English Version
আপডেট : ১৪ এপ্রিল, ২০১৬ ১১:২৮

সুরের মূর্চ্ছনায় মঙ্গল কামনার মধ্য দিয়ে শেষ হলো ছায়ানটের বর্ষবরণ

ষ্টাফ রিপোর্টার
সুরের মূর্চ্ছনায় মঙ্গল কামনার মধ্য দিয়ে শেষ হলো ছায়ানটের বর্ষবরণ

সূর্য লজ্জা রাঙা আলো নিয়ে জাগ্রত হলো বাংলা বঙ্গাব্দ ১৪২৩, শুরু হলো নতুন একটি দিন। ‘শান্তি, মানবতা ও মানুষের অধিকার’ এ স্লোগানকে সামনে রেখে ১৪২৩ বঙ্গাব্দকে বরণ করে নিলো রমনা বটমূলে ছায়ানটের শিল্পীরা। বৃহস্পতিবার (১৪ এপ্রিল) রমনার বটমূলে চলে তার মনো মুগ্ধকর দুইঘণ্টা ব্যাপী সুরের মূর্চ্ছনা।     সকাল সোয়া ৬টায় রমনার বটমূলে ভোরের আলো রক্তিম আভা ছড়িয়ে পড়ার সঙ্গে সঙ্গে নীরবতা ভাঙলেন শিল্পী অভিজিৎ কুণ্ডু ও সুস্মিতা দেবনাথ শুচি। সেতার পরিবেশন করলেন রাগ পরমেশ্বরী। খুব ভোরেই মানুষের পদচারণায় মুখর হয়ে ওঠে অনুষ্ঠান প্রাঙ্গণ। এরপর ছায়ানটের শিল্পীরা পরিবেশন করেন জ্যোতিরিন্দ্র ঠাকুরের গান ‘ জাগো সকল অমৃতের অধিকারী'।   শিল্পী সত্যম কুমার দেবনাথের একক গান ‘আমি কেমন করিয়া জানাবো’, এরপর সম্মিলিত কণ্ঠে ছায়ানটের শিল্পীরা পরিবেশন করেন-  ‘ওই মহামানব আসে’। পরিবেশনার ধারাবাহিকতায় শিল্পী এটিএম জাহাঙ্গীরের পরিবেশনা ‘এখনো ঘোর ভাঙে না তোর যে’ শিল্পী সেঁজুতি বড়ুয়া ‘ সহজ হবি সহজ হবি’, শিল্পী সুমন মজুমদারের ‘কোন কুসুমে তোমায় আমি’ শিল্প হেমন্তী মঞ্জরীর ‘সবারে বাস রে ভাল’।   আবার শুরু হয় ছায়ানটের শিল্পীদের সম্মিলিত পরিশেনা ‘হবে জয়, হবে জয়’। এরপর আবৃত্তিকার তাপস মজুমদারের আবৃত্তি 'দ্বারে বাজে ঝঞ্চার ঝিঞ্চির’। এভাবে ৩টি আবৃত্তি, ১৫টি একক গান, ১২টি সম্মেলক ও পাঠ দিয়ে সাজানো অনুষ্ঠানের সমাপনী হয় ছায়ানটের সহ-সভাপতি ড. সারওয়ার আলীর শুভেচ্ছা কথনের মাধ্যমে। বর্ষবরণ অনুষ্ঠানে অংশ নেন দেড়শ শিল্পী।   আবার বড়দের দল পরিবেশন করে ‘আনন্দ ধ্বনি জাগাও গগনে’। এরপর একে একে লাইসা আহমদ লিসা পরিবেশন করেন ‘বাঁধন ছেঁড়ার সাধন হবে’। এছাড়া চন্দনা মজুমদার, আফসারা রুনা, দেওয়ান সাইদুল হাসান প্রমুখ শিল্পীরা সঙ্গীত পরিবেশন করেন।   এদিকে, নববর্ষ বরণকে ঘিরে রমনার বটমূল ও তৎসংলগ্ন এলাকা ছিল কঠোর নিরাপত্তা বলয়ে। সোয়াত, র্যাব, পুলিশসহ বিভিন্ন আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর কড়া নজরদারি ছিল ছায়ানটের অনুষ্ঠানকে ঘিরে। রমনা উদ্যানে প্রবেশের প্রতিটি পথে দেখা গেছে তল্লাশি কেন্দ্র।      মূলত এই গানের মধ্য দিয়ে শুরু ছায়ানটের ৪৯তম গানে গানে বর্ষবরণ অনুষ্ঠান। ঘড়ির কাঁটায় তখন সকাল ৮টা ৩২ মিনিট। জাতীয় সঙ্গীত পরিবেশনের মধ্য দিয়ে ছায়ানটের বর্ষবরণের আয়োজন শেষ হয়।