরোধীদের গাড়িতে জাতীয় পতাকা তুলে দিয়ে আমাদেরকে অপমাণিত করেছিল। আমাদের নেত্রী যুদ্ধাপরাধীদের বিচার করে আমাদেরকে কলঙ্কমুক্ত করেছেন।’

আওয়ামী যুবলীগের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ ওমর ফারুক চৌধুরীর সভাপতিত্বে এবং সাধারণ সম্পাদক মো. হারুনুর রশীদ এর পরিচালনায় আলোচনা সভায় বক্তব্য রাখেন, একাত্তর টেলিভিশনের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোজ্জামেল বাবু, এসএ টিভির যুগ্ম বার্তা সম্পাদক জাহিদুর রহমান, গাজী টেলিভিশনের প্রধান বার্তা সম্পাদক ইকবাল কবির নিশান, এটিএন বাংলার প্রধান প্রতিবেদক মনিউর রহমান, যুবলীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য মজিবুর রহমান চৌধুরী, আতাউর রহমান, ফারুক হোসেন, বেলাল হোসেন প্রমুখ।