English Version
আপডেট : ৯ এপ্রিল, ২০১৬ ০২:৫০

রাজধানীর কোথাও অপরাধীরা লুকি থাকতে পারবে না: আইজিপি

ষ্টাফ রিপোর্টার
রাজধানীর কোথাও অপরাধীরা লুকি থাকতে পারবে না: আইজিপি

পুলিশ জনগণের বন্ধু, একজন প্রকৃত বন্ধু হিসেবে পুলিশকে অবশ্যই জনগণের সঙ্গে সুসম্পর্ক রাখতে হবে। কমিউনিটি পুলিশিং এর মাধ্যমে সেই সেতুবন্ধন আরো মজবুত হয়েছে। জনগণের সহযোগিতায় দেশ থেকে মাদক, সন্ত্রাসবাদ, জঙ্গীবাদ মোকাবেলায় কমিউনিটি পুলিশং বা বিট পুলিশিং ইতোমধ্যে সাফল্যে অর্জন করেছে। বিট পুলিশিং কাজের অংশ হিসেবে প্রত্যেকটি বাড়ীর তথ্য সংগ্রহ করা হলে রাজধানীতে কোথাও অপরাধীরা লুকিয়ে থাকতে পারবে না। এ কার্যক্রমের ফলে জনগণের সাথে পুলিশের সম্পৃক্ততা বৃদ্ধি পেয়েছে। এবং রাজধানীর অপরাধ বহুলাংশে করে গেছে। শুক্রবার রাজধানীর উত্তরায় কমিউনিটি পুলিশিংয়ের মহা সমাবেশে প্রধান আলোচকের বক্তব্যে আইজিপি এ কে এম শহিদুল হক এসব কথা বলেন।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী এড. সাহারা খাতুন এমপি বলেন, উন্নত দেশের মত আমাদের অধিক সংখ্যক পুলিশ নেই। অল্প জনবল নিয়ে কাজ করতে গিয়ে আমাদের পুলিশ বাহিনীর পক্ষে একা সব কিছু করা সম্ভবপর হয়ে ওঠে না। তাই জনগণকে পুলিশের সাহায্যার্থে এগিয়ে আসতে হবে এবং জনগণও পুলিশকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে সকল অপশক্তিকে নির্মূল করে নিরাপদ দেশ গড়তে হবে।   বিশেষ অতিথির বক্তব্যে (ডিএমপি) পুলিশ কমিশনার মোঃ আছাদুজ্জামান মিয়া বলেন, সমস্ত ঢাকা শহর জুড়ে প্রতিদিন অসংখ্য বিট পুলিশিং ও উঠান বৈঠকের মাধ্যমে আমরা জনগণের কাছাকাছি যাওয়ার চেষ্টা করছি এবং নিরাপদ ও সন্ত্রাসমুক্ত ঢাকা গড়তে নিরলস পরিশ্রম করে যাচ্ছি। কমিউনিটি পুলিশিং এর মাধ্যমে আমরা জনগণের সাথে সম্পৃক্ত হয়ে ঐক্যবদ্ধ ভাবে জঙ্গীবাদ, মাদক, চাঁদাবাজি, ইভটিজিং ও সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে কাজ করতে চাই। আমরা বিশ্বাস করি জনগণ এবং পুলিশ এক হলে অপরাধীরা কোন ভাবেই অপরাধ করার স্পর্ধা পাবে না। কমিউনিটি পুলিশিং ব্যবস্থা আরো জোরদার করে আগামী ছয় মাসের মধ্যে ওয়ান টু ওয়ান কন্টাক্টের মাধ্যমে নগরীর প্রত্যেকটি বাড়ির দরজায় গিয়ে বলতে চাই-আপনি ভালো আছেন তো? 

‘পুলিশই জনতা জনতাই পুলিশ’ এই স্লোগানকে ধারণ করে উত্তরার ৩নং সেক্টরের ফেন্ডস্ ক্লাব মাঠে ঢাকা উপ-পুলিশ কমিশনার (উত্তরা বিভাগ) বিধান ত্রিপুরার সভাপতিত্বে কমিউনিটি পুলিশিংয়ের এক মহা সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে।  সমাবেশে অন্যান্যের মধ্যে আরো উপস্থিত ছিলেন, সাবেক পররাষ্ট্র মন্ত্রী ডা. দীপু মনি এমপি, ডিএমপি’র অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (ক্রাইম এন্ড অপস্) শেখ মুহম্মদ মারুফ হাসান,  যুগ্ম পুলিশ কমিশনার মীর রেজাউল আলম এবং  যুগ্ম পুলিশ কমিশনার কৃঞ্চ পদ রায় প্রমুখ। 

অনুষ্ঠান বিকাল ৩ টায় অনুষ্ঠান শুরুর কথা থাকলেও দুপুরের মধ্যেই পুলিশের উত্তরা বিভাগের সকল থানার বিট পুলিশিং কমিউনিটির সদস্যরা  ঢাক, ঢোল, ব্যান্ড পার্টি এবং বিভিন্ন রংয়ের টি-শার্ট পরে স্বতস্ফূর্তভাবে অংশ গ্রহণ করেন। বেলা ৩টার আগেই সমাবেশের উপস্থিতির সংখ্যা ফেন্ডস্ ক্লাব মাঠে ছাড়িয়ে পড়ে আশাপাশের সড়ক পর্যন্ত। হলুদ টি-শার্টের পরা মানুষের আধিক্য বেশি লক্ষ্য করা গেছে।মহা সমাবেশে অংশ নেয়া স্থানীয় বিভিন্ন রাজনৈতিক, সামাজিক ও সাংবাদিক সহ সকালে কমিউনিটি পুলিশিংয়ের মাধ্যমে পুলিশে সব ধরণের সহযোগীতার আশ্বাস দেন।   এরআগে পুলিশ আইজিপি শহিদুল হক এয়ারপোর্ট থেকে আব্দুল্লাহপুর পর্যন্ত সিসিটিভি মনিটরিং সিস্টেম এর শুভ উদ্বোধন করেন।  পরে দেশ বরেন্য শিল্পীদের অংশগ্রহণে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে গান পরিবেশ করেন, দিনাত জাহান মুন্নী, সুবীর নন্দী, আঁখি আলমগীর ও  প্রতীক হাসান এর সংগীত পরিবেশনের পাশাপাশি চিত্র নায়ক আমিন খান ও আহমেদ শরীফ।