English Version
আপডেট : ২৯ এপ্রিল, ২০১৬ ০৯:৪৩

ভয়াল ২৯ এপ্রিল আজ

চট্টগ্রাম প্রতিনিধি:
ভয়াল ২৯ এপ্রিল আজ

আজ ২৯ এপ্রিল। ১৯৯১ সালের এদিনে বাংলাদেশের উপকূলে ভয়াবহ ঘূর্ণিঝড় 'ম্যারি এন' আঘাত  হেনেছিল। যার প্রভাবে  চট্টগ্রামের বাঁশখালী, আনোয়ারা, সন্দ্বীপসহ দেশের দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চল লণ্ডভনণ্ড হয়ে গিয়েছিল। 

প্রলয়ঙ্কারী ঘূর্ণিঝড় ও সৃষ্ট জলোচ্ছ্বাসে সরকারি হিসাবে মৃতের সংখ্যা ১ লাখ ৩৮ হাজার হলেও বেসরকারি হিসাবে এ সংখ্যা দ্বিগুণ। মৃত্যু হয় ২০ লাখ গবাদিপশুর। গৃহহারা হয়েছিল ৫০ লাখ মানুষ। ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছিল চট্টগ্রাম সমুদ্র বন্দরও।

উপকূলের মানুষ এখনও ভুলতে পারেনি দুঃসহ সে রাতের স্মৃতি। স্বজন হারানোর বেদনায় এখনও তারা কাঁদে। দীর্ঘ দুই যুগ পরও সেই ভয়াল স্মৃতি স্মরণ করে উপকূলের মানুষ। সাগরে লঘুচাপ বা কোনো নিম্নচাপের খবর শুনলে আঁতকে ওঠে তারা। 

১৯৯১ ঘূণিঝড়ের ২৫ বছর পার হয়েছে। কিন্তু এখনো উপকূল অঞ্চলের মানুষকে রক্ষায় বেড়িবাঁধ নির্মাণ করা হয়নি। বন্দরনগরী চট্টগ্রামও অরক্ষিত থেকে গেল। আর কতকাল উপেক্ষিত থাকবে উপকূল অঞ্চলের মানুষ? অবিলম্বে শহর রক্ষা বাঁধ নির্মাণ ও উপকূল অঞ্চলের মানুষের জীবনমান রক্ষার পদক্ষেপ নিতে হবে। ১৯৯১ এর ঘূর্ণিঝড়ের পর যেসব সাইক্লোন শেল্টার নির্মাণ হয়েছিল তা এখন ব্যবহার অনুপোযোগী হয়ে পড়েছে। অবিলম্বে নতুন সাইক্লোন শেল্টার নির্মাণ ও উপকূল অঞ্চলের মানুষকে রক্ষায় পদক্ষেপ নিতে হবে।

সে ভয়াল রাতের কথা স্মরন করে বাঁশখালী নাগরিক পরিষদের প্রতিষ্ঠাতা এম.মহিউল আলম চৌধুরী বলেন, ‘১৯৯১ সালের ভয়াল ঘূর্ণিঝড়ের দুই যুগ পরও আমাদের আতঙ্ক কাটেনি। প্রতিবছর বর্ষা এলেই প্রাণ হাতে নিয়ে দিন কাটাই আমরা। কিন্তু দূর্ভাগ্যজনক হলেও সত্য যে, ৯১ পরবর্তী সুদীর্ঘ ২৫টি বছর অতিক্রান্ত হলেও উপকূলীয় এলাকাবাসীর কল্যাণে কর্তৃপক্ষের কার্যকর কোন উদ্যোগ, আয়োজন দৃশ্যমান হয় না।’

আজ ২৯ এপ্রিল ভয়াল সে রাতের কথা স্মরণ করছে উপকূলের মানুষ। হারানো স্বজনদের আত্মার মাগফিরাত কামনায় ঘরে ঘরে মিলাদ মাহফিল, কোরআনখানি ও ফাতেহা পাঠের আয়োজন করা হয়েছে। অনেকে ব্যক্তিগত ও পারিবারিকভাবে এ দিনটি পালনের কর্মসূচি নিয়েছে। বিভিন্ন সামাজিক, সাংস্কৃতিক ও রাজনৈতিক সংগঠন আলোচনা সভা, র‌্যালিসহ নানা কর্মসূচি গ্রহণ করেছে।