English Version
আপডেট : ১৬ মে, ২০১৬ ২০:৩৬

সন্ত্রাস মোকাবেলায় বাংলাদেশ-যুক্তরাষ্ট্র একসঙ্গে কাজ করবে

অনলাইন ডেস্ক
সন্ত্রাস মোকাবেলায় বাংলাদেশ-যুক্তরাষ্ট্র একসঙ্গে কাজ করবে

সন্ত্রাস মোকাবেলায় বাংলাদেশের সঙ্গে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র একসঙ্গে কাজ করবে জানিয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল বলেছেন, সন্ত্রাসী হামলার আগেই তা সনাক্ত করে প্রতিরোধ করা হবে।

সচিবালয়ে সোমবার (১৬ মে) বিকেলে মার্কিন প্রধান উপ-পররাষ্ট্রমন্ত্রী উইলিয়াম ইটুট-এর নেতৃত্বে ১৫ সদস্যের প্রতিনিধিদলের সঙ্গে বৈঠক শেষে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী একথা বলেন।

আসাদুজ্জামান খান কামাল বলেন, সন্ত্রাস মোকাবেলায় বাংলাদেশকে সহযোগিতা ও পরামর্শ দেওয়ার জন্য ১৫ সদস্যের মার্কিন একটি বিশেষজ্ঞ প্রতিনিধি দল এসেছিলেন। তাদের মধ্যে কেউ কাউন্টার টেররিজমের উপর কাজ করেন আবার কেউ সামাজিক মিডিয়ার উপর কাজ করেন। সন্ত্রাসীরা কীভাবে সোস্যাল মিডিয়াতে এক্টিভিটিস চালায় তা দেখেন।

সন্ত্রাস মোকাবেলায় তারা আমাদেরকে টেকনিক্যাল সহায়তা দেবেন।

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, আমরা বলেছি সারা পৃথিবী টেরোরিস্টদের দ্বারা একের পর এক আক্রান্ত হচ্ছে। বাংলাদেশে বিচ্ছিন্নভাবে আমরা অভ্যন্তরীণ সন্ত্রাসী গোষ্ঠীর দ্বারা আক্রান্ত হচ্ছি। আমরা অভ্যন্তরীণ সন্ত্রাসীদের দ্বারা আর আক্রান্ত হতে চাই না। আমরা টেরোরিস্ট এ্যাটাকের আগেই তা (প্রিভেন্ট) সনাক্ত করতে চাই। সেই জায়গায় আমরা কাজ করতে চাই।

দেশের মধ্য থেকে ও বাইরে থেকে নানা ধরনের ষড়যন্ত্র হচ্ছে জানিয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, আমরা বলেছি বাংলাদেশে সেক্যুলার স্টেট। এখানে ধর্ম নিয়ে কোনো প্রাধান্য দেওয়া হয় না। সব ধর্মের লোক সমানভাবে চলে। আমাদের দেশে বড় কোনো সন্ত্রাসী ঘটনা ঘটছে না। কারণ মানুষ টেরোরিজমকে পছন্দ করে না। আমরা সন্ত্রাসীদের মোকাবেলা করতে সক্ষম হয়েছি।

তিনি বলেন, তারা তাদের (মার্কিন) এ্যাম্বাসিপল্লীতে সিকিউরিটির কথা আগে থেকেই বলে আসছিল। সে অনুযায়ী তাদের সার্বক্ষণিক নিরাপত্তা দিচ্ছি। এতে তারা সন্তোষ প্রকাশ করেছে। প্রতিনিধি দল আমাদের জানিয়েছে, বাংলাদেশ যেভাবে সন্ত্রাস মোকাবেলা করছে তা সঠিকভাবেই হচ্ছে। আগামীতে আমরা তাদের কাছ থেকে ট্রেনিংসহ যেসব সহযোগিতা চেয়েছি তা অব্যাহত রাখবে। বৈঠকে ঐক্যবদ্ধভাবে টেরোরিস্টদের মোকাবেলা করতে আমরা একমত হয়েছি।

সিকিউরিটি ইস্যুতে বিভিন্ন দূতাবাস থেকে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়কে চিঠি দেওয়া প্রসঙ্গে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, দুয়েকটা যে এ্যাটাক হয়নি আমরা তা বলছি না। অনেকে হয়তো শঙ্কা প্রকাশ করছেন। এ্যাম্বাসি-বিভিন্ন দূতাবাসগুলো আমাদের চিঠিপত্র দিয়েছে। আশঙ্কার কথা ব্যক্ত করেছে। সেজন্য আমরা এ্যাম্বাসিপল্লীতে আমাদের এ্যাক্টিভিটিস বাড়িয়ে দিয়েছি। পায়ে হেঁটে, মোটরবাইক এবং কারে করে টহল দেওয়া হচ্ছে। চেকপোস্ট বাড়ানো হয়েছে। সব জায়গায় গোয়েন্দা ও পোশাকি পুলিশ বাড়ানো হয়েছে।

বৈঠক শেষে ঢাকায় নিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূত মার্শিয়া বার্নিকাট বলেন, সন্ত্রাস মোকাবেলায় বাংলাদেশের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্র এক সঙ্গে কাজ করবে।