English Version
আপডেট : ৭ এপ্রিল, ২০১৬ ১২:০৫

তুরস্কে পৌঁছানো বাংলাদেশিদের দেশে ফেরত পাঠানো হবে

অনলাইন ডেস্ক
তুরস্কে পৌঁছানো বাংলাদেশিদের দেশে ফেরত পাঠানো হবে

 

সোমবার গ্রিস থেকে প্রায় ২০২ জন অভিবাসন প্রত্যাশীকে তুরস্কে পাঠানো হয়েছে। এর মধ্যে কয়েকজন বাংলাদেশিও রয়েছেন। ইইউ-তুরস্ক চুক্তির আওতায় তাদের তুরস্কে পাঠানো হয়। গ্রিসের অভিবাসন বিষয়ক মুখপাত্র ইয়োর্গোস কিরিটসিস বাংলাদেশিদের থাকার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

তুরস্কের ইইউ বিষয়ক মন্ত্রী ভলকান বোজকির একটি টেলিভিশন চ্যানেলকে জানিয়েছেন, গ্রিস থেকে আসা অভিবাসন প্রত্যাশীদের মধ্যে যারা সিরীয় নন, তাদের প্রথমে কিরক্লারেলি নামক এক স্থানে কিছু দিনের জন্য রাখা হবে। তারপর তাদের নিজ নিজ দেশে ফেরত পাঠানো হবে। সেক্ষেত্রে তারা যেসব দেশের নাগরিক তাদের সহায়তা চাওয়া হবে।

বিতর্কিত ইইউ-তুরস্ক চুক্তির আওতায় ২০ মার্চের পর যারা তুরস্ক থেকে গ্রিসে পৌঁছাবেন, তাদের আবার তুরস্কে পাঠিয়ে দেয়া হবে৷ তবে যারা গ্রিসে আশ্রয়ের জন্য আবেদন করবেন তাদের আবেদন বিবেচনা করা পর্যন্ত গ্রিসেই থাকতে দেয়া হবে। এছাড়া তুরস্ক গ্রিস থেকে যতজন অভিবাসন প্রত্যাশীকে ফেরত নেবে ঠিক ততজন সিরীয়কে তুরস্ক থেকে ইউরোপে নিয়ে আসা হবে। তবে সর্বোচ্চ সংখ্যাটি হবে ৭২,০০০ জন।

গ্রিস থেকে দ্বিতীয় পর্যায়ে অভিবাসনপ্রত্যাশীদের বুধবার তুরস্ক পাঠানো হবে।

এদিকে, চুক্তির আওতায় ৪৩ জন সিরীয়কে সোমবার ইউরোপে নিয়ে আসা হয়েছে। এর মধ্যে ৩২ জন এসেছে জার্মানিতে। বাকি ১১ জনকে ফিনল্যান্ডে পাঠানো হয়েছে। মঙ্গলবার আরো কয়েকজন সিরীয় নেদারল্যান্ডসে পৌঁছবেন।

সংখ্যা কমেছে?

ইইউ-তুরস্ক চুক্তির উদ্দেশ্য, অভিবাসনপ্রত্যাশীদের জীবনের ঝুঁকি নিয়ে তুরস্ক থেকে সাগর পাড়ি দিয়ে গ্রিসে পৌঁছানোর চেষ্টা থেকে বিরত থাকা। এই উদ্দেশ্যটা সফল হচ্ছে বলে জানিয়েছেন তুরস্কের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী এফকান আলা। গত ১০ দিনে প্রতিদিন গড়ে ৩০০ জন করে মানুষ সাগর পাড়ি দিয়েছেন বলে জানিয়েছেন তিনি। সংখ্যাটি আগের চেয়ে অনেক কম বলে জানান তিনি। খবর: ডয়েচে ভেলে