জয়কে হত্যার ষড়যন্ত্র মানেই জাতিকে মেধাশূন্য

শিল্পমন্ত্রী আমির হোসেন আমু বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার তথ্য প্রযুক্তি উপদেষ্টা সজিব ওয়াজেদ জয়ের বিরুদ্ধে যে গভীর ষড়যন্ত্র করা হয়েছিল তা যুক্তরাষ্ট্রের মাটিতেই প্রমাণিত হয়েছে। সজিব ওয়াজেদ জয়কে হত্যার ষড়যন্ত্র মানেই পুরো জাতিকে মেধাশূন্য করার প্রক্রিয়া। ১৯৭১ সালে যেভাবে দেশ বিরোধী ও পাকিস্থানী দোসরেরা বাঙালি জাতিকে মেধাশূন্য করেছিলো আজকে ঠিক একই পথ অবলম্বন করছে তারা।
রোববার (১ মে) সন্ধ্যায় যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামীলীগ আয়োজিত এক মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন নিউইয়র্ক সফররত বাংলাদেশ সরকারের মাননীয় শিল্পমন্ত্রী ও আওয়ামীলীগের উপদেষ্টা মন্ডলীর অন্যতম সদস্য আমির হোসেন আমু। এসময়ে বিশেষ অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন মাননীয় সংসদ সদস্য শিরিন নাইম । এবং ভারপ্রাপ্ত সভাপতি সৈয়দ বশারত আলীর সভাপতিত্বে ও ভারপ্রাপ্ত সাধারন সম্পাদক আব্দুস সামাদ আজাদ এবং সাংগঠনিক সম্পাদক ফারুক আহাম্মেদর যৌথ পরিচলনায় সভাটি অনুষ্ঠিত হয়।
শিল্পমন্ত্রী বলেন, দেশ যখন বঙ্গবন্ধুর সুযোগ্য কন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে এগিয়ে যাচ্ছে, ঠিক সেই সময়ে বাংলাদেশের আগামীর ভবিষ্যৎ সজিব ওয়াজেদ জয়কে হত্যার গভীর ষড়যন্ত্র ও চক্রান্ত চলছে। দীর্ঘ ৩০ মিনিটের বক্তব্যের তিনি বেশির ভাগ সময়ই সরকারের বিভিন্ন উন্নয়ন মূলক কর্মকান্ড নিয়ে কথা বলেন
একই সাথে বিএনপি-জামায়াত দেশ বিরোধী কর্মকান্ডের সাথে সম্পৃক্ত এমন অভিযোগ করে স্বাধীনতার আগে এবং পরে বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমান নিয়ে তথ্য নির্ভর কথা বলেন এবং মুক্তিযুদ্ধে জিয়াউর রহমানের অবস্থান তুলে ধরেন।
আমির হোসেন আমু বলেন, ‘স্বাধীনতার পর বঙ্গবন্ধু যুদ্ধাপরাধীদের বিচার প্রক্রিয়া শুরু করেছিলেন। তখন ‘চিকন আলী’ নামের একজনের ফাঁসির রায়ও কার্যকর করা হয়। অন্যান্য অপরাধীদের অনেকেই বিচার-প্রক্রিয়ার মধ্যে জেলে বন্দী করা হয়েছিলো । কিন্তু বঙ্গবন্ধুকে হত্যার পর ক্ষমতা গ্রহণ করে কলমের একটি খোঁচায় তৎকালিন রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান সকল যুদ্ধ অপরাধীকে মুক্ত করে দেন।
উপস্থিত সবার উদ্দেশ্যে শিল্পমন্ত্রী বলেন, বঙ্গবন্ধু যুদ্ধ অপরাধীদের বিচারের আওতায় নিয়ে আসলেও জিয়াউর রহমান তাদেরকে জেল থেকে মুক্ত করে দেন। এটার উদ্দেশ্য হল জিয়াউর রহমান যুদ্ধাপরাধীদের বিচার চাননি। আফসোস আজকে তার সহধর্মীনি বেগম খালেদা জিয়াও জিয়াউর রহমানের পথ ধরেই হাঁটছেন।
শিল্পমন্ত্রী অভিযোগ করে বলেন, আজকে দেশ যখন সর্বক্ষেত্রে এগিয়ে চলছে ঠিক তখনই স্বাধীনতা বিরোধী শক্তিরা সরকারকে বেকায়দায় ফেলতে ষড়যন্ত্র করছে।
তিনি বলেন, আজকে এই যুক্তরাষ্ট্রের মাটিতে বসেই বাংলাদেশের আগামীর কান্ডারি ও ডিজিটাল বাংলাদেশ বিনির্মাণের অন্যতম রূপকার জয়কে হত্যার ষড়যন্ত্র করা হয়, যা আমেরিকাতেই প্রমানীত হয়েছে। এর সাথে সম্পৃক্ততার অভিযোগে সাংবাদিক শফিক রেহমানকে আইনের আওতায় আনা হয়েছে এবং সুনির্দিষ্ট অভিযোগের ভিত্তিতেই তাকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামীলীগ আয়োজিত এই আলোচনা সভায় অন্যান্যর মধ্যে উপস্থিত ছিলেন যুক্তরাষ্ট আওয়ামী লীগের সহ সভাপতি ফজলুর রহমান, আক্তার হোসেন আবুল, সামসুউদ্দিন আজাদ, লুৎফর করিম, সাংগঠনিক সম্পাদক ফারুর আহমেদ, আব্দুর রহিম বাদশা, চন্দন দত্ত, উপদেষ্টা ডা: মাসুদ,অথ সম্পাদক আবুল মনসুর খান, আইন সম্পাদক সাহা বকতিয়ার হোসেন,গনসংযোগ সম্পাদক কাজী কয়েস, দপ্তর সম্পাদক প্রকৌশলী মোহাম্মদ আলী সিদ্দিকী, যুব সম্পাদক মাহাবুব রহমান টুকু, উপ দপ্তর আব্দুল মালেক,সদস্য কামাল আহাম্মেদ শরিফ, কামরুল আলম হিরা, আব্দুল হামিদ, এম এ আলম বিপ্লব, ইলিয়ার রহমান, হুসেন রানা,ইস্ট আওয়ামী লীগের সাধারন সম্পাদক শাহীন আজমল,সহ সভাপতি শেখ আতিক,রফিকুল ইসলাম, মহিলা আওয়ামী লীগের সভাপতি শাহানাজ মমতাজ, জলিল মাদবর,টি মোল্লা,যুবলীগের সভাপতি মিসবাহ আহমেদ, সাধারণ সম্পাদক ফরিদ আলম, স্ট্রেট যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক সেবুল মিয়া, রহিমুজ্জামান সুমন যুগ্ম সম্পাদক নিউইয়র্ক ষ্ট্রেট যুবলীগ হুমায়ন চৌধুরী, শ্রমিক লীগ সভাপতি কাজী আজিজুল হক খোকন, যুক্তরাষ্ট্র স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাওখায়ত বিশ্বাস সভাপতি নুরুজ্জামান সরদার, সহ সভাপতি আশ্রাফ উদ্দীন, দুরুদ মিয়া রণেল, কবির আলী, অতুল রায়, সাধারণ সম্পাদক সুবল দেবনাথ, সহ সাধারন সম্পাদক ইকবাল হোসেন, আনিসুজ্জান সবুজ, ও গোলাম কিবরিয়া, ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি জেড. এ. জয়, সাবেক সাধারন সম্পাদক জাহাঙ্গীর মিয়া, সভাপতি জাহিদ হাসান,সাধারণ সম্পাদক আল আমিন আখন্দ প্রমুখ।