English Version
আপডেট : ৩০ এপ্রিল, ২০১৬ ০১:৫৭

‘রাষ্ট্র ভিন্নমতের সুরক্ষায় আন্তরিকতার পরিচয় দিচ্ছে না’

অনলাইন ডেস্ক
‘রাষ্ট্র  ভিন্নমতের সুরক্ষায় আন্তরিকতার পরিচয় দিচ্ছে না’

রাষ্ট্র ভিন্ন মতের সুরক্ষায় আন্তরিকতার পরিচয় দিচ্ছে না বলে অভিযোগ করছেন মানবাধিকার কর্মী ও ইসলামী চিন্তাবিদরা। শুক্রবার সন্ধ্যায় এক বেসরকারি টেলিভিশনে দেয়া বিশেষ প্রতিবেদনে তারা এমন মন্তব্য করেন।

সংবাদপত্রের খবর বলছে উগ্র জঙ্গিগোষ্ঠী গেল ১৪ মাসে ভিন্নমত ও ধর্মালম্বীদের বিরুদ্ধে মোট ৩৪টি হামলা চালিয়েছে। যাতে খুন হন ৩৫ জন এবং আহত শতাধিক। বেশির ভাগ ক্ষেত্রে দিনে দুপুরে প্রকাশ্যে রাস্তায় খুন করে পালিয়ে গেছে খুনিরা।  এসব ঘটনায় তারা ধরা-ছোঁয়ার বাইরেই থেকে গেছে।

মানবাধিকার কর্মী সুলতানা কামাল অভিযোগ করে বলছেন, সরকার ভিন্ন মতের মানুষদের সুরক্ষায় আন্তরিক নয়।

তিনি বলেন, এ ধরনের হত্যাকাণ্ড ঘটে গেলে রাষ্ট্র চায় না এটার কোনো বিচার হোক কিংবা হত্যাকারীরা ধরা পড়ুক। কিন্তু তাদের নিজেদের মধ্যে রাজনৈতিক স্বদিচ্ছা এবং উদাসীনতার যে অভাব রয়েছে তা বুঝা যাচ্ছে। ভিন্নমত ও ধর্মালম্বীদের বিচার না চাওয়া যেমন দুঃখজনক এবং রাষ্ট্রের না পারাটাও আমাদের জন্য দুঃখজনক।

তিনি আরো বলেন, গণতান্ত্রিকতার মধ্যে দিয়ে মানুষ যেমনি নিজের মতো করে বিকশিত হতে পারে সেই জন্যই মানুষ রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা করে। বাংলাদেশে ঘটে যাওয়া অধিকাংশ হত্যাকাণ্ডের দায় স্বীকার করেছে একাধিক ইসলামী জঙ্গি সংগঠন।

এ বিষয়ে শোলাকিয়া মসজিদের ইমাম মাওলানা ফরিদ উদ্দিন মাউসুদ বলেন, ইসলামী সমাজে কোনো ব্যক্তি যদি ইসলামের বিরুদ্ধে যায় এবং সেটি যদি আল্লহর বিরুদ্ধে যায়, সেটি সে প্রকাশ করতে পারে। কিন্ত উসকানি দিতে পারেন না। ইসলাম মৌলিকভাবে মানুষকে সংকীর্ণ করে না, যে প্রকৃত মুসলমান সে অত্যন্ত উদার হয়। তিনি আরো বলেন, বিশেষ করে তরুণরা ইন্টারনেট ভিত্তিক ইসলামী জ্ঞান আহরণ করে ভুল পথে পরিচালিত হচ্ছে। একমুখী শিক্ষা ব্যবস্থা প্রবর্তনের পাশাপাশি জঙ্গিবাদের বিরুদ্ধে সমাজের সব শ্রেণির মানুষ সচেতন না হলে এসব তৎপরতা বন্ধ হবে না বলে মনে করছেন তারা।