English Version
আপডেট : ২৩ এপ্রিল, ২০১৬ ১৪:৪৫

রিজার্ভ চুরির সঙ্গে আরসিবিসির কর্মকর্তারা জড়িত

অনলাইন ডেস্ক
রিজার্ভ চুরির সঙ্গে আরসিবিসির কর্মকর্তারা জড়িত

বাংলাদেশ ব্যাংকের রিজার্ভ চুরির সঙ্গে কর্মাশিয়াল ব্যাংকিং কর্পোরেশনের (আরসিবিসি) বেশকিছু ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা জড়িত। গত বৃহস্পতিবার ম্যানিলায় আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এ কথা জানান ব্যাংকটির চাকরিচ্যুত শাখা ব্যবস্থাপক মায়া সান্তোস দেগুইতো।

নিজের বক্তব্যের পরিপ্রেক্ষিতে ওই সংবাদ সম্মেলনে দলিলপত্র উপস্থাপন করেছেন আরসিবিসির সাবেক ওই কর্মকর্তা।

গত ৫ ফেব্রুয়ারি সুইফট মেসেজ পাঠিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের ফেডারেল রিজার্ভ ব্যাংক অব নিউ ইয়র্কে থাকা বাংলাদেশ ব্যাংকের অ্যাকাউন্ট থেকে ফিলিপাইন ও শ্রীলঙ্কায় ১০ কোটি ডলার সরানো হয়। এর মধ্যে আরসিবিসি ব্যাংকের মাধ্যমে আট কোটি ১০ লাখ ডলার ফিলিপাইনে আরসিবিসির কয়েকটি অ্যাকাউন্টে প্রবেশ করে।

বাংলাদেশ ব্যাংকের ৮১ মিলিয়ন ডলারের একটা অংশ পাওয়ার কথা স্বীকার করেছেন ফিলিপাইনের কিম অং। তবে চুরি করে ওই অর্থ নেওয়ার বিষয়টি তার জানা ছিল না বলে দাবি করেন তিনি।

ফিলিপাইনের মুদ্রাপাচার প্রতিরোধ কাউন্সিল (এএমএলসি) এবং সিনেট কমিটির শুনানির মাধ্যমে রিজার্ভ চুরি থেকে পাওয়া অর্থের কয়েকভাগ ফেরত দিয়েছেন কিম অং। আগামী ৩০ জুনের মধ্যে রিজার্ভ চুরির উদ্ধারযোগ্য অর্থ বাংলাদেশ ব্যাংকের কাছে ফেরত দেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন ফিলিপাইনের সিনেট প্রেসিডেন্ট প্রো টেম্পোরে র‍্যাল্ফ রেক্টো।

অন্যদিকে বাংলাদেশ ব্যাংকের রিজার্ভ চুরির অর্থ আরসিবিসির মাধ্যমে ফিলিপাইনে পাচার হয়েছে- এমন তথ্য পাওয়ার পরই বরখাস্ত হন শাখা ব্যবস্থাপক মায়া সান্তোস দেগুইতো এবং জ্যেষ্ঠ কাস্টমার রিলেশনস কর্মকর্তা অ্যাঞ্জেলা তোরেস। ব্যাংকটির প্রেসিডেন্ট লরেঞ্জো তানকে বাধ্যতামূলক ছুটিতে পাঠানো হয়। আর গত বুধবার পদত্যাগ করেন ব্যাংকের ট্রেজারি ইউনিটের প্রধান বায়ুল তান।

গত ২২ মার্চ চাকরি হারানোর পর থেকে বেশ কয়েকবার সিনেটের শুনানিতে অংশ নিয়ে নিজেকে নির্দোষ দাবি করেছন মায়া সান্তোস দেগুইতো।

গত ১২ এপ্রিল সিনেটের পঞ্চম শুনানিতে আরসিবিসির আইন উপদেষ্টা বলেছিলেন, অর্থ চুরিতে ব্যাংকের নাম আসায় আরসিবিসি এখন কঠিন সময় পার করছে।