আগামী জুন মাসেই প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা মেট্রোরেল নির্মাণকাজের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করবেন। রুট পরিবর্তনের আর কোনো সুযোগ নেই। বিদ্যমান এলাইনমেন্টে রুটটি অনুমোদিত বলে জানিয়েছেন সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।

আজ শুক্রবার (১৩) রাজধানীর উত্তরায় মেট্রোরেল ডিপোর উন্নয়নকাজ পরিদর্শনের সময় সাংবাদিকদের সামনে মন্ত্রী এ কথা বলেন।

ওবায়দুর কাদের বলেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের লাইব্রেরি ভবন, টিএসসি, জাতীয় জাদুঘরসহ গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনার পাশ দিয়ে রুট নির্মাণে সর্বাধুনিক প্রযুক্তির শব্দ নিরোধক যন্ত্র স্থাপন করা হবে। আশা করা যায়, ২০১৯ সালে মেট্রোরেল রুট ৬-এর বাণিজ্যিক পরিচালনা শুরু সম্ভব হবে। প্রথম ধাপে আগারগাঁও পর্যন্ত মেট্রোরেলের কাজ হয়ে শেষ হবে। এরপরের কয়েকমাসের মধ্যে শুরু হবে শাপলা চত্বর পর্যন্ত মেট্রোরেলের কাজ।

ওবায়দুল কাদের বলেন, মেট্রোরেলের ডিপো এলাকার ভূমি উন্নয়ন এবং প্রয়োজনীয় স্থাপনা নির্মাণে ব্যয় হবে ৫৬৭ কোটি টাকা। গত মার্চের শেষ সপ্তাহে ডিপো নির্মাণে আন্তর্জাতিক প্রতিযোগিতামূলক দরপত্রের মাধ্যমে প্রকল্প কর্তৃপক্ষ নির্বাচিত জাপানি প্রতিষ্ঠান টোকিও কনস্ট্রাকশন কোম্পানি লিমিটেডের সঙ্গে চুক্তি সই করেছে।

মেট্রোরেল-৬ প্রকল্পটি জাপানের সহযোগিতা সংস্থা জাইকার অর্থায়নে বাস্তবায়িত হচ্ছে। প্রায় ২২ হাজার কোটি টাকা ব্যয়ের এ প্রকল্পে জাইকা দিচ্ছে প্রায় সাড়ে ১৬ হাজার কোটি টাকা। উত্তরা থেকে মতিঝিল শাপলা চত্বর পর্যন্ত মেট্রো-৬ রুটে স্টেশন থাকবে ১৬টি। নির্মাণ শেষ হলে এ রুটে প্রতি ঘণ্টায় উভয় দিকে প্রায় ৬০ হাজার যাত্রী পরিবহনের সক্ষমতা থাকবে।

পরিদর্শনের সময় সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগের সচিব এম এ এন ছিদ্দিক, ঢাকা যানবাহন সমন্বয় কর্তৃপক্ষের নির্বাহী পরিচালক কায়কোবাদ হোসেন, মেট্রোরেল প্রকল্পের পরিচালক মোফাজ্জেল হোসেনসহ প্রকল্পের পরামর্শক, নির্মাণ ঠিকাদার প্রতিষ্ঠানের প্রকৌশলী ও প্রকল্পের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।