English Version
আপডেট : ২২ এপ্রিল, ২০১৬ ২০:৫১

‘পদ্মার ওপারে হবে দেশের সর্ববৃহৎ বিমানবন্দর’

ষ্টাফ রিপোর্টার
‘পদ্মার ওপারে হবে দেশের সর্ববৃহৎ বিমানবন্দর’

বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রী রাশেদ খান মেনন বলেছেন, পদ্মার ওপারে নির্মাণ করা হবে দেশের সর্ববৃহৎ বিমানবন্দর। এই বিমানবন্দরের নাম হবে বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর। সেই লক্ষ্যে কাজ চলছে। একই সঙ্গে ২০১৮ সালের মধ্যে কক্সবাজার বিমানবন্দরকে আন্তর্জাতিক মানে এবং হযরত শাহজালাল (র.) আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরকে আন্তর্জাতিক মানের ‘হাব’-এ পরিণত করা হবে বলেও জানান মন্ত্রী।

আজ শুক্রবার (২২ এপ্রিল) ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে আয়োজিত মিট দ্য রিপোর্টার্স অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা জানান। অনুষ্ঠানের আয়োজন করে ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটি (ডিআরইউ)।

মন্ত্রী আরো বলেন, ‘পদ্মার ওপারে দেশের সর্ববৃহৎ বিমানববন্দর স্থাপিত হবে। এ জন্য সেখানে চারটি জায়গা দেখা হয়েছে, যার মধ্যে থেকে একটি জায়গা নির্ধারণ করা হবে।’

সরকারের বিভিন্ন উন্নয়ন কর্মকাণ্ডের কথা বলতে গিয়ে মন্ত্রী বলেন, ‘কক্সবাজার বিমানবন্দরকে আন্তর্জাতিক মানের বিমানবন্দরে রূপান্তরের কাজ শুরু হয়েছে। ইতিমধ্যে এর ১৬ শতাংশ কাজ সম্পন্ন হয়েছে।’

তিনি বলেন, শাহজালাল বিমানবন্দরকে আন্তর্জাতিক মানের ‘হাব’-এ পরিণত করা হবে, যেখানে বিভিন্ন দেশের বিমান এসে নামবে। এ জন্য সরকারের তৃতীয় টার্মিনাল স্থাপনের পরিকল্পনা রয়েছে।

সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, ‘বাংলাদেশ বিমান সম্পূর্ণ রাজনৈতিক প্রভাবমুক্ত রয়েছে বলেই মনে হয়। অন্তত গত দুই বছরে আমার সেটাই মনে হয়েছে। ছয় বছর টানা লোকসানের পর বিমান গত বছর লাভের মুখ দেখেছে। আশা করছি এবারও বাংলাদেশ বিমান লাভের ঘরেই থাকবে।’

বাংলাদেশের পর্যটন শিল্পের বিকাশে সরকারের বিভিন্ন পদক্ষেপ তুলে ধরে তিনি বলেন, ২০১৮ সালের মধ্যে এই খাতে সাড়ে ৩ লাখ মানুষের কর্মসংস্থান হবে।

এ দেশে পর্যটকদের আকৃষ্ট করতে আগামী মাস থেকে দেশে ও দেশের বাইরে প্রচার চালানোর কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘একজন পর্যটক আসলে ১১ জন মানুষের কর্মসংস্থান তৈরি হয়। আমরা চীন, থাইল্যান্ড, ভুটান, ভারত, মিয়ানমার, মালয়েশিয়া থেকে পর্যটক আকৃষ্ট করতে চাই।’

মন্ত্রী বলেন, সম্ভাবনার দিক থেকে গার্মেন্টস শিল্পের পরই হতে পারে পর্যটন খাত। যদিও বাংলাদেশে এখনও পর্যটনের ব্যাপারে ততটা অগ্রগতি হয়নি। তবে কয়েক বছরে বাংলাদেশের পর্যটন শিল্প বহিঃবিশ্বের দৃষ্টি আকর্ষণ করতে সক্ষম হয়েছে। মালয়েশিয়া, নেপাল থাইল্যান্ডসহ বিভিন্ন দেশের সঙ্গে পর্যটন বিষয়ে সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর হয়েছে।