English Version
আপডেট : ১৪ এপ্রিল, ২০১৬ ১১:১৬

মঙ্গল শোভাযাত্রায় মানুষের ঢল

অনলাইন ডেস্ক
মঙ্গল শোভাযাত্রায় মানুষের ঢল

নববর্ষকে বরণ করতে প্রতিবছরের ন্যায় এবারও প্রচণ্ড রোদ উপেক্ষা করে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলার সামনে থেকে বের করা হয়েছে মঙ্গল শোভাযাত্রা। বৃহস্পতিবার সকাল নয়টার পরে এই শোভাযাত্রাটি শুরু হয়। মঙ্গলশোভাযাত্রায় চারুকলার শিক্ষার্থী ছাড়াও বিভিন্ন বয়সী শ্রেণি-পেশার মানুষের ঢল নামে।   মঙ্গল শোভাযাত্রাটি বের হয়ে শাহবাগ ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের এলাকা প্রদক্ষিণ করে। এবার মঙ্গল শোভাযাত্রায় বানানো হয়েছে মা-সন্তান, হরিণ, ষাড় ও পাখির, হাতি কাঠামো স্থান পেয়েছে। এছাড়াও রয়েছে বিভিন্ন আকৃতির পশু-পাখি ও মুখোশ রয়েছে।   এবার সামাজিক অবক্ষয়ের বিরুদ্ধে দাঁড়ানোর আহ্বান নিয়ে মূল প্রতিপাদ্য ঠিক হয়েছে ‘মা ও শিশু’ । শোভাযাত্রায় নারী ও শিশুর প্রতি সহিংসতার প্রতিবাদী প্রতীক রূপে স্থান পেয়েছে মায়ের কোলে শিশু; সহিংসতার বিরুদ্ধে ঐক্যের প্রতীক হিসেবে একত্রিত তিনটি পাখি; শিশুদের সুরক্ষা ও বাংলা সংস্কৃতির পরিচায়ক প্রাণী- হাতি, হরিণসহ মোট নয়টি লোকজ পুতুল। রয়েছে দেশের ঐতিহ্যবাহী ময়ুরপঙ্খীর আদলে নির্মিত প্রতীকী নৌকা। এ ছাড়া শোভাযাত্রায় রাজা, রাণী, পেঁচা, বাঘসহ নানা প্রাণীর মুখোশ, টেপা পুতুল, পেপার ম্যাশও দেখা গেছে।

শোভাযাত্রাটি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা এলাকা থেকে শুরু হয়ে রাজধানীর শাহবাগ ছাড়িয়ে সকাল ১০টায় বাংলামোটর পৌঁছায়। মৎস্য ভবন, টিএসসি হয়ে আবার চারুকলায় এসে শোভাযাত্রাটি শেষ হয়।

ঢাবি উপাচার্য আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিক, প্রক্টর ড. আমজাদ আলী ও চারুকলা অনুষদের ডিন নিসার হোসেনের নেতৃত্বে বাংলা বর্ষবরণের অন্যতম বড় আকর্ষণ এই শোভাযাত্রা।

এই বিষয়ে চারুকলা অনুষদের ডিন অধ্যাপক নিসার হোসেন বলেছেন, এবছর আমাদের মূল ভাবনার জায়গাটা সামাজিক মূল্যবোধের অবক্ষয়। যার ফলে এখন মায়ের হাতে সন্তান, সন্তানের হাতে মা খুন হচ্ছে। সেই সঙ্গে ধর্ম ব্যবসায়ীদের আস্ফালনসহ নানা অবক্ষয় চলছে। আমরা এসব থেকে মুক্তি চাই, আলোর দিকে যেতে চাই।