English Version
আপডেট : ১২ মে, ২০১৬ ২০:৪৪

কমিশন পাওয়ার চিন্তা না করে প্রয়োজনে নজর দিন

অনলাইন ডেস্ক
কমিশন পাওয়ার চিন্তা না করে প্রয়োজনে নজর দিন
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, সরকারের ২ বছর ৫ মাস চলে গেছে, বাকি সময়ের মধ্যেই সব উন্নয়ন প্রকল্পগুলো দ্রুত বাস্তবায়ন করতে চায়। তাই অবকাঠামো উন্নয়নে প্রকল্প নেয়ার ক্ষেত্রে ‘কমিশন’ পাওয়ার চিন্তা না করে প্রয়োজনের দিকে নজর দিন।
 
বৃহস্পতিবার (১২ মে) রাজধানীর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে ইনস্টিটিউট অব ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার্স বাংলাদেশের (আইডিইবি) ২১তম জাতীয় সম্মেলন ও ৩৯তম কাউন্সিল অধিবেশনের উদ্বোধন অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী এসব কথা বলেন।
 
প্রধানমন্ত্রী বলেন, অহেতুক অর্থ নষ্ট করার যৌক্তিকতা নেই, ‘অকাজে অহেতুক’ অর্থ যেন অপব্যহার না হয় সে বিষয়টাও মনে রাখতে হবে আমাদের। আমি সব সময়ই একটা কথা বলি যে, আমাদের দেশের মানুষ, আমাদের মানুষই হচ্ছে আমাদের সম্পদ। আর এই মানুষকে যদি সঠিকভাবে আমরা শিক্ষা দিতে পারি, ট্রেনিং দিতে পারি, গবেষণা করাতে পারি, তাহলে আমাদের দেশ অবশ্যই এগিয়ে যাবে।
 
কাজেই এই যে জনশক্তি, জনশক্তিকে আমরা জনসম্পদে পরিণত করি। কখনো এটাকে সমস্যা মনে করি না। অন্তত আমি করি না। একমাত্র বঙ্গবন্ধুর আমলেই প্রথম আমরা আমাদের প্রবৃদ্ধি ৭ ভাগে অর্জন করতে সক্ষম হয়েছি। আর এর পরে এবারে আমরা এই আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায় এসে এই প্রথম ৭ পয়েন্ট (দশমিক) ০৫ ভাগ প্রবৃদ্ধি অর্জন করতে সক্ষম হয়েছি।
 
প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, শিক্ষা নীতিমালায় কারিগরি শিক্ষায় গুরুত্ব দিয়েছি। অষ্টম শ্রেণি পর্যন্ত প্রাথমিক শিক্ষায় নিয়ে এসেছি। এরপর থেকেই কারিগরি শিক্ষা পাচ্ছে শিক্ষার্থীরা। মেয়েদের জন্য ৪টিসহ ২৫টি পলিটেকনিট ইনস্টিটিউট স্থাপনের সিদ্ধান্ত নিয়েছি। ঢাকায় একটি টেক্সটাইল বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপন করা হয়েছে। দেশের ৬৪টি টেকনিক্যাল কলেজে ডিপ্লোমা ভর্তি কার্যক্রম শুরু হয়েছে। বেসরকারি ৪ শতাধিক পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটকে অনুমোদন দেয়া হয়েছে।
 
প্রধানমন্ত্রী বলেন, জাতির পিতা একটা কথা বলতেন যে এ দেশের মাটি এত উর্বর যে, একটা বীজ পড়লে সেখানে গাছ হয়। সে দেশের মানুষ কেন না খেয়ে কষ্ট পাবে। কথাটা যে কত বাস্তব, সেটা আমরা প্রমাণ করেছি। পঁচাত্তরের পর ২১ বছর আমরা সরকারে আসতে পারিনি। ছিয়ানব্বই সালে সরকারে এসেই আমরা সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব দিই গবেষণার ওপর। এই গবেষণার মাধ্যমেই আজকে আমরা উন্নতমানের বীজ যেমন আবিষ্কার করছি, খাদ্য উৎপাদন বৃদ্ধি করে ১৬ কোটি মানুষের খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করে আজকে বাংলাদেশ উদ্বৃত্ত খাদ্যের দেশে উন্নীত হতে পেরেছে।